GuidePedia

0

What is the loveআলমগীর-রুনা লায়লা

তারা দু'জনই স্ব-স্ব জগতে সুপারস্টার। একজন অভিনয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন অসীম আকাশে, অপরজন সংগীতে খ্যাতি পেয়েছেন বিশ্বজোড়া। আর এই তারকা দম্পতি হচ্ছেন আলমগীর ও রুনা লায়লা। আলমগীর বললেন, 'আমার কাছে ভালোবাসার অপর নাম বিশ্বাস। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। ভালোবাসার পরিধি ব্যাপক। আমার দুই নাতনীকে আমি খুব ভালোবাসি। তাদের প্রতিও আমার ভালোবাসা কাজ করে।' রুনা লায়লা বললেন, 'ভালোবাসা মানে হলো একে অন্যের প্রতি সম্মান। একজন মানুষের প্রতি আমার সম্মান না থাকলে ভালোবাসাও জন্মায় না।' বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হতো। এ প্রসঙ্গে রুনা লায়লা জানালেন, আমি যেহেতু প্লেব্যাক করি, সেহেতু বিভিন্ন গানের রেকর্ডিংয়ে থাকত ও, সেখানেই সাক্ষাত্ হতো। তবে 'শিল্পী' চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হই আমরা। আর আলমগীরের ভাষ্যে, 'প্রথম দেখাতেই প্রেম কথাটা আমাদের ক্ষেত্রে ঘটেনি। তবে ভালোলাগা শুরু থেকেই ছিল। সেখান থেকেই ভালোবাসা।' এই তারকা দম্পতির কাছে আমরা প্রশ্ন রেখেছিলাম, আপনারা এত আদর্শ জুটি হলেন কীভাবে? তার উত্তরে রুনা লায়লা বললেন, 'আমরা দুজনেই পেশাদার জীবনটাকে আলাদা রেখেছি। সাধারণত আমরা একে অন্যের পেশাগত দিক নিয়ে নাক গলাই না। খুব প্রয়োজন হলে আলোচনা করি, পরামর্শ করি।' আলমগীর বলেন এভাবে, 'আমরা নিজ নিজ আইডেন্টিটি মেনে চলি। ঘরে এলে পারতপক্ষে আমরা পেশা নিয়ে আলোচনা করি না।'

ইনামুল হক-লাকি ইনাম

আমার কাছে প্রেম ও নিসর্গ সবসময় এক হয়ে দেখা দিয়েছে। মানুষের মাঝে যেমন প্রেম আছে তেমনি নিসর্গের মাঝেও প্রেম খেলা করে সারাবেলা। প্রকৃতির কাছ থেকেই মানুষ শিখতে পেরেছে জানতে পেরেছে ভালোবাসাকে। ভালোবাসা অর্থহীন। কোনো সমীকরণ দিয়ে ভালোবাসাকে বাঁধা যায় না। তবুও ভালোবাসা শত সহস্র বছর ধরে মানুষের মনে এসেছে এবং আসবে। এমনি ভাবে ভালোবাসার সম্বন্ধে বললেন ড. ইনামুল হক। ইনামের সাথে আমার সম্পর্কের মাঝে যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় ছিলো তা হলো বিশ্বাস। আমি মনে করি প্রেম বেঁচে থাকে পরস্পরের বিশ্বাসে। যে প্রেমে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয় সেখানে হয়ত প্রেম থাকে না, থাকে সামাজিকতাকে রক্ষা। বসন্তের রঙে প্রেম সবসময়ই আরও রঙিন হয়েছে। বসন্ত কখনোই বিরহ হয়ে দেখা দেয়নি প্রেমে বরং মানব মনে বসন্ত প্রেমে পুষ্টি জুগিয়েছে আদি থেকে। প্রত্যেকটি মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে বসন্তের রঙে প্রেমকে অনুভব করে বলে বিশ্বাস করেন লাকি ইনাম। আর এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কি অস্থির প্রেমের প্রকাশে? এই প্রশ্নের উত্তরে ড. ইনামুল হক বলেন, 'এখনকার ছেলে-মেয়েরা যে কিছুটা অস্থির নয় প্রেম প্রকাশে তা কিন্তু না। পুরো যুগটাইতো এ প্রজন্মের কাছে অস্থিরতা নিয়ে ধরা দিয়েছে। তার মানে কিন্তু এই নয় তাদের প্রেমের মাঝে কোন সরলতা নেই বা নান্দনিকতা নেই। আমি বরাবরই এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে আশাবাদী। তাদের নিয়ে অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি। তারাই বড় স্বপ্ন গড়তে জানে যারা প্রেমিক।' লাকি ইনাম বলেন, 'প্রজন্মভেদে প্রেমে পরিবর্তন কিছুটাতো হবেই। কিন্তু প্রেমের যে নির্মল আবেদন তা যেমন আমাদের সময় ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।'

নাসির উদ্দিন ইউসুফ-শিমুল ইউসুফ

জীবনের আবেগগুলো অর্থহীন পঙক্তি হয় ব্যাখ্যাতীত ভালোবাসার শিরোনামে। ফাগুনের মুগ্ধ প্রহরে যে এসে দাঁড়ায় আপন দুয়ারে সে যেন কতদিনের চেনাজানা। প্রহরে প্রহরে অহেতুক শব্দের ব্যঞ্জনা। প্রথম ভালোলাগাটা এমনই মনে হতো নাসির উদ্দিন ইউসুফের কাছে। তারুণ্যের সেই দিনগুলোতে প্রেম ছিল জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 'বিদায় মোনালিসা' নাটকে কাজ করতে গিয়েই দেখা হয় শিমুলের সাথে। বন্ধুত্ব, সখ্যতা তারপর বিয়ে। শিমুল ইউসুফ বলেন, 'আমি ও বাচ্চু একে অন্যকে বুঝতে পারি। এটাকে ভালোবাসা বলে কিনা জানা নেই। মুখে মুখে সবসময় ভালোবাসি ভালোবাসি বলার চেয়ে আমার মনে হয় ভালোবাসার মানুষটাকে বুঝতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। বসন্ত আর প্রেম দুই যেন একে অন্যের সাথে বসতি করে যাচ্ছে যুগ-যুগান্তর।' নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন 'বসন্ত কিন্তু আবার তারুণ্যের প্রতীক। আমার খুব ভালো লাগে যখন ফাল্গুনে দেখি শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে ছেলে-মেয়েরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণে-অকারণে আমারও মন উদাস হতো, যখন তরুণ ছিলাম।' বর্তমান সময়ে তারুণ্যের প্রেম এবং আপনাদের সময়ে প্রেমের মাঝখানে কোন তফাত্ খুঁজে পান কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে শিমুল ইউসুফ বলেন, 'যুগের পরিবর্তনের হাওয়া কিছুটাতো লাগবেই। তবে শত বছর আগে প্রেম যেমন ছিল এখনও তেমনি আছে। হয়তো প্রকাশগত বৈচিত্র্য এসেছে।'

আলী যাকের-সারা যাকের

প্রেম হচ্ছে কতগুলো সুন্দর সুন্দর ভুলের ফুলে পরিণত হওয়া। প্রেম চিরঞ্জীব, প্রেম শ্বাশ্বত। এমনি ভাবে প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করলেও সারা যাকের বলেন, 'সত্যিকার অর্থে প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করা বেশ কঠিন। কারণ সুন্দরের সংজ্ঞা যেমন করা যায় না তেমনি প্রেমকেও সংজ্ঞায়িত করা যায় না। সুন্দর ও প্রেম একে অন্যের সাথে জড়িয়ে আছে।' বসন্তের রঙের সাথে প্রেমের কোনো সম্পর্ক আছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী যাকের বলেন, 'অবশ্যই। বসন্ত তো প্রেমের ঋতু। বসন্তের রং আর প্রেমের রং একই। বর্ণে বর্ণে ভালোবাসার মানুষকে কিছু বলার সময় এই বসন্তেই। ফাল্গুনের প্রথম আলোতে হাতে হাত রেখে বসন্তের আবহে কত তরুণ তরুণীর মাঝে না প্রেম এসেছে। আমার কাছে ভালোবাসা শব্দটির ব্যাপকতা অনেক বড়। আর প্রেম বা ভালোবাসা সম্পর্কে ব্যক্তি বিশেষের দৃষ্টিগত পার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তারপরও ভালোবাসার পথে পা দেয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।' বর্তমান সময়ে প্রেমে কি বিরহ বেশি, এমন প্রশ্নের জবাবে সারা যাকের বলেন, 'প্রেমে বিরহ সব সময়ই ছিল। বিরহ আছে বলেই তো প্রেম এত আকাঙ্ক্ষিত, এত সুন্দর।' আর নতুন প্রজন্মের কাছে কি প্রেম আসছে ভিন্ন অভিব্যক্তি নিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরে আলী যাকের বলেন, 'সময়ের প্রয়োজনে সব কিছুতেই বদলে যাওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষণীয়। কিন্তু প্রেমে কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয় না। হয়তো প্রকাশগত পরিবর্তন এসেছে। এটা পৃথিবীর সব দেশেই এসেছে, শুধু আমাদের দেশে তা কিন্তু নয়। যত কিছুই বলা হোক না কেন বসন্তের রঙে প্রেম চির তরুণ, সব সময়ই রঙিন।'

রহমত আলী-ওয়াহিদা মল্লিক জলি

'প্রেম আমার কাছে ব্যাখ্যাতীত। প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। তবে প্রেমকে অনুধাবন করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন সুন্দর একটি মনের। আমি তো মনে করি যে মানুষের মন যত সুন্দর সে মানুষের জীবনে তত প্রেম আসে। দেখা এবং না দেখার মাঝেও কিন্তু প্রেম বসবাস করে। শুধু যে প্রাপ্তির মাঝে প্রেমে সার্থকতা তা কিন্তু নয়। কোনো কিছু পাওয়ার আশায় তো স্বার্থবাদী হয়ে কেউ ভালোবাসে না। ভালোবাসা স্বার্থহীন।' এমনি ভাবে প্রেমের সার্থকতার কথা বললেন ওয়াহীদা মল্লিক জলি। 'আমার ও জলির মাঝে পরিচয় রাজশাহীতে হলেও পারস্পরিক সখ্যতা বাড়ে কলকাতায় পড়তে গিয়ে। প্রেম মানে পরস্পরকে বুঝতে পারা। আমি যে মানুষটিকে ভালোবাসব তাকে যদি না বুঝতে পারি তাহলে এই প্রেমের কোনো অর্থ আছে বলে মনে হয় না। আর বিরহে কিন্তু প্রেম হারিয়ে যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে বিরহের মাঝেই প্রেম বেঁচে থাকে অস্বাভাবিক রকম সুন্দর হয়ে। যে মানুষটি না পেয়েও নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যায় সে আমার কাছে অনেক বড় প্রেমিক।' এভাবেই প্রেম সম্বন্ধে ভাবনার কথা বললেন রহমত আলী। নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভালোবাসার প্রকাশকে কেমন ভাবে মূল্যায়ন করেন জানতে চাইলে ওয়াহিদা মল্লিক জলি বলেন, 'এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা সব কিছুতেই খুব বেশি হিসেবনিকেশ করে। কিন্তু প্রেম তো হিসেবের উর্ধ্বে তাই না? তবে ভালোবাসার স্নিগ্ধ স্পর্শে এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরাও আন্দোলিত হয় একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।' আর বসন্ত কি প্রেমে আসে নতুন কোনো বারতা নিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরে রহমত আলী বলেন, 'বসন্ত আর প্রেম তো একে অন্যের পরিপূরক। যেন দু'টি রঙ নতুন কোন রঙ তৈরি করে। যে রঙ আনন্দের উচ্ছাসের।'

তারিক আনাম খান-নিমা রহমান

আমাদের মিডিয়ার সবার পছন্দের তারকা দম্পতি তারিক আনাম খান-নিমা রহমান। দু'জনই দুর্দান্ত অভিনয় করেন, পাশাপাশি পরিচালনাতেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তারা। তরুণ বয়সে আমরা ভালোবাসা দিবসের সাথে ওইভাবে পরিচিত ছিলাম না। আমার কাছে ভালোবাসা দিবস একটি বিশেষ দিন। এর কিছু ভালো দিক আছে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতি বিদ্যমান। এই দিনে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, সবার জন্যই ভালোবাসা থাকা উচিত। সেইসাথে এই দিবসের অনুভূতি প্রতিদিন বিরাজ করুক সবার মনে। এভাবেই নিজের ভালেন্টাইন অনুভূতি প্রকাশ করলেন তারিক আনাম খান। আর নিমা রহমানের ভাষ্যে, এটা তো আসলে সেভাবে সেলিব্রেট করার কিছু নেই। এই দিনের প্রকৃত ইতিহাসটা অনেকেই জানেন। আমার কাছে সারা বছরের শুধু একদিন কেন ভালোবাসা দিবস হবে, প্রতিদিনই হওয়া উচিত এই দিবস।

ওমর সানী-মৌসুমী

রুপালি পর্দার একসময়ের জনপ্রিয় জুটি ওমর সানী-মৌসুমী। চলচ্চিত্রের রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বাস্তব জীবনেও প্রেমের সূচনা হয় তাদের মাঝে। এরপর প্রণয় থেকে পরিণয়। বর্তমানে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। পাশাপাশি অভিনয়ও চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন সমান তালে। ভালেন্টাইন উপলক্ষে তারা ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন নানা মজার কথা। প্রথম দেখাতেই প্রেম সম্পর্কে ওমর সানী বললেন, 'মৌসুমীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ওর বাসাতে। আমি তখন খুবই জনপ্রিয়। একদিন পরিচালক আমাকে নিয়ে যায় ওর বাসাতে। মৌসুমী উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে, খুব ভালো লাগছিল তখন তাকে। সত্যি বলত প্রথম দেখাতেই তাকে আমার ভালো লেগে যায়।' মৌসুমী বললেন এভাবে, 'আমার আগেই সানী চলচ্চিত্র অভিনয়ে আসে। ওর অনেক ছবিই আমি দেখেছি। হঠাত্ একদিন আমাদের বাসায় দেখে আমি তো অবাক! সত্যি বলতে আমি কল্পনাও করিনি ওমর সানীর মতো একজন জনপ্রিয় নায়ক আমার বাসায় আসবে। এরপর তো আমাদের দুজনকে নিয়ে ছবি বানানো হয়। আমাদের প্রথম ছবি 'দোলা'। ওই ছবি করতে গিয়েই আমাদের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরের কাহিনী তো সবারই জানা।'

শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সেলিম

টিভি মিডিয়ায় তাদের অভিনয় পছন্দ করেন না, এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর এই তারকা দম্পতি হলেন শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সেলিম। তারা একটি সুখী পরিবার। ভালোবাসার প্রস্তাবটা কিন্তু সেলিমই প্রথম রোজীকে করেছিলেন। ভালেন্টাইনের অনুভূতি সম্পর্কে সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন ভালোবাসার কথা বলা হলেও এইদিন একটু যেন অন্যরকমভাবে রোজী ভালোবাসার কথা বলা হয়। এ ছাড়াও এই বিশেষ দিনে বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উইশ করি এবং পরিবারের সবাই আনন্দ করি। আর রোজী বললেন, বর্তমানে আমরা এই কালচারে অভ্যস্ত। এইদিন সবাইকে উইশ করি এবং বাচ্চাদের সাথেও শেয়ার করি। তবে আমার কাছে প্রতিদিনই ভালোবাসার দিন। সবার মনে রাখা উচিত, ভালোবাসা বলে যা শব্দ আছে, তা প্রতিদিনই ব্যবহার করা উচিত।

তৌকীর আহমেদ-বিপাশা হায়াত

'বিদেশি সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে নির্দিষ্ট এক দিনের জন্য প্রেমকে কখনোই উদযাপন বা আনুষ্ঠানিকতায় নিয়ে আসা উচিত নয়। এটা সময়ের চাহিদা হলেও আমি অনেকাংশেই তার পক্ষপাতি নই। আমাদের প্রকৃতির মাঝে যে ঋতু বৈচিত্র্য আছে তার মাঝে কিন্তু প্রেম খেলা করে সারা বছর। পুরো বসন্তকালটাই প্রেমের। ফাগুন শুধু যে বনে বনেই আসে তা কিন্তু না মানুষের মনেও আসে। ফাগুনের রঙ মানব মনের ক্যানভাসকে রঙিন করে। এ রঙকে কখনোই ছুঁয়ে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।' এভাবেই প্রেম আর ফাগুন সম্বন্ধে বললেন তৌকীর আহমেদ। 'প্রেমকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, প্রেম সুন্দর। এই সুন্দরের সামনে সবাই এসে দাঁড়ায়, জীবনের কোন না কোন সময়ে। কেউ আনন্দে আত্মহারা হয় আবার কেউবা বিরহে নীল হয়। তারপরও প্রেম আসে প্রতিটি মানুষের জানালায়।' এমনি করে প্রেম সম্বন্ধে নিজের অভিব্যক্তির কথা বললেন বিপাশা হায়াত। আমার ও তৌকিরের মাঝে যে বিষয়টি কাজ করেছে তা হলো পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস। তা না হলে কোনো সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায় না। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বিপাশা বলেন, 'প্রেমে ভুল হতে পারে, থাকতে পারে বিভ্রান্তি তাতে সাময়িক অস্থিরতা তৈরি হলেও তা পরবর্তিতে প্রেমকে আরও গাঢ় করে।' তৌকির বলেন, 'বর্তমানে প্রেমের অভিব্যক্তিগত পরিবর্তন থাকলেও প্রেম সব সময়ই নতুন সমীকরণে হয়েছে। নতুন নতুন শিল্প সৃষ্টির জন্য দরকার প্রেম। যে প্রেম প্রকৃতির সর্বত্র বিরাজ করে।'

শিমুল- নাদিয়া

জীবনের অন্য সব কিছুর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারলেও, কেন ভালোবেসেছি বলতে পারব না। প্রেম কী, ভালোবাসাকে কীভাবে মূল্যায়ন করি এধরনের প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক নয়। প্রেম, ভালোবাসা নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন যেমন করা যায় না তেমনি কোন উত্তরও দেওয়া যায় না। এটা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবেনা। এভাবেই প্রেম সম্বন্ধে বললেন শিমুল। তিনি আরও বলেন, প্রেমের পরিপূর্ণতা যদি বিয়ে হয় তাহলে তার জন্য প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস। নাদিয়া বলেন, বসন্ত এমন একটি ঋতু, যে ঋতুতে প্রেম খেলা করে প্রকৃতিতে। আমাদের দেশের অনেক বড় বড় কবি বসন্তকে প্রেমের ঋতু বলেছেন। আমার কাছে প্রেম অনেক সুন্দর কিছু। যে সুন্দরের কখনোই কোনো ব্যাখ্যা হয় না। তবে এটা সত্যি, চিঠি লিখে প্রিয় মানুষকে মনের কথা বলতে পারার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। আমরা পরস্পরকে ভালোবেসেছি। আনন্দদায়ক মূহুর্ত গুলোর কোন কারণ অনুসন্ধান করতে চাই না। প্রেম এমনি, কারনে-অকারনে সব সময় প্রিয় মানুষটির কাছে থাকতে ইচ্ছা করে। ফাগুন আর প্রেম সম্বন্ধে শিমুল বলেন, কাব্যে, উপন্যাসে, নাটকে ফাগুনকে কতভাবেই না সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রেমের সাথে ফাগুনের সম্পর্কতো আছেই। এ সম্পর্ক প্রকৃতি আর মানুষকে আরও নিবিড় করে।

মোনালিসা

কারো প্রতি আবেগময় অনুভূতিকেই মনে করি ভালোবাসা। তবে ভালোবাসা বলতে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ের সম্পর্ককে বুঝায় তা নয়। যে কাউকেই ভালোবাসা যায়। আর আমার কাছে ভালোবাসা অনেক পবিত্র একটি অনুভূতি। ঠিক তেমনি পবিত্র প্রেমও। তাই প্রেম ভালোবাসাকে আমি দেখি শ্রদ্ধার চোখে। এ দুটি জিনিস নিয়ে কখনোই নিছক খেলায় মেতে ওঠা উচিত নয়। আর স্বার্থসিদ্ধির জন্যও প্রেম করা উচিত নয়। প্রেম হচ্ছে পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্ক যেখানে থাকবে না কোনো চাওয়া-পাওয়া, থাকবে না কোনো স্বার্থ, থাকবে শুধুই ভালোবাসা। সবাই এটাকে ধারণ করতে পারে না।

সজল

আমি একটু ব্যাকডেটেড মানুষ। আধুনিক যুগের প্রেম ঠিক আমার মতের সাথে মেলে না। আমি মনে করি ভালোবাসাকে শুধু বিশেষ দুটি মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক না। আর আমি মনে করি ভালোবাসা গড়ে ওঠে ভালোলাগা থেকে আর ভালোবাসা দাঁড়িয়ে থাকে বিশ্বাসের উপর ভর করে। ভালোবাসার মানুষের উপর বিশ্বাস যদি প্রবল থাকে তাহলেই ভালোবাসা টিকে থাকে।

দীপা খন্দকার

ভালোবাসা বা প্রেম কী—এর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া আসলেই খুব কষ্টকর। ভালোবাসা-প্রেম এগুলো আসলে অনুভব করার বিষয়। কাউকে অনেক বেশি ভালোলাগলে সেই থেকেই ভালোবাসার সূত্রপাত হয়। আর আমার কাছে আগে ভালোবাসা তারপর প্রেম। কারণ ভালোবেসেই প্রেমে পড়তে হয়। আর ভালোবাসা তৈরি হবে ভালোলাগা থেকে। তাইতো ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই ভালো লাগবে। ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসতে হবে নিঃস্বার্থভাবে। আর ভালোবাসার মানুষের মনকে বুঝতে হবে। তবেই ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।

জ্যোতিকা জ্যোতি

ব্যক্তিগত জীবনে আমি ভালোবাসার সাগরে ভেসেছি। আমার মতে, ভালোবাসা হলো পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস। মানুষের জীবন স্বভাবতই সংগ্রামমুখর। জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার জন্য দরকার একজন জীবন সাথির। নারী-পুরুষের চিরন্তন সম্পর্কের স্বরূপটা আমার কাছে এমনই। ভালোবাসা সূক্ষ্ম অনুভূতির ব্যাপার। সবার ভালোবাসা সবার জন্য থাকা উচিত। প্রতিদিনই নিজেকে উত্সর্গ করার নাম ভালোবাসা।

নাফিজা

ভালোবাসার সংজ্ঞাটা আমার কাছে একটু অন্য রকম। সবাই প্রেম ভালোবাসা বলতে একটি মেয়ের সাথে একটি ছেলের সম্পর্ককে বোঝে। কিন্তু ভালোবাসা অনেক ব্যাপক একটি বিষয়। সবাইকে ভালোবাসা যায় সবকিছুকেই ভালোবাসা যায়। ভালোবাসা যায় বন্ধুকে, বাবাকে-মাকে, সবাইকে। এই অনুভূতিকে কখনই গণ্ডিবদ্ধ করা উচিত নয়। আর ভালোবাসার অনভূতি বলতে আমি বুঝি, যখন কাউকে নিয়ে ভাবতে খুব ভালোলাগে সেই অনুভূতিকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top