GuidePedia

0
প্রেম কোন বয়সের বাধা মানে না। যে কোন বয়সেই মানুষ প্রেমে পড়তে পারে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের বিষয়বস্তু পাল্টে যেতে থাকে। ফ্রান্সের সবচেয়ে প্রবীণ কয়েদী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ৯৩ বছর বয়সী মার্সেল গুইলোট নামে এক ব্যক্তি ভালোবাসায় প্রত্যাখ্যাত অনুভব করায় হত্যা করলেন তার ৮২ বছর বয়সী গার্লফ্রেন্ড নিকোল এল ডিবকে। তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ওই বৃদ্ধ ‘গ্র্যান্ডফাদার মার্সেল’ বা দাদা মার্সেল নামে সমধিক পরিচিত। ওই নামটি ধরেই তাকে ডাকেন সবাই। ভালোভাবে কানে শুনতেও পান না মার্সেল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর রেইমসের একটি আদালত মার্সেলকে শারীরিকভাবে দুর্বল ৮২ বছরের ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আঘাত করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে একটি নদীতে নিকোল এল ডিবের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। সেইন্ট গিলস গ্রামে নিকোলের বাড়ির কাছের নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও গলা টিপে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

কিন্তু, একটি ঘড়ির ওপর পড়ে থাকা রক্তের ডিএনএ পরীক্ষার পরই মার্সেল ওই নারীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও শেষ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হন। মার্সেল বারবার দাবি করছেন, তিনি নিকোলকে হত্যা করেননি। ৯৩ বছর বয়সী বৃদ্ধের ভাষ্য, তিনি নিকোলকে আঘাত করেননি। তিনি বলছেন, কার্পেটে পা পিছলে ওয়ারড্রোবের ওপর সজোরে আছড়ে পড়ে নিকোলের মৃত্যু হয়। আদালতকে মার্সেল বলেন আমি জানতে চেয়েছিলাম, কেন সে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলো না। আমরা বরাবরই একসঙ্গে ভালোই ছিলাম। তিনি বলেন, আমি তাকে আঘাত করিনি। সে আমার গার্লফ্রেন্ড ছিল। পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, নিহত ওই নারীর কাছে তিনি নিজেকে অপমানিত ও হেয় বোধ করেছিলেন। ওই নারীর প্রতি তিনি ভালোবাসা অনুভব করেছিলেন। কিন্তু, নিকোল তার সঙ্গে দেখা করতে চায়নি। আর সে কারণে নিকোলের বাড়িতে গিয়ে তাকে শাস্তি দেয়ার মনস্থ করেছিলেন মার্সেল। তবে তিনি নিকোলকে হত্যা করতে তার বাড়িতে যাননি বলে বারবার দাবি করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top