GuidePedia

0
দু’জন দুই জগতের। একজন উঠতি নায়িকা। অন্যজন খেলোয়াড়। ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম, অন্তরঙ্গতা। টেলিফোনে দীর্ঘ আলাপ, বাসায় যাতায়াত। এত কিছু করার পরও তারা দু’জন এখন দুই মেরুতে। অবিশ্বাস থেকে একজন মামলা করেছেন অন্যজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রতারণা করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের। অভিনেত্রী হ্যাপি আর পেসার রুবেল হোসেনের এই ‘প্রেম-প্রতারণার’ আলোচনায় ঝড় বইছে দুই অঙ্গনে। এরই মধ্যে হ্যাপির করা মামলায় জামিন পেয়েছেন রুবেল। হ্যাপি প্রথমে বিয়ের শর্তে সমঝোতায় রাজি হলেও এখন বলছেন আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে। তিনি জানিয়েছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো তার কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। আছে, ছবি ও কথোপকথনের অডিও। গতকাল এমন একটি অডিও মানবজমিন-এর হাতে এসেছে। রুবেলের সঙ্গে হ্যাপির এলোমেলো ফোনালাপের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।

রুবেল: এটা তুমিও জানো আমিও জানি…
হ্যাপি: আমি এগুলো শুনতে চাই না…
রুবেল: এটার চাইতে চরম কোন সত্য কথা দুনিয়াতে আর নাই।
হ্যাপি: এটা কিসের সত্যি কথা? আপনি আমাকে আজকে যে অ্যাটিচিউড দেখাইছেন না…আপনি একজন সেলিব্রেটি…একটা কথা বলে রাখি আমি সেলিব্রেটি (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) না। যত বড় সেলিব্রেটি হোক না কেন?
রুবেল: মেজাজটা গরম করতাসো। তুমি আমারে কি বলতেছো? তোমার মাথা ঠিক আছে।
হ্যাপি: আমার মাথা ঠিক আছে।
রুবেল: এই তোমার সাথে কি সেলিব্রেটি (প্রকাশ অযোগ্য)।  তোমার সাথে কি আমার সেলিব্রেটির কোন কথা…
হ্যাপি: না, আমার সেইটাই মনে হইছে যে, আমি একজন সেলিব্রেটিকে ফোন দিছি। যে মহা ব্যস্ত।
রুবেল: সেলিব্রেটিরে ফোন দিছো মানে…আমার কথা শোন, আমার শরীরডা যে কি অবস্থা খারাপ…তুমি কি জানো আমি নেক্সট ম্যাচ মাঠে খেলতেও পারি, নাও পারি।
হ্যাপি: আপনি তো নতুন আজকে ক্রিকেট খেলতেছেন। এইজন্য নতুন আজকে মাঠে নামছেন, আপনার প্রথম দিন খেলে গা’ ব্যথা হয়ে গেছে।
রুবেল: শোন, এই যে, তোমার কোন নো আইডিয়া টেস্ট ক্রিকেটে কি পরিমাণ কষ্ট হয়, কি পরিমাণে শরীর ব্যথা করে।
হ্যাপি: আমি জানি কি করতে হয়।
রুবেল: তোমার কোন আইডিয়াই নাই। আমি তোমাকে বলি, সারা শরীর কি যে ব্যথা, আমি…এতটা খারাপ, আমি নেক্সট ম্যাচে নাও খেলতে পারি, তুমি জানো? তা তো শুনবা না (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) আমি আজকে সারাদিন…সন্ধ্যার পর থেকে ডাক্তারের সঙ্গে, আমার ট্রিটমেন্ট চলতেছে। ঠিক আছে? তুমি তো বুঝো…ওইখান থেকে আসলাম, আসার পর আমার এক খালা আসছে খুলনায়, ঠিক আছে? আমাদের রিলেটিভ…আত্মীয়, ঠিক আছে? সে আসলো…আত্মীয়-স্বজন পিচ্চিপাচ্চা কতগুলোরে নিয়া…আইসা সব প্লিয়ারের সঙ্গে…সব প্লিয়ার না ৪-৫ জন প্লিয়ারের সঙ্গে ছবি-টবি তোলাইয়া দিলাম, ঠিক আছে? তারপর ওরা অনেকক্ষণ ছিল, প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট ছিল রেস্টুরেন্টে, ঠিক আছে? তারপর তারা ছিল, তারপর তারা ছবি-টবি তুইলা চইলা গ্যাছে।
তারপর আসলাম ডিনার করতে সাকিব ভাইগো লগে, তারপর ডিনার-টিনার কইরা আমি একটু আগে আসলাম। ঠিক আছে? আইসা আমার এক (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) আমারে কয় কিরে তোর ফোনটোন বন্ধ। এই নাম্বারও বন্ধ, ওইটাও বন্ধ। আমি কই ওই শালার পুত আমার নাম্বার তো দুইটাই খোলা, ঠিক আছে। তারপর ওই নাম্বারে ওরে একটা ফোন দিলাম, আমি এমন এক বোকা (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)… ওরে ফোন দিয়াই তুমি ওই টাইমে আমারে ফোন দিছো। তুমি যে আমারে এইডায় ফোন দিবা…আমি তো ভয়ে তাড়াতাড়ি ফোন কাটতে কাটতে দেখি তুমি ওইডায় চইল্যা গেছো। আমি তো জানি তুমি তো ওইডায় ফোন দিবাই। আমি তোমারে চিনি না, আর তুমি ভাবো কি, বাবা? আমি তোমারে… এরকম করে কথা বলবো কোন মেয়ের সাথে। তুমি আমারে…
হ্যাপি: আমি আর কোন বোকামি… কোন রকম ভুল…
রুবেল: হ্যাপি, আমি একটা মিথ্যা কথা বলি নাই জানো…
হ্যাপি: আমি তোমাকে এখন আর তোমাকে বিশ্বাস করি না।
রুবেল: চুপ…চুপ…চুপ…
হ্যাপি: আমি এখন আর তোমাকে একটুকুও বিশ্বাস করি না।
রুবেল: এই চুপ…চুপ…চুপ…একদম ঠোঁট কামড়াইয়া ধরবো কিন্তু…চুপ
হ্যাপি: আমি…
রুবেল: চুপ..আমার কথা শোন… কথা শোন…উহু কথা শোন…তারপর দ্যান আমি তো জানি তুমি তো আমাকে ফোন দিবাই ওইটাতে…সাথে সাথে…আমি তো সব কথাই জানি, ঠিক আছে? এবং আমি তাও জানি, তুমি আমারে এই নাম্বারে ফোন দিতে পারো, ঠিক আছে? কারণ তোমার সাথে আমি সন্ধ্যার পরে কথা ওইরকমভাবে হয় নাই, ঠিক আছে। সত্যি কথা আমি আইজক্যা অনেক ব্যস্ত ছিলাম, ঠিক আছে? ব্যস্ত ছিলাম আমি সাড়ে সাতটা…অলমোস্ট আটটা পর্যন্ত… আমি ছিলাম ডাক্তারের সঙ্গে। বিশ্বাস করো কথা…আমি তার সাথে ছিলাম। তারপর ওইখান থিকা আমার খালা আসছে তার সঙ্গে দেখা করতে গেছি। তারা অনেকক্ষণ ছিল আমার সাথে। রেস্টুরেন্টে বসা। তো অনেক প্লেয়ার গেছে ওইখানে…ছবি তুলছি…ছবি-টবি তুইলা তারপর সাকিব ভাইরে ফোন দিলাম, সে আসলো…তার সঙ্গে ছবি-টবি তোলাই দিয়া তারপর আমি কইছি, ভাই আপনি রুমে যান, অর্ডার দেন… আমি আসতেছি। বিশ্বাস করো তারপর এই যে কথা বলতে বলতে, ঠিক আছে? তার সাথে….তুমি তো জানো, আমি তোমারে ছাড়া কথা বলবোই না…দুই-একটা ঘণ্টা এরকম একটু সমস্যা…
হ্যাপি: আমি বলছি মানে আপনার কথা বলতে হবে তাই আপনি কথা বলতেন। আমার কোন দরকার নাই। আমি সব বুঝে গেছি রুবেল…আমি খুবই বোকা…
রুবেল: হ্যাপি…আমি তোমাকে একটা কথা বলি…
হ্যাপি: আমি নিজের ভাল বুঝি না আসলে..
রুবেল: আমার একটা কথা শোন হ্যাপি। তোমার একটু বোঝা উচিত হ্যাপি…আমার একটু বিজি সময় কাটতেই পারে…তাই না…আমার প্রফেশনটা তোমার দেখতে হবে…আমার যদি কোন মিটিং থাকতো…আমার যদি টিমের কোন টিম-ডিনার থাকতো, তুমি বলো, তাহলে তুমি কি করতা? আমাদের এই প্রফেশনে বিজি সময় থাকাটা খুব স্বাভাবিক। আমাদের প্রফেশনে এইরকম, আমাদের বিজি সময় থাকতে হয়। দেখ আমি যতটুকু…আমি যখনই ফ্রি হই… তোমাকে নক করি…ঠিক আছে? আমি জানি তোমরা ঝগড়া (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) বেশি, একারণে আমি যতটা সম্ভব তোমার সাথে কন্ট্যাক্টটা রাখার চেষ্টা করি, ঠিক আছে?
হ্যাপি: থাক…এত কষ্ট আর করতে হবে না…
রুবেল: তারপর যদি তুমি আমার সাথে এমন করো হ্যাপি…
হ্যাপি: এত কষ্ট তোমাকে আর করতে হবে না, বললাম তো…এত কষ্ট করার কোন দরকার নাই।
রুবেল: তুমি আমারে শুধু শুধু ভুল বুঝো…আমি আজকে  অনেক ব্যস্ত ছিলাম…আমি তো না বাবা…তুমি তো জানো আমি আজকে হোটেল থেকে বের হতে পারি নাই আর কি। তুমি খুব ভাল মতোই জানো। আমি আজকে শালা, আমার যে শরীরের যে অবস্থা…আমি আজকে ইম্পসিবল। তুমি আমারে কোনরকম উল্টাপাল্টা কোন ব্লেম দিবা না। আমি তোমাকে ওয়ার্নিং করতেছি।
হ্যাপি: আমি আপনার সাথে কোন ব্লেম দিতে চাচ্ছি না। আপনি আজকে দেখেন না, প্রতিবার ঘুঘু যে ধান খায় না, ফেসবুক থেকে ব্লক করছি, আমার ফোনে ব্লকটা হচ্ছে না, আমি এয়ারটেলে কল করছিলাম…ওদের বলছি, ওদের একটা প্রবলেম হইছে…২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হইয়া যাবে। তো ২৪ ঘণ্টা পরে…
রুবেল: আচ্ছা, রিসেন্ট আমি তোমার সঙ্গে কি করছি?
হ্যাপি: আপনি আমার সঙ্গে কিছু করেন নাই। আমি আপনার কোন কথা বিশ্বাস করি না এখন। আমি আপনার কোন কথা বিশ্বাস করতে পারবো না।
রুবেল: দেখছো…তোমার ভেতরে…
হ্যাপি: আপনি আমার সঙ্গে কথা বললেন…এরপর ফোন লাইন…আমি তো আমি গেস করছি আপনি কারও সঙ্গে কথা বলছেন। আমি শিওর ছিলাম যে…আপনি দুইটা উইকেট পাইছেন… অনেক ভাল খেলছেন।
রুবেল: তুমি বিশ্বাস করো, শোন আমার কথাটা তুমি বিশ্বাস করবা তো…
হ্যাপি: আপনার প্রতি মুহূর্ত শেয়ার করার মতো পারসন আমি না…আপনি প্রতিমুহূর্ত শেয়ার করবেন অন্য কারও সঙ্গে…সো আমি সেটা হতেও চাই না।
রুবেল: আরে দূর শালা…আমি কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বলছি নাকি (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)। হেই তুই আমার ওই নাম্বার তোর ধারে রাখিস (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)।
হ্যাপি: আমার কোন দরকার নাই। আমি কোন বিষয়ে আর নাই।
রুবেল: সত্য কথা (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) উইঠা গেছে দুনিয়া থিকা। এই জন্য মেজাজটা তোমার ওপর আমার গরম হয় (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)। আমার কি বন্ধু-বান্ধব থাকতে পারে না? বন্ধু-বান্ধব কি ফোন দিতে পারে না? বলো? তোমার জন্য কি আমি সব বন্ধু-বান্ধব ক্যান্সেল করে দিব নাকি? লাইফটা কি কোন আমার টোটালি ডায়েরিতে রাখবো, নাকি আমার লাইফটাকে। আমি আমার ছেলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও কথা বলতে পারবো না, আজব…এগুলো কি হ্যাপি? আমি আমার ছেলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও কথা বলতে পারবো না…দেখা করা তো বাদ দিয়া দিছি…এখন থিকা…
হ্যাপি: আপনি কোন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন না…এটা আপনি যতটাই বলেন না কেন আমি তো বিলিভ করবোই না…
রুবেল: আচ্ছা তোমার কি মাথা গ্যাছে হ্যাপি? আমি জানি না, তুমি আমারে ফোন দিবা আমার মনে কি ওই ভয়টা নাই? তুমি আমারে ফোন দিয়া যদি ওয়েটিংয়ে দেখ তারপর তো আমার গুষ্ঠি (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) একবারে জানাই দিবা।
হ্যাপি: নাহ্‌ আপনার কেন ভয় থাকবে? ভালবাসলে ভয় থাকে আপনার কোন ভালবাসা নেই, ভয় পাবেন কেন?
রুবেল: বাবু, তোরে আমি ভালবাসি না- এই কথা মুখ দিয়া উচ্চারণ কইরো না।
হ্যাপি: দেখেন, আপনার সঙ্গে আমার রিলেশন হওয়ার পরে…
রুবেল: তোকে আমি ভালবাসি…এই চুপ করো…এই তুমি চুপ করো…
হ্যাপি: জাস্ট টু মিনিট, আপনার সঙ্গে আমার রিলেশন হওয়ার পরে আপনি মনে হয় এই খুলনা সিরিজে ভাল খেলছেন। মানে তুলনামূলক এইটাতে ভাল খেলছেন। মানে পেশার জন্য যদিও কঠিন উইকেট পাওয়া…দুইটা উইকেট পাইছেন…একটাতে বলিং করে সেই বলে তুমি ক্যাচ করেছো… তো তোমার জন্য বড় একটা অ্যাচিভমেন্ট। তো এই বড় অ্যাচিভমেন্ট টা…
রুবেল: তোমার সঙ্গে রিলেশন হওয়ার পরে…আমি তোমাকে বলি…তোমার সঙ্গে রিলেশন হওয়ার পরে আমি মাত্র একটা ম্যাচ খেলছি…আর এই আরেকটা ম্যাচ গেল
হ্যাপি: একটা ম্যাচে তুমি ভাল করনি…এই ম্যাচে তুমি ভাল করছো..
রুবেল: ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি ভাল খেলছি। আমি ভাল করি নাই কে বলছে? ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি ভাল বলিং করছি টেস্টে…উইকেট পাইছি একটা কিন্তু বলিং আমার ভাল হইছে। আমার ওপর সবাই খুশি, ঠিক আছে? কোচার-মোচার সবাই আমার খুশি। পরের ম্যাচটা আমার ঘাড়টা লক হয়ে গেছে আমি খেলতে পারি নাই।
হ্যাপি: যাই হোক…তো…

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top