
গাই এবং স্ট্রেইট দম্পতিরা যৌনতার একই পৌনঃপুনিকতার অভিজ্ঞতা লাভ করে। তারা কথা বলে কে যৌনতার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে তারা সন্তান ধারণ করবে কি না। তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমভাবে সন্তুষ্ট। অনেক গাই লোক তাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা গোপন রাখে। সাধারণভাবে তারা বলে থাকে তাদের নিজস্ব খাস কামরার মধ্যে। তারা তাদের ভালোবাসার লোক হারানোর ভয়ে যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে গোপন রাখে, তাদের বাসস্থান ও চাকরি হারানোর ভয়েও তারা প্রকাশ করে না। বেশি সংখ্যার গাই লোক এবং যারা বেশি মূল্যের বলে তাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে মূল্যায়ন করে। তারা খোলা জায়গায় তাদের জীবনযাপন করে এবং অন্যের সাথে বাইরে চলাফেরা করে।
অনেক লোক আছে যারা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক লোকের সাথে বাইরের জীবন কাটাতে ভালোবাসে- তাদের সহকর্মীদের সাথে, কিন্তু পরিবারের সাথে নয়। অন্যরা সব মানুষের সাথে বাইরে জীবন কাটাতে পছন্দ করে। বাইরে চলে আসাটা হচ্ছে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা এমন একটি সিদ্ধান্ত যা গাই লোকদের বারবার করতে হয়। প্রত্যেকবারেই তাদের জীবনে নতুন মানুষের আবির্ভাব ঘটে। আমাদের সমাজে হোমোফোবিয়া ও অ্যান্টিগাইদের পক্ষপাতের প্রতিক্রিয়ার ফলে গাই লোকেরা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায় গড়ে তুলেছে, যেখানে তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করে। বর্তমানে গাইদের সংস্কৃতি একটি বাড়ন্তরূপ নিয়েছে। অনেকগুলো নগরে যেমন নিউইয়র্ক ও সানফ্রানসিসকোতে গাই হওয়াটা এখন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে যাচ্ছে।
গাই সম্প্রদায়ের জন্য এখন রয়েছে পানশালা, রেস্তোরাঁ, ড্যান্স ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার এবং ম্যাগাজিন। ১৯৬০ দশকের শেষের দিকের গাই মুক্তির পর থেকে লেসবিয়ান, গাই এবং বাইসেক্সুয়াল নারীরা এবং পুরুষরা একই অধিকার অর্জনের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন, যেসব অধিকার স্ট্রেইট লোকদের জন্য দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনের ও নাগরিক অধিকার যা বিবাহিত স্ট্রেইট লোকদের দেয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.