GuidePedia

0

পৃথিবীতে যেসব সফল ব্যক্তিরা রয়েছেন তারা ২০ বছর বয়সে কেমন জীবন যাপন করেছেন এটা জানার কৌতুহল থাকতে পারে অনেকের।
হাফিংটন পোস্ট আজকের সফলদের কাছে জানতে চায়, জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা ২০ বছর বয়সে কেমন জীবনযাপন করেছেন? এখন যারা বিশের কোঠায় পা রেখেছেন, তাদের জন্য তারা ১১টি পরামর্শ তুলে ধরেছেন।
১. হেডস্পেস এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি পডিকম্বি বলেন, আমি সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলাম। সবকিছুই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছিল। দুনিয়ার যাবতীয় বিষয় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলাম। আমি শুধু বলতাম, সব ঠিক হয়ে যাবে। সব ঠিক হয়ে যাবে।
২. ওয়েল-বিয়িং লাইফস্টাইল এক্সপার্ট এবং সেল্ফ ম্যাগাজিনের সাবেক এডিটর-ইন-চিফ জানান, নিজের উড়ু উড়ু মনটাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকবেন না। যে সকল ধ্যান-ধারণা নিয়ে আবিষ্ট থাকতাম, সেগুলো নিয়ে আমাকে কেমন মনে হয় তা বোঝার চেষ্টা করতাম। আমার এক বন্ধুকে স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে দেখেছি। ওই যুদ্ধে সে হেরে যায়। তখন আমি ভাবি, আমি কতো ভাগ্যবতী যে আমার দেহটি সুস্থ-সবল রয়েছে। ত্যাগের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো পথটি এগিয়ে গেছে। আর এই ত্যাগের পথে ভাবার প্রয়োজন নেই যে, আপনি দেখতে কেমন।
৩. আমার ২০ বছর বয়সী মেয়েকে যে শিক্ষা দিয়েছি তাই আমি সবাকে দেব। নিজের খাবার নিজেকেই রান্না করে খেতে হবে। এমন কাউকে দিয়ে এ কাজ করানো যাবে না যে কিনা অচেনা, বললেন লেখিকা এবং প্রযোজক লরি ডেভিড।
৪. অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা এবং লেখক মেসন জায়িদ বললেন, আমার ২০ বছর বয়সের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ঋণে জড়াবেন না। ক্রেডিট কার্ড নয়, নগদ টাকায় কেনাকাটা করুন। আমি ওই বয়েসে ২৫ হাজার ডলার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ঋণে জড়িয়েছিলাম।
৫. বিশে আমি বোঝার চেষ্টা করতাম আগামীকাল ভিন্ন একটি দিন আসবে। তখন সময় আজকের মতো নাও যেতে পারে। আপনার মনের মতো করে ঘটনা নাও ঘটতে পারে। ধৈর্য্যশীল হতে হবে। আর বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, এ পরামর্শ দেন ডলসি অ্যান্ড গাব্বানা ইনকরপোরেটের প্রেসিডেন্ট ফেডরিকা মালচিওনি।
৬. দ্য আল্ট্রাওয়েলনেস সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা এবং ফরংশনাল মেডিসিনের পদাধিকারী ড. মার্ক হেম্যান বলেন, বিশ বছর বয়সে আমি নিজেকে নিজেই উপদেশ দিয়ে বলতাম, আমার যা দরকার তার খেয়াল রাখার বিষয়ে এই পৃথিবীর ওপর নির্ভর করা যায়। কাজেই ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়, বর্তমানকে উন্মুক্ত করার ওপরই আস্থা রাখতে হবে।
৭. জাকারবার্গ মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং ডট কমপ্লিকেটেড এর এডিটর-ইন-চিফ র‍্যান্ডি জাকারবার্গ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমার স্বপ্ন ছিলো ব্রডওয়ে থিয়েটারের গায়িকা হওয়ার যা কখনো পূরণ হবে না বলে জানতাম আমি। কারণ নিউ ইয়র্কে গিয়ে অডিশনের লাইনে দাঁড়ানো আমাকে দিয়ে হবে না। পরে আমি নিজেকে বলি, অনেক স্বপ্ন আছে পূরণ করার মতো। কারণ তার দুই মাস আগে আমি ব্রডওয়েতে ‘রক অব এজেস’-এ অংশ নিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে এসে আমি প্রযুক্তির পথে হাঁটতে শুরু করি। এক সময় সুযোগ আসে নিজের ব্র্যান্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করা।
৮. বিশের কোঠার সময়টি দারুণ ছিলো। চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে বিশ্বাস ধারণ করতে হবে যে, সামনেই এই টানেলের শেষ রয়েছে, বলেন সেরা বিক্রয় তালিকায় থাকা বইয়ের লেখক এবং বক্তা আগাপি স্ট্যাসিনপোলাস।
৯. ইউএসসি কিক স্কুল অব মেডিসিন এবং ভিটারবি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ড. ডেভিড আগাস বলেন, কোনো কাজে সফলতা আনার চেষ্টা করে দেখলেন, যতো সহজ মনে হয়েছিল ততো সহজ নয়। এই সময়টাতে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং কাজ করতে থাকুন। বাকি কাজ আপনা-আপনি হয়ে যাবে।
১০. ইউনিভার্সিটি অব পেনসেলভিনিয়ার ওয়ার্টন স্কুলের প্রফেসর ও লেখক আ্যাডাম গ্র্যান্ট বললেন, কল্পনায় প্রথম দর্শনেই ভালোবেসেছিলাম হলিউডকে। কিন্তু দেখামাত্র তা চলে যায়। দেরি করার চেয়ে দ্রুত নিজের ভালো লাগা বা কল্পনার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ এক সময় আপনাকে তার মোকাবিলা করতেই হবে।
১১. আধ্যাত্মিক শিক্ষক প্যানাচি দেশাই পরামর্শ হিসেবে একটা ভাবনার কথা বলেন। তা হলো- সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top