আফ্রিকার দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে রুটিনমাফিক নারী বন্দীদের ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেছে ফ্রিডম ফ্রম টর্চার নামক যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের উপর এই নির্যাতন চালানো হয়।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়,‘৩৪ জন নারীর মেডিকেল রিপোর্টে দেখা গেছে কারাগারে বন্দী থাকাকালীন তাদেরকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ১৮ থেকে ৬২ বছর বয়সী এই নারীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশাজীবী রয়েছেন। এদের সবাই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।’
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘নির্যাতনের শিকার নারীদের শরীরে ৬৮টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে যার মধ্যে ৫৬টি হল ধর্ষণের চিহ্ন’।
নির্যাতিতদের চিকিৎসক জুলিয়েট কোহেন বলেন, ‘কারাগারে নির্যাতনের শিকার ওই নারীদের শরীরে এমন সব চিহ্ন পাওয়া গেছে যেগুলো সাধারণত ধর্ষিতাদের শরীর থেকেই পাওয়া যায়। এসব ক্ষত চিহ্ন থেকে বোঝা যায়,কঙ্গোর কারাগারে থাকাকালীন তাদের উপর রুটিনমাফিক ধর্ষণ করা হত।’
কারাগারে ধর্ষণ প্রসঙ্গে দেশটির এক মুখপাত্র ল্যামবার্ট মেন্ডে বলেন, 'এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
ধর্ষণের রাজধানী নামে কুখ্যাতি রয়েছে আফ্রিকার সংঘাতময় এই দেশটির। ১৯৯০ সালে দেশটিতে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া হয় ধর্ষণকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.