GuidePedia

0

তাঁরা সকলেই ছিলেন নামী অভিনেত্রী কিংবা দারুণ সম্ভাবনাময়। কিন্তু একটি আচমকা দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা কিংবা রহস্যময় মৃত্যু কেড়ে নিয়েছে তাঁদের জীবন। তবে জীবনের ওপারে গিয়েও দর্শকের স্মৃতি থাকে তাঁরা হারিয়ে যাননি, আজও তাঁদের স্মরণ করে বলিউড। চলুন আজ জানি ৫ বলিউড সুন্দরীর নির্মম কাহিনী।
মীনাকুমারী :
একজন শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। তারপর প্রায় ৩০ বছর ধরে ৯০টি ছবিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন তিনি। পাকিজা, সাহেব বিবি অউর গোলাম, বৈজু বাওরা, পরিণীতার মতো ছবিগুলোতে মীনাকুমারীর অভিনয় অবশ্য উল্লেখযোগ্য। ১৯৭২ সালে ৩১ মার্চ মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু শেষ সময়ে খুবই করুণ অবস্থায় পড়েছিলেন এই ডাকসাইটে অভিনেত্রী। সিরোসিস অফ লিভার-এ আক্রান্ত হন তিনি। চরম অসুস্থ অবস্থায় পাকিজার শুটিং শেষ করেছিলেন তিনি। শোনা যায়, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় বিল মেটানোর মতো আর্থিক অবস্থা ছিল না অভিনেত্রীর।
স্মিতা পাতিল :
আটের দশকের প্যারালাল সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ছিলেন স্মিতা পাতিল। শাবানা আজমির সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর চলত তাঁর। বাণিজ্যিক ছবিতেও তিনি যথেষ্ট ক্যারিশমা দেখিয়েছেন। ‘নমকহালাল’-এ অমিতাভের বিপরীতে আজ রপত জায়ে গানটি এখনও সুপারডুপার হিট। অভিনেতা রাজ বব্বরের সঙ্গে তাঁর উত্তাল প্রেম সেসময় দারুণ চর্চিত বিষয় ছিল। পরে তাঁকেই বিয়ে করেন স্মিতা। ১৯৮৬ সালে সন্তান প্রসবের সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
পারভিন ববি : 
আটের দশকের বলিউডি সেরা সুন্দরী ছিলেন পরভিন ববি। অসাধারণ সুন্দরী এবং তেমনই আবেদনময়ী। অভিনয়ের থেকেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষজনের আগ্রহ ছিল বেশি। প্রযোজক-পরিচালক মহেশ ভাটের সঙ্গে তাঁর দুর্দান্ত প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ১৯৮৩ সালে নিউ ইয়র্ক চলে যান। পাঁচ বছর পর ফিরে এলেও মানসিক অস্থিরতা কাটতে চায় না। সবসময় ভীত হয়ে থাকতেন তিনি। ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি তাঁর ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। শোনা গিয়েছিল, দেহ উদ্ধার হওয়ার তিন দিন আগে থেকেই তিনি দুধের প্যাকেট বা খবরের কাগজ গেটের বাইরে পড়েছিল।
দিব্যা ভারতী :
ইনি এমন একজন অভিনেত্রী যিনি মাত্র দুই বছরে প্রায় ১২টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। যার অবশিরভাগই হিট। বিশ্বাত্মা, দিওয়ানা, বলবান, শোলা অউর শবনম তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম।কিন্তু ১৯৯৩ সালে হঠাৎই তাঁর পাঁচতলা অ্যাপার্টেমেন্টের ব্যালকনি থেকে পড়ে যান। এখানেই তিনি তাঁর প্রযোজক-পরিচালক স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে থাকতেন। এখানেই তিনি তাঁর প্রযোজক-পরিচালক স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে থাকতেন।
জিয়া খান : 
রামগোপাল ভার্মার ছবি দিয়ে কাজ শুরু করলেও পরে দুএকটি সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্র ছাড়া সুযোগ পাচ্ছিলেন না জিয়া খান।ক্রমশ হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন। তাই বেছে নিলেন আত্মহত্যার মতো চরম পথ।২০১৩ সালে ৩ জুন মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের ফ্ল্যাটের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দেন তিনি। সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে কেরিয়ারের ব্যর্থতার উল্লেখ থাকলেও পরে জানা যায়, প্রেমিক সুরজ পাঞ্চালির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও তাঁকে ওইদিকে ঠেলে দিয়েছিল।
সৌজন্য- দৈনিক কালের কণ্ঠ (ঈষৎ সংক্ষেপিত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top