GuidePedia

0

সীমান্তের কাঁটাতার বা বিএস এফ এর রাইফেল, ধর্ম, বা শুকনো মহানন্দা, মৃত্যুর ভয় কোন কিছুই আটকে রাখতে পারেনি পুতুল (১৮) কে। প্রেমের টানে সে ছুটে এসেছে ভারত থেকে বাংলাদেশে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া সীমান্তে।

জানা যায় পুরাতন তেতুলিয়া বাজারের মহানন্দা নদীর ওপারে ভারতের হার্বাতিয়া গছ গ্রাম। সেই গ্রামের শ্রী গাপাল চন্দ্র রায়ের মেয়ে এবং তেতুলিয়া উপজেলার মাগুরা গ্রামের মুন্নাফ আলীর ছেলে সাদেকুল (২৩) এর মধ্যে ২ বছর ধরে জানাশোনা এবং প্রেমের সম্পর্ক। সাদেক গরু ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়ায় গোপাল চন্দ্রের বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল।

ভারতে গেলে পুতুলের বাবা সাদেককে তার বাড়িতে থাকতে দিত এবং গরু ব্যবসায় সহযোগীতা করত। সেই সূত্রে সাদেকের সঙ্গে পুতুলের পরিচয়। একসময় তা প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। দুই বছর অপেক্ষার পর গতকাল সন্ধ্যা বেলায় পুতুল সাদেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে।

সাদেক তাকে চলে আসতে বলে। সে সময় ও কিভাবে এবং কোন পথে বাংলাদেশে ঢুকবে তা জানিয়ে দেয়। সাদেকের দেখানো পথে পুতুল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। সে গতকাল সন্ধ্যায় তেতুলিয়া সীমান্তের ৪৪৩ পিলার পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করলে সাদেক তাকে বাড়ি নিয়ে আসে।

কিন্তু আজ সকাল থেকে তারা দুজনই লাপাত্তা। পরিবারের কেউ বলতে পারছেনা তারা কোথায় গেছে। এ দিকে খবর পেয়ে বাঁধ সেধেছে বিএসএফ। তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুতুলকে ফেরত চায়। এ ব্যপারে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহযোগীতা চেয়েছে তারা।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে এ নিয়ে আজ দপুরে তেতুলিয়া সীমান্তের ৪৪৩ পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। পুতুলকে খোঁজার ব্যাপারে বিজিবি সহযোগীতাদেবে বলে বিএসএফকে আশ্বাস দিয়েছে।

তেতুলিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির সুবেদার মোঃ শাহজাহান বলেন পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএস এফ পুতুলকে ফেরত চেয়েছে। পুতুল সাদেক দুজনেই লাপাত্তা। পাওয়া গেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আবার আলোচনা হবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top