চীনের বিশাল ভূখণ্ডের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং খাদ্য ভোগ করছে এর বিশাল জনগোষ্ঠী। এই দেশে বিলিওনিয়ারদের সংখ্যাও অনেক। এই দেশটি নিয়ে গবেষণা করলে দারুণ কিছু তথ্য পাবেন যা বিস্ময়ের সীমা ছাড়িয়ে যাবে। এখানে চীন নিয়ে এমনই ১৬টি বিস্ময়কর তথ্য জানুন।
১. চপস্টিকের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর কাটা হয় ২০ মিলিয়ন গাছ। এই দেশে প্রতি বছর ৮০ বিলিয়ন জোড়া ডিসপজেবল চপস্টিক ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। চপস্টিক দিয়ে টাইনানমেন স্কয়ারকে ২৬০ বার ঢেকে ফেলা যাবে। যে গাছগুলো কাটা হয় সেগুলো ২০ বছরের পুরনো।
২. চীনের রেললাইন পৃথিবীটাকে দুইবার ঘুরে আসতে পারবে।
চালু রয়েছে এমন রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৯৩ হাজার কিলোমিটার।
৩. চীনে যে পরিমাণ কয়লার মজুদ রয়েছে তা ৫৭৫ মিলিয়ন নীল তিমির ওজনের সমান। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ কয়লা চীনেই রয়েছে যার পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন টন। বিশ্বের ৪৫ শতাংশ কয়লা চীনে উত্তোলন করা হয় এবং ৪৯ শতাংশ কয়লা ব্যবহার করা হয়।
৪. মাত্র দুই বছর সময়ের ব্যবধানে চীনে যে পরিমাণ সিমেন্ট উৎপাদন করা হয়, তা বিশ শতকে আমেরিকা যা উৎপাদন করেছিল তার চেয়েও বেশি। বিশ্বের চাহিদার ৬০ শতাংশ সিমেন্ট চীনে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত হয়।
৫. প্রতিবছর ১০ লাখ চাইনিজ ধূমপানে মারা যান। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এক হিসেবে দেখা যায়, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর তিন মিলিয়ন মানুষ মারা যাবেন।
৬. অলিম্পিকের সুইমিং পুলের সমান ১.২৪ বিলিয়ন সুইমিং পুলের সমান প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে চীনে। এর পরিমাণ ১০৯.৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট।
৭. চীনে বছরে যে পরিমাণ নুডলস খাওয়া হয়, তা দিয়ে আলজেরিয়ার সব মানুষকে গোটা এক বছর ধরে প্রতিদিন তিনবেলা খাওয়ানো যাবে। ২০১১ সালে ৪২.৫ বিলিয়ন প্যাকেট নুডলস খাওয়া হয়।
৮. প্রতি বছর চীনে পাঁচ হাজার ২০০টি আইফেল টাওয়ারের ওজনের সমান শূকরের মাংস খাওয়া হয়। ২০১২ সালে ৫২ মিলিয়ন টন এবং ২০১১ সালে ৫১.৬ মিলিয়ন টন শূকরের মাংস খাওয়া হয়েছিল।
৯. চীনের সেরা ২০ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ হাঙ্গেরির জিডিপির চেয়েও বেশি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৫.১ বিলিয়ন ডলার। হাঙ্গেরির মোট জিডিপি ১২৪ বিলিয়ন ডলার।
১০. চীনে ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ গুহায় বাস করে যা সৌদি আরবের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। সানজি প্রদেশে বেশিরভাগ গুহাবাসী রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় সানজিতে নির্বাসিত থাকা অবস্থায় গুহায় বাস করতেন।
১১. চীনের দাতাং ডিস্ট্রিক্টে প্রতি বছর আট বিলিয়ন জোড়া মোজা তৈরি হয়। ২০১১ সালে যে পরিমাণ মোজা তৈরি হয় তা দিয়ে গোটা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে এক জোড়া করে মোজা দেওয়া যাবে।
১২. চীনে আত্মহত্যার হার আমেরিকার দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি। চীনের প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার হার ২২.২।
১৩. চীনের আকার প্রায় আমেরিকা মহাদেশের সমান, অথচ একটি টাইম জোন রয়েছে। বেইজিং স্ট্যান্ডার্ড টাইম জোন গোটা চীনের টাইম জোন। তবে চীনে পাঁচটি টাইম জোন থাকলেও ১৯৪৯ সালে মাও সেতুং একটি টাইম জোনের ঘোষণা করেন। ফলে চীনের অনেক স্থানেই বেলা ১০টায় সূর্য ওঠে।
১৪. চীনের খাবার পদ্ধতি বিশ্বের ২৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে খাবার খাওয়ায়। আর এ জন্য চীনের মাত্র ৭ শতাংশ আবাদী জমি ব্যবহার করতে হবে। ১৯৭৮ সাল থেকে এই খাদ্য উৎপাদন তিন গুণ বেড়েছে।
১৫. চীনের জনগণের খরচ ২০২০ সাল থেকে তিন গুণ বেড়ে যাবে। ২০১০ সালে এর পরিমাণ ছিল ২.০৩ ট্রিলিয়ন ডলার। বিলাস পণ্য ভোগের সবচেয়ে বড় বাজারের মধ্যে চীন রয়েছে এক নম্বরে।
১৬. পৃথিবীর অর্ধেক শূকর রয়েছে চীনে। এর সংখ্যা ৪৭৫ মিলিয়নের মতো। কারণ এ দেশেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ শূকর খাওয়া হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.