GuidePedia

0
টিনএজাররা আজকাল ইমোশনে ভোগেন বেশি। এতে তার জীবনটা হয়ে ওঠে রংহীন ক্যানভাসের মতো। তাই ইমোশনে মোশন, আবেগে বেগ একদম নয়।
১৮-১৯ বছরের ছেলেমেয়েরা ইমোশনে ভোগেন বেশি

আঠারো বা উনিশ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা নিজেদের ইমোশনের কারণে অনেক সময়ই খুব বিব্রত থাকে। শৈশব আর কৈশোরের এই সন্ধিক্ষণে সামাজিক চাহিদা মনের ওপর চাপ তৈরি করে। অন্যের চাহিদা ও নিজের ভালো লাগার মধ্যে ব্যবধান তৈরি হয়। নিজের মতামত ঠিক করে প্রকাশ করতে না পারলে অথবা বাবা-মায়ের কাছ থেকে সেই মতামতের স্বীকৃতি না পেলে রাগ হয়, অভিমান জমে।

এক সময় টিনএজার ছেলেটি বা মেয়েটি নিজের সঠিক আইডেন্টিটি সম্পর্কে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে। কিন্তু রাগ, অভিমান, আবেগ, ভালোবাসার ভারসাম্য ঠিকমতো বজায় রাখতে পারলে, সোজা কথায় নিজের ইমোশনকে নিয়ন্ত্রণ রাখার কৌশলগুলো শিখে নিতে পারলে পথচলা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

ইমোশনের তিন ধাপঃ

ইমোশনকে মোটামুটিভাবে তিনটি বেসিক স্তরে ভাগ করা যায় – ফিয়ার বা ভয়, অ্যাঙ্গার বা রাগ এবং অ্যাফেকশন বা ভালোবাসা।

মানুষ ভয় পায় কেনঃ

যেকোনো ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে বা ইনসিকিওরড ফিল করলে মনে ভয়ের সঞ্চার হয়। পরীক্ষা, অসুখ, শারীরিক বা মানসিক কষ্ট, প্রিয়জনের সঙ্গে ব্যবধান তৈরি হওয়ার চিন্তা, ব্যর্থতাসহ যেকোনো কারণেই মানুষ ভয় পেতে পারে।

ভয় কমানোর উপায়ঃ

প্রথমে চেষ্টা করুন ভয়ের কারণটাকে খুঁজে বের করতে। তারপর যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখুন। কেন ভয় পাচ্ছেন, তা একবার স্পষ্ট হয়ে গেলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে।

কোনো লক্ষ্য স্থির করার সময় ভেবে দেখুন।  আপনার মধ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপযুক্ত রসদ মজুত আছে কি না। নিজের সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে বড় টার্গেটের স্বপ্ন দেখা কিন্তু একধরনের বোকামি। লক্ষ্য স্থির করার পর যোগ্যতা দিয়ে সাহসের সঙ্গে তাকে অর্জন করার চেষ্টা করুন।

রাগ কমাবেন কী করেঃ

অ্যাঙ্গার বা রাগ। ভয়ের মতো এটিও মনের নেতিবাচক অনুভূতি। আপনার হাজারটা গুণ থাকতে পারে, কিন্তু যদি রাগকে বশে রাখতে না পারেন, তবে লাভের ঘরে শূন্যই থেকে যাবে। এমন হতেই পারে, কোনো ঘটনায় বা কারও ব্যবহারে আপনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে কয়েকটা ধাপ বা স্টেপ অনুসরণ করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top