অগভীর রাত্রিতে ঘুমের দল
পালিয়ে গেলে...।
জেগে রই, জেগে রই সারথী সরারাত
কত কষ্ট, কত যন্ত্রণা
তুমি বুঝেও বুঝলে না।
চোখের মাঝে হাজার স্বপ্ন,
আলপিন দিয়ে সাঁটা,
হয়ত দৃষ্টি শক্তি হরাবো একদিন ।
আমি কি তবে ?
তোমায় আর দেখব না ?
তুমি দেখেও, এত নিরব কেন?
চোখ ভরা জল নিয়ে,
হেটেঁ যাই কফিন কাধেঁ
আর কত দুর যেতে হবে ?
আর কতটা কষ্ট নিয়ে,
জীবন প্রদীপ নিভে যাবে ?
একদিন এমনি একটা ভালবাসার ঝটকা হাওয়া, মনের ভিতর থাকা প্রদীপ গুলোকে জ্বেলে দিয়েছিল। কিন্তু বেকার সব আবদার এবং তার প্রার্থনাদ। সে অনেকটা বেগম রোকেয়া টাইপ ( এখানে বেগম রোকেয়াকে ছোট করছি না), একাই নাকি চলবে সংগ্রামী পথে, সমরেশ মজুমাদারের সাতকাহনের নায়িকা তার জীবনে ছাপ ফেলে রেখেছে, জীবনমুখী না হয়ে সে চায়, কবি কবিতা কিংবা কাব্য নির্ভর জীবন যাপন। আমি আমার পক্ষ থেকে তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি, তার জন্যই আমার প্রথম কবিতার সৃষ্টি । বুনো মেঘ যখন আড়াল করত সূর্যটাকে আমি তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছুটে যেতাম। আমি যে শহরটায় থাকতাম, সে শহটায় একদিন রাজনৈতিক কারেণ রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, এই সময়েও আমি সব ব্যারিকেড সরিয়ে নিরাপদে তাকে পৌছে দিয়েছি বাড়ী । যারা ওকে ডিষ্টার্ব করত, তাদের অনেককে, গালে চড় বসিয়ে পাপ করেছি বলে মনে হচ্ছে । আমার ক্ষমতার সব্বোচ্চ ব্যবহার, আমার সব আবেগ, আমার যা যা করার তার সবটুকু করেছি, হৃদয় উজাড় করে ভালবেসেছি ।সবশেষে একদিন ডাক পড়লো আমার, আমি সে দিন খুশি হইনি, কারণ তারপাশে দেখি ছাত্র ইউনিয়নের কিছু চ্যালাপেলা রয়েছে, বিষয়টা আমার কাছে ভয়ের কিছুই নয়, আমি তার কাছে গেলাম, বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করলাম “ আপনার জন্য কি করতে পারি ? সে জবাব দিল এরফান ভাইকে কলেজে নিয়ে আসতে হবে, ব্যাপরটা হলো এরফান ভাই নামে লুচ্চা শিবির কর্মীকে এর কিছুদিন আগে কলেজের ২য় তলা থেকে নীচে ফেলে দিয়েছি, আমার বাসায় যেতে হলে শিবিরে সবচেয়ে বড় ঘাটি একটি মাদ্রাসা ও তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে যেতে হয়, ঘটনার পর বাসায় ফেরার পথে, আমার গতি রোধ করে শিবির কর্মীরা, আমি বিনয়ের সাথে সালাম এবং কুশল বিনিময় করি, কথার্বতায় আমি তাদের প্রমাণ দেই তাদের এই নেতা কতগুলো লুচ্চামী করেছে, তাতে তাদের মুখ নীচু হয়ে যায়, আমি আমার পথে চলে আসি, শিবিরের কাছ থেকে প্যাদানী খেয়ে সে সর্বশেষ আমার ঔষুধটি কাজে লাগায়, কারণ সে তার রিলেটিভ । কিছুক্ষণ নিরব থেকে বললাম ঠিক আছে ভয় নেই, ওকে আসতে বল, কেউ কিছু বলবে না । তারপর সে একটা ধন্যবাদ দিয়ে বিধায় নিল।
এরপর থেকে কেমন জানি, ওর কথা মনে আসলে বমি আসে, সর্বশেষ জেনেছি চাঃবিঃ তে গিয়ে শিবিরে জোগ দিয়েছে, তারপর একদিন এক ছেলের হাত ধরে নিজেরাই বিয়ে করে ফেলেছে, তার বাবা কট্টোরপন্থী লোক মেনে নেয় নিই এই বিয়ে । বেকার দু’জনে অন্ধকারে পড়ে যায় । ওর এক বন্ধু আমাকে ফোনে জানায়, ওর এই দুরবস্থা, পরে বিশ হাজার টাকা পাঠাই ওদের জন্য মাধ্যম তার বন্ধুটি, জানি না কেন এমন করলাম ? ১ম ভালবাসা বা ভাললাগাটাই বোধহয় আমাকে তার জন্য সহানভুতি সৃষ্টি করেছে।
আপডেট হলো , এখন সে একটি তুলতুলে পিচ্চির মা, পিচ্চির বয়স চলছে ১৮ মাস, নিশ্চয়ই সে কিছু দিন পড়ে আব্বু ডাকতে পাড়বে, আক্ষেপ থেকে গেলো ...।
অ: ট: বড্ড বেশি প্রেম করে ফেলেছি, ভাবছি এই সব গুলো প্রেমের ইতিবৃত্ত নিয়ে আমার প্রেমবেলা লিখে ফেলব, তাই এর ডামি প্রকাশ করলাম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.