রাজনৈতিক আদর্শে তাঁদের অবস্থান দুই মেরুতে। তাঁদের দল, আদর্শ সবই আলাদা। একই দেশে বাস করার পরও দুজনের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। সেটা ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর, একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে। গত বছরের শেষ দিকে দুজনের মধ্যে সর্বশেষ টেলিফোন-আলাপ হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকটি মিলও আছে।
সেটা হলো, দুজনে রাজনীতিতে এসে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। নিজ দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। দুজনেরই আছে বিপুল জনসমর্থন। তবে এর বাইরে তাঁদের মিলটি দারুণ মজার। বিশ্বকাপ ফুটবলে তাঁরা দুজনই ব্রাজিলের কট্টর সমর্থক। প্রতিবারের মতো এবারও রাত জেগে প্রিয় দল ব্রাজিলের খেলা দেখবেন তাঁরা।
কাদের কথা বলা হচ্ছে—পাঠক নিশ্চয় বুঝে গেছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শুধু এ দুজনই নন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও ব্রাজিলের অন্ধ সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপ-প্রেস সচিব প্রথম আলোকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের দল ব্রাজিল। এক সময় পেলের খেলা তাঁর ভালো লাগতো। তবে তিনি আর্জেন্টিনার খেলাও পছন্দ করেন। বিশেষ করে মেসির খেলা তাঁর খুবই পছন্দ।
খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ম্যাডাম ব্রাজিলের কঠিন সমর্থক। ম্যাডাম মনে করছেন, এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ ব্রাজিলের দখলেই যাবে।’ সংসদের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও ফুটবল খেলা বেশ উপভোগ করেন। তাঁর পরিবারের এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেছেন, যেদিন থেকে তিনি ফুটবল খেলা বুঝতে শুরু করেছেন, সেদিন থেকেই তিনি ব্রাজিলের সমর্থক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.