GuidePedia

0
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঙ্গিলা গ্রামের তরুণীর সাথে সমকামীতা করে উজিরপুর শেরে-বাংলা ডিগ্রী কলেজের স্নাতক শ্রেণীর প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী বিয়ে করার চাঞ্চল্যকর সংবাদ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উজিরপুর উপজেলার হড়িশুন্ড গ্রামের হারুন সিকদারের মেয়ে, উজিরপুর শেরে-বাংলা ডিগ্রী কলেজের স্নাতক শ্রেণীর প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী লিজা আত্মীয়র সুবাদে পরিচয় হয় গৌরনদী উপজেলার বাঙ্গিলা গ্রামের হালিম সরদারের মেয়ে লাকী আক্তার (২০) সাথে। পাঁচ বছর আগে তার চাচার শ্যালিকা লাকী আক্তার সাথে তার বাড়িতে বেড়াতে আসার পরিচয় সূত্র ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে লিজার। সেই সুত্র ধরে একে অপরের সাথে মন দেয়া-নেয়া চলতে থাকে। গত ১বছর পূর্বে তারা বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চাকরির সুবাদে একই বাসায় বসবাস শুরু করে এবং লাকীকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করে। লাকিও লিজাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করে। লিজার পরিবারের লোকজন বিষয়টা বুঝতে পেরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উজিরপুর উপজেলার মুগাকাঠী গ্রামের রহমান হাওলাদারের সাথে লিজাকে বিয়ে দেয়। কিন্তু বাধ সাধে তাদের গভীর প্রেম। হড়িশুন্ড গ্রামের মনির হোসেন, সরোয়ার আলম জানান, সদ্য বিবাহিত লিজার স্বামীর পরিবার বিষয়টি জানার পরে উভয়ের সাথে দ্বন্ধ শুরু হয়। বিবাহের সাত মাসের মধ্যে গত ১২ আগষ্ট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে রহমানের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং মেয়ে স্বামী লাকি আক্তারের কাছ থেকে একটি ষ্টাম্পে এই মর্মে স্বাক্ষর নেয়া হয় যাতে করে সে আর কখনো লিজাকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করতে না পারে। ভালবাসা কোন আইন মানে না। ১৩ আগষ্ট পুনরায় লাকি হড়িশুন্ড গ্রামে এসে লিজাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে দেন দরবার শুরু করলে এলাকাবাসী তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে লিজা বলে, পূর্বে লাকির সাথে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। এখন আর তাকে নিয়ে ভাবতে চাই না। লিজার বাবা হারুন সিকদার বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে আমার পরিবারের মানহানি করার জন্য এই কুৎসা রটনা করছে। তবে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top