GuidePedia

0
কাটরিনা বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাটরিনা কাইফ। তার বিয়ে নিয়ে মিডিয়া, দর্শক ও ভক্তদের আগ্রহ ও কৌতূহলের শেষ নেই। তাইতো অনেকটা গোপনেই বিয়ের পরিকল্পনা করছেন তিনি! তবে নিজের নয়, বোনের বিয়ে নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। সামনের মাসেই বোন নাতাচা তুরকোটির বিয়ে। লন্ডনেই হতে যাচ্ছে এই রাজকীয় বিয়ে। বোনের বিয়ের কারণে শুটিং থেকে প্রায় এক মাসের বিরতি নিয়েছেন কাটরিনা। বোনের বিয়ে নিয়ে বেশ আনন্দ ও উত্তেজনায় সময় পার করছেন তিনি। বিয়ে উপলক্ষে মুম্বই থেকে পরিবারের সবার জন্য পোশাক ও বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে নিয়ে গেছেন তিনি। তাছাড়া বোন নাতাচার জন্য বিশেষ কিছু উপহারও নিয়েছেন। লন্ডনে গিয়েও তিনি বিয়ের শপিং নিয়েই ব্যস্ত। পরিবারেরর সঙ্গে তাই অন্যরকম একটি সময় উপভোগ করছেন এই অভিনেত্রী। গত কয়েক বছরে এরকম শপিং সময় শুটিংয়ের কারণে এতদিন কাটাতে পারেননি তিনি। জানা গেছে, বোনের বিয়ের খাবারের তালিকাও তৈরি করছেন কাটরিনা। এ বিয়ের কারণে শাহরুখ খানের আয়োজনে ঈদ পার্টিতেও যোগদান করতে পারেননি তিনি। কারণ, ঠিক সেদিনই বোন নাতাচার বিয়ে উপলক্ষে একটি পার্টি রাখা হয়েছিল। এই পার্টির মধ্যমনিও ছিলেন কাটরিনা। লন্ডনে সামনের মাসে বিয়ের পরপরই আবারও শুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিনি। বিয়ে নিয়ে দারুণ এক্সাইটেড কাটরিনা বলেন, অনেক দিন পর অনেক ভাল ও অন্যরকম সময় পার করছি। শুটিংয়ের কারণে এরকম সময় আমার অনেক হাতছাড়া হয়ে গেছে। বোনের বিয়ে তাই আমি সত্যি সত্যি এক্সাইটেড। অনেক অনেক পরিকল্পনা করেছি আমরা। পোশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই সবাই আমার পছন্দেই করছে। তাই দায়িত্ববোধটাও বেড়ে গেছে। আশা করছি সামনের সময়গুলো আরও অনেক বেশি উপভোগ্য হবে।

বলিউডে এখনও হিরোইনরা দুধেভাতে…
সৌম্যদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়  Wednesday July 31, 2013, 07:27 PM
0

‘কাহানি’ সুপারহিট হওয়ার পর একটা কথা প্রায় সব জায়গাতেই শোনা যেত— বিদ্যা (থুড়ি ভিদ্যা) নাকি বলিউডের নতুন খান! এটা কি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে যে যতই সবার প্রশংসা কুড়াও দু’হাতে, বলিউডের দড়ি এখনও খানেদের হাতে… নাকি বলিউডে এখনও পুরুষদেরই একচেটিয়া অধিকার! কে কী ভাবে, তা নিয়ে আমি কথা বলতে খুব একটা ইচ্ছুক নই… নিজের ব্লগে অন্যের কথা নিয়ে চর্চা করব কেন বলুন তো! বরং আমি আপনাদের আমার কিছু সংগৃহীত তথ্য অথবা বলতে পারেন পর্যবেক্ষণের কথা বলি… আমার বক্তব্য এক্কেবারে বেদবাক্যের মতো মেনে নিতে হবে এমন ধৃষ্টতার কথা একবারের জন্যেও বলছি না… কিন্তু আমার বলা কথাগুলোর সঙ্গে যদি নিজের বিচারবুদ্ধি একটু ঝালিয়ে নেন, তা হলেই বুঝবেন….

আর গৌরচন্দ্রিকা না করে আসল কথায় আসি। এ বছর ভারতীয় সিনেমার ১০০ বছর… খাসা কথা, গর্বের কথা… সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ… সিনেমা তৈরির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা ফলাও করে বুক ফুলিয়ে বলছেন বলিউডের উন্নিতির কথা… আরও ভালো কথা। কিন্তু আমি বলছি বলিউড যে তিমিরে ছিল আজও সেই তিমিরেই আছে! একশো বছরও পিছিয়ে যেতে হবে না। যদি গত ২৫ বছরের কথা ধরি তাহলেই হবে। একটু ডাক্তারি পরিভাষায় বলতে হলে বলিউডের নিঃসন্দেহে একটা কসমেটিক সার্জারি হয়েছে… কিন্তু ভিতরের মালমশলা সেই একই থেকে গিয়েছে!

salman-shahrukh-aamir1.jpg

মনে হচ্ছে তো কীসের জোরে এত্ত বড় বড় কথা বলছি? না, কোনও রকম হাই ফান্ডা টেকনিকাল ডিটেলের দিকে একেবারেই পা বাড়াচ্ছি না। বরং কথা বলি আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ জিনিস নিয়ে। আচ্ছা যদি কোনও ফিল্ম স্কুলের ডিবেট ক্লাসে হিরোইন ইন বলিউড নিয়ে আলোচনা হত, কী কী তথ্য উঠে আসত? নিঃসন্দেহে অনেক কিছুই… কিন্তু যত ছোট করেই হোক একটা প্রসঙ্গ এই আলোচনায় আলবাত জায়গা করে নিত— একটা হিন্দি ছবিতে হিরোইন-এর গুরুত্ব ঠিক কতটা? গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ডার্টি পিকচার দেখেছেন কি? সেখানে নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছিলেন যে, ছবি হিরোদের কথা ভেবেই বানানো হয়। অন্যদিকে সেই একই ছবিতে বিদ্যা বলেছিলেন, মাত্র তিনটি জিনিসের জন্যে একটি ছবি চলে—এন্টারটেনমেন্ট, এন্টারটেনমেন্ট, এন্টারটেনমেন্ট! তাহলে প্রশ্ন হল কার কথা ঠিক? আমি যদি বলি দু’জনেই ঠিক? তা হলে! আজও বলিউডে ছবি বানানো হয় হিরোদের কথা মাথায় রেখেই…আর হিরোইনরা কেবলমাত্র ফাউ এন্টারটেনমেন্ট…

এখনও কোনও নতুন ছবি তৈরি করার আগে ভাবা হয় সেই ছবির মুখ্য চরিত্রে কোনও অভিনেতাকে মানাবে…কিন্তু অভিনেত্রী বাছাইয়ের সময় ভাবা হয় সেই হিরোর পাশে শোপিসের মতো কোন হিরোইনকে মানাবে। আর বাই চান্স যদি মহিলাকেন্দ্রিক কোনও ছবি তৈরি করা হয়, তা হলে সেই ছবিতে হরগিজ কোনও প্রথম সারির অভিনেতা অভিনয় করবেন না। এমন তো হামেশাই হয় যে হিরোর ডেট পাওয়া যাচ্ছে না বলে শ্যুটিংয়ের ডেট পিছোচ্ছে বা ছবিটি তাকে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু হাতে গুনে কটা এমন উদাহরণ দিতে পারবেন যেখানে হিরোইনের ডেট পাওয়া যাচ্ছে না বলে এই দুটি জিনিস ঘটেছে? বেশি দূর যেতে হবে না। এই যে মধুর ভন্ডারকারের হিরোইন ছবিটি।। কি দেখানো হল তাতে? হিরোদের ইগোর লড়াইয়ে কীভাবে জাস্ট নষ্ট হয়ে গেল এক হিরোইনের কেরিয়ায়, তাঁর আস্ত জীবনটাই। অবশ্য নিজের অবস্থান এই ছবিতে পরিষ্কার রাখার জন্যে কিছুটা হলেও মধুর হিরোইনকেই দোষী ঠাওরালেন এই সবের জন্যে! সে নয় হল সিনেমায়। কিন্তু শুরুতে ঐশ্বর্যাকে মুখ্য চরিত্রে কাস্ট করার পরে মধুর বলেছিলেন তাঁকে মাথায় রেখেই নাকি চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। উত্তম কথা। কিন্তু যেই না মিডিয়াকে ঐশ্বর্যা জানালেন তিনি সন্তানসম্ভবা ওমনি ঐশ্বর্যা আউট… করিনা ইন। এবার গল্পও উল্টে গেল… করিনার মতো করে নাকি কেউ এই ছবিটি করতে পারতেন না! ২৫ বছর আগে যাঁরা হিরো হয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আজও তাঁরা অবলীলায় কলেজের খোকার রোলে অভিনয় করে যাচ্ছেন। আর তাঁদের সঙ্গে সেই সময় যাঁরা বিভিন্ন সময়ে হিরোইন হয়েছেন তাঁরা এখন কাকিমা-জেঠিমা, মা-মাসির চরিত্রে। সলমান খানের লাভ সিনেমাটি দেখেছেন? মনে পড়ে কে ছিলেন তাঁর বিপরীতে? আমি বলছি রেবতী। এখন কিন্তু তিনি আর হিরোইন নন। এখন তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মা-মাসির রোলেই! কিন্তু সলমান? এখনও অনায়াসেই লাভিডভি লাভারের ভুমিকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন! উত্তম, অতি উত্তম। যদিও ইন্ডাস্ট্রির বন্ধ দরজার বাইরে বুক ফুলিয়ে দাবি করা হয় যে নায়িকাদের জায়গা নায়কদের থেকে কোনও অংশেই কম নয়, বাস্তবটা যে একেবারেই এর বিপরীত!

লিখতে লিখতে হঠাত্‍‌ একটা উদাহরণ মাথায় এল— বলিউডের হিরোরা অনেকটা পশ্চিমবাংলার বামফ্রন্ট সরকারের মতো… রাজত্ব করতে করতে ভুলেই গিয়েছিল রাজ্যটা বাপ-ঠাকুরদার রেখে যাওয়া জমিদারি নয়। মনে পড়ল তখন যখন এক নারী চরিত্র এসে তাঁদের চেয়ার ঠেলে উল্টে দিলেন… তবে বলিউডে অবশ্য এখনও তেমন কোনও নারী শক্তি এসে উপস্থিত হননি! খারাপ, আনকুথ শুনতে লাগলেও এটাই একমাত্র সত্যি। নয় নয় করে আমারও তো এই বলিউডের অলি-গলি, তস্য গলিতে যাতায়াত কম দিনের নয়। আর সেই সব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি ২৫ বছর আগেও বলিউড পুরুষতান্ত্রিক ছিল আজও ঠিক তেমনটাই আছে। তবে পুরনো মোড়কটা পাল্টে নতুন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নেওয়া হয়েছে।

যে সব হিরোরা বলিউডে রয়েছেন নিশ্চিন্তে—
১. সলমান খান— বিবি হো তো অ্যায়সি (১৯৮৮)— ২৫ বছর।
২. শাহরুখ খান— ইডিয়ট (১৯৯২)— ২১ বছর।
৩. আমির খান— হোলি (১৯৮৫) — ২৮ বছর।
৪. অক্ষয় কুমার– সৌগন্ধ (১৯৯১)– ২২ বছর।
৫. অজয় দেবগণ— ফুল অউর কাঁটে ( ১৯৯১)— ২২ বছর।
৬. সঞ্জয় দত্ত— রকি (১৯৮১)–৩২ বছর।
৭. অমিতাভ বচ্চন— সাত হিন্দুস্তানি (১৯৬৯)—- ৪৪ বছর।
৮. রণবীর কপুর— সাঁওয়ারিয়া (২০০৭)—- ৬ বছর।
৯. সানি দেওল— বেতাব (১৯৮৩)— ৩০ বছর।
১০. ইমরান হাশমি— ফুটপাথ (২০০৩)— ১০ বছর

তবে হিরোইনরাও কিন্তু ব্যাটিংটা করে যাচ্ছেন… হিরোদের মতো না হলেও দড়ি ধরে ঝুলে রয়েছেন বেশ কিছু বছর—-
১. করিনা কপুর—- রিফিউজি (২০০০)— ১৩ বছর।
২. বিদ্যা বালন— ভালো থেকো, বাংলা ছবি (২০০৩)—১০ বছর।
৩. ক্যাটরিনা কইফ— বুম (২০০৩)— ১০ বছর।
৪. প্রিয়াঙ্কা চোপড়া—- থামিজান, তামিল ছবি (২০০২)–১১ বছর।
৫. ঐশ্বর্যা রাই— ইরুভার, তামিল ছবি (১৯৯৭)– ১৬ বছর।
৬. রানি মুখোপাধ্যায়— বিয়ের ফুল, বাংলা ছবি (১৯৯২)— ২১ বছর।
৭. দীপিকা পাদুকোন— ঐশ্বর্যা, কন্নড ছবি (২০০৬)—- ৭ বছর।
৮. অনুষ্কা শর্মা— রাব নে বনা দি জোড়ি (২০০৮)—- ৫ বছর।
৯. সোনাক্ষী সিনহা— দাবাং (২০১০)—- ৩ বছর।
১০. বিপাশা বসু— আজনবি (২০০১)—-১২ বছর।

অনেকবার অনেক সাক্ষাত্‍‌কারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অথবা বিপাশা বসু বলেছেন যে বলিউডে হিরোদের কথায় ওঠে বসে। তখন নিশ্চয়ই বলেছিলেন… দেখ হয়তো কোনও কাজ পাচ্ছে না, তাই এই সব বলছে! না, এতটা অশ্রদ্ধার সঙ্গে কথাটা উড়িয়ে দেবেন না। কারণ কথাটি খাঁটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top