GuidePedia

0
আজব খবর স্ত্রীর যৌনাঙ্গে তালা দেওয়ায় ১০ বছরের জেল

সন্দেহের বশেই স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ভারি তালা ঝুলিয়ে রাখতেন সোহনলাল। বাড়ির বাইরে যতবার বেরোতেন ততবারই স্ত্রীর যৌনাঙ্গে তালা দিয়ে চাবিটা সঙ্গে নিয়ে বেরোতেন। কারণ, তাঁর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী যাতে পর পুরুষের সঙ্গে কখনওই যৌন সংসর্গে লিপ্ত হতে না পারেন। এভাবেই চলছিল বেশ কয়েক বছর। শেষ পর্যন্ত গত বছর ধরা পড়ে গেল সব জারিজুরি। বছর খানেক জেল হেফাজতে থাকার পর গতকাল শুক্রবার শাস্তি ঘোষণা হয়েছে বিচারাধীন বন্দি সোহনলালের। এখানকার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অবনীন্দ্র কুমার সিংহ সোহনলালকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)র।

পেশায় গাড়ির মেকানিক সোহনলালের মানসিক বিকৃতি, সন্দেহপ্রবণতা, স্ত্রীকে অত্যাচারের ঘটনাকে বিচারক বিরল ও বিকৃত অপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন। রায়দানের সময় মাথা নীচু করেই সব শুনছিল সে। কিন্তু রায় ঘোষণার পর ভেঙে পড়ে সোহনলাল। তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৩৬ নম্বর ধারা (ইচ্ছাকৃতভাবে স্থায়ী আঘাত করা), ৪৯৮ ধারা (স্ত্রীর প্রতি হিংসাত্মক আচরণ) ইত্যাদিতে দোষীতে সাব্যস্ত করা হয়েছে।

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর যৌনাঙ্গে তালা লাগানোর জন্য কয়েক বছর আগে সে গোপনে এক হাতুড়ে ডাক্তারকে দিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে স্থায়ী অস্ত্রোপচার করায়। সেখানে এমনভাবে অপারেশন করানো হয় যাতে ভারি তালা ঝোলানো যায়। স্ত্রীর যন্ত্রণা, প্রতিবাদের কোনও মূল্যই ছিল না তার কাছে। প্রতিবাদ করলেই বিবাহ বিচ্ছেদের ভয় দেখাত সোনেলাল। পরে সেই জায়গায় একাধিকবার ক্ষত ও সেপটিক হয়ে যায়। কোনওক্রমে তা সারানো গেলেও গতবছর সোহনলালের স্ত্রী এরপর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে বাঁচাতে এখান এম ওয়াই হাসপাতালে ভর্তি করেন সোহনলাল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তালা-চাবি খুলতে ভুলে যান।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ বিভা মোজেস সোহনলালের স্ত্রীর চিকিৎসা করার সময় হঠাৎই দেখেন প্রাইভেট পার্টসে লোহার মতো শক্ত কিছু ঠেকছে। তখনই তিনি জানতেন এটা কি? ও কেন? সব শুনে তাঁর চোখ কপালে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও হাসপাতাল সুপারকে সব জানান তিনি। জানা গিয়েছে, চার বছরধরেই স্ত্রীর প্রাইভেট পার্টসে তালা ঝুলিয়ে নিত্যকর্ম সারতে বাইরে বেরোতেন গুণধর স্বামী সোনহলাল। পুলিশ হাসপাতালে এসে সব শুনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে ও সোহনলালকে গ্রেফতার করে।

সরকারি কৌঁসুলি জ্যোতি তোমার গতকাল আদালতকে জানান, সোহনলালের বিকৃত চরিত্র ও সন্দেহজনক মানসিকতার শিকার হয়ে স্ত্রী এখন অসুস্থ ও চিকিৎসাধীন। যদিও স্বামীকে বাঁচাতে এবং পারিবারিক সম্মানের জন্য শুনানির সময় নিজের দেওয়া বয়ান থেকে ডিগবাজি খেয়েছিলেন সোহনলালের স্ত্রী। কিন্তু চিকিৎসকদের বয়ান, মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট ও ছবি দেখে সোহনলালকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। জানা গিয়েছে, যোনিতে যাতে ব্যথা না করে সেজন্য ব্যথা কমাতে ডাক্তার দেখানোর বদলে স্ত্রীকে জোর করে অল্প অল্প আফিম খাওয়াতেন সোহনলাল। আফিমের নেশার ঘোরে যন্ত্রণা ভুলে থাকতেন তার অসহায় স্ত্রী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top