GuidePedia

0

 ব্রিটেনের ৩৮ বছর বয়সী ক্লেয়ার টিকল হঠাৎ খেয়াল করলেন, তার পা দুটোর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। বেলুনের মতো যেন ফুলতে শুরু করেছে। একসময় অনেকটা বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসক তাকে ডায়েটিং করে ওজন কমাতে বলেন। এটি প্রায় ১০ বছর আগের ঘটনা।

কিন্তু ডায়েট কন্ট্রোলের পর পুরো দেহের ওজন কমলেও পায়ের ওপর তার প্রভাব পড়েনি একবিন্দুও। বরং সেগুলোর ওজন বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৬৩ কেজিতে পৌঁছে গেছে। যতক্ষণ জেগে থাকেন অনবরত প্রচণ্ড ব্যথায় কষ্ট পেতে হয় তাকে।

ক্লেয়ারের সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় লাইপেডিমিয়া বলা হয়। এ রোগে আক্রান্তদের পা এবং নিতম্ব অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের কারণে ফুলে যায়। এটি থেকে পুরোপুরি আরোগ্যলাভ সম্ভব নয় বলে চিকিৎসায়ও তেমন সুফল পাওয়া যায় না। জেনেটিক ডিজঅর্ডারের কারণে এমনটা হয় বলে সাধারণত বংশপরম্পরায় রোগটির সংক্রমণ ঘটে।


ক্লেয়ারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ১৬ বছর বয়সে প্রথম তিনি দেখেন, তার পা দুটি যেন গোড়ালির ওপর ইলাস্টিক ব্যান্ডের মতো ভাজে ভাজে আটকে গেছে। পরের সাত বছর পা দুটো নিয়ে যতবার চিকিৎসকের কাছে গেছেন, প্রত্যেকবারই পারিবারিক চিকিৎসক তাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন, একটু বেশি ওজনের বলেই তার পায়ের এমন দশা। ৩২ বছর বয়সে অ্যাকজিমার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বুঝতে পারেন, ক্লেয়ার লাইপেডিমিয়ায় আক্রান্ত। তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

ক্লেয়ার এখন অপেক্ষা করে আছেন ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) লাইপোসেকশনের নতুন একটি ধরন চালুর। তখন হয়তো ঘুম থেকে উঠেই দুঃসহ ব্যথায় কাতরাতে হবে না আর তাকে!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top