বিবাহ পূর্ববর্তী যৌনতা~ একটি মুক্ত আলোচনা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://1.bp.blogspot.com/-41I04mL0f-A/UZxZElqV42I/AAAAAAAABjY/Moto-LZG2KM/s1600/419276_331285143658431_2022403668_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="বিবাহ পূর্ববর্তী যৌনতা~ একটি মুক্ত আলোচনা" border="0" src="http://1.bp.blogspot.com/-41I04mL0f-A/UZxZElqV42I/AAAAAAAABjY/Moto-LZG2KM/s1600/419276_331285143658431_2022403668_n.jpg" title="" /></a><br /> <div style="text-align: left;"> প্রেম ভালোবাসা এমন এক অনুভব যা ছুঁয়ে যায় প্রতিটি নারী পুরষকে। কারো ক্ষেত্রে ১৬ তে কারোবা ৬১ তে। কিন্তু প্রেমে পড়েনি বা কাউকে ভালোবাসেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া বিরল। প্রেমের এক পর্যায়ে শরীরের একটি ভুমিকা আছে। কবিগনের মত লালন শাহ তার মরমী সঙ্গীতে আদিরসের সিঞ্চন করেছেন। লালন শাহের মতে নারী পুরুষের এই আকর্ষন এবং দেহ মিলন এক অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই তিনি বলেন, </div> <br /> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> মহারস মুদিত কমলে</div> <div style="text-align: left;"> প্রেম শৃঙ্গার নেওরে খুলে </div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> শৃঙ্গারের মাধ্যমে উৎপন্ন প্রেম একেবারেই দেহগত প্রেম। প্রেমিক প্রেমিকাদের দেহজাত আকর্ষনে যে ভাবের উদয় হয় তা একেবারেই জাগতিক প্রেমে পর্যবসিত। কবি লালন শাহ তাই আবার অন্য গানে বলেন, </div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> কি বল বো ভাই প্রেমের কথা</div> <div style="text-align: left;"> কাম হয়েছে প্রেমের লতা</div> <div style="text-align: left;"> কাম বিনা প্রেম যথাতথা</div> <div style="text-align: left;"> কই হয় আগমন।।</div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> কাম ছাড়া প্রেম নেই। এখানে তিনি তাই বলেছেন। কিন্তু আরো এক গানে তিনি আবার বলেন, </div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> কপাট মেরে কামের ঘরে</div> <div style="text-align: left;"> মানুষ ঝলক দিবে রুপ নিহারে, </div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> তাহলে আমরা ভাবতে বাধ্য হই তাহলে কি লালন শাহ এই বিষয়ে বৈপিরত্যে ছিলেন? তবে বিদ্ধান ব্যাক্তিরা এই বিষয়ে বলেন, সেটা সত্য নয়; কামের ঘরে কপাট মারার কথা বলে লালন শাহ কামকে অস্বীকার করেননি, বরং কামরুপী পশুশক্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে কামের মধ্যে থেকে বিজয় প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন। </div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> এবার আসুন আজকের প্রেক্ষাপটে। এখন প্রেমে দেহগত সান্নিধ্য খুব সহজ স্বাভাবিক ব্যাপার মেনে নিলেও মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা ইচ্ছে হলেই কি সব করতে পারি? </div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> প্রশ্ন ১~ আপনি কি সমর্থন করেন বিবাহ পূর্ববর্তী এই দৈহিক মিলন? </div> <div style="text-align: left;"> প্রশ্ন ২~ বিবাহপুর্ব দৈহিক মিলন আপনি কোন চোখে দেখেন? এটা কি মানুষের ব্যাক্তিগত সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে? </div> <div style="text-align: left;"> প্রশ্ন ৩~ আপনার মতে এই প্রভাব কি পজেটিভ নাকি নেগেটিভ? আপনি কি ভাবছেন এই বিষয়ে?</div> <div style="text-align: left;"> <br /></div> <div style="text-align: left;"> এখানে পোষ্ট দাতা কোন পক্ষ নয়। পোষ্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে জেনে নেয়া বর্তমানে আমরা কোথায় অবস্হান করছি এবং কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। এর বেশী কিছু নয়। ধন্যবাদ।</div> </div>

বিবাহ পূর্ববর্তী যৌনতা~ একটি মুক্ত আলোচনা

0 ৫/২২/২০১৩

প্রেম ভালোবাসা এমন এক অনুভব যা ছুঁয়ে যায় প্রতিটি নারী পুরষকে। কারো ক্ষেত্রে ১৬ তে কারোবা ৬১ তে। কিন্তু প্রেমে পড়েনি বা কাউকে ভালোবাসেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া বিরল। প্রেমের এক পর্যায়ে শরীরের একটি ভুমিকা আছে। কবিগনের মত লালন শাহ তার মরমী সঙ্গীতে আ… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

কিভাবে যৌন মিলনের সময় বাড়াবেন (How to increase sex time)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://3.bp.blogspot.com/-af3FouyGkLc/UZxYLXp2axI/AAAAAAAABjI/PT7RTptxCEI/s1600/182227_458547327566469_1541269538_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="How to increase sex time" border="0" height="320" src="http://3.bp.blogspot.com/-af3FouyGkLc/UZxYLXp2axI/AAAAAAAABjI/PT7RTptxCEI/s320/182227_458547327566469_1541269538_n.jpg" title="" width="320" /></a>প্রস্তুতি পর্ব –<br /> ১. নিজেকে অযথা উত্তেজিত হতে দিবেন না , আপনি জানেন যে ব্যপার টি হতে চলেছে তাই ধৈর্য ধরুন ।<br /> ২. ব্যাপারটি নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না, ধীরে শুরু করুন<br /> ৩.সঙ্গিনীর গায়ে হাত দেয়ার আগে তার সাথে রোমান্টিকতা করুন , তাকে আপনার দেয়া আদুরে নাম ধরে ডাকুন , তাকে জানান যে আপনি তাকে ভালবাসেন।<br /> এর কারন হল পুরুষ এর যৌন চাহিদা জৈবিক , কিন্তু নারীদের তা নয় । তাদের এই চাহিদা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত , তাই উত্তেজিত হতে সময় লাগে ।<br /> যদি সঙ্গিনির মন খারাপ , শরীর খারাপ থাকে তাহলে মিলন করবেন না কারন, তখন তার শরীর সাড়া দেবে না ।<br /> <br /> ৪.চুম্বন দিয়ে শুরু করুন এবং তা দীর্ঘায়িত করুন ।<br /> ৫. স্পর্শ কাতর অংশে প্রথমেই হাত দিবেন না, তার আশে পাশে স্পর্শ করুন , যখন বুঝবেন আপনার সঙ্গিনীর উত্তেজন উঠছে তখন স্পর্শ কাতর অংশে মৃদু ভাবে আদর করুন ।<br /> ৬. আপনার সঙ্গিনী পুরোপুরি উত্তেজিত হবার ১-২ মিনিট পর মিলনের প্রস্তুতি নিন ।<br /> <br /> মিলন পর্ব-<br /> (শোবার ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন , এটি শুধু ঘুম এবং যৌন মিলনের জন্য ব্যবহার করুন । মিলনের সময় ঘরে হালকা আলো জ্বালিয়ে রাখুন , রোমান্টিক গান চালু রাখুন । )<br /> <br /> ১. সঙ্গিনীর দেহে প্রবেশ এর পূর্বে আপনার যৌনাঙ্গ দিয়ে দিয়ে তার যৌনাঙ্গে হালকা ভাবে আদর করুন , সঙ্গীকে জানান যে আপনি এখন প্রবেশ করতে যাচ্ছেন , এর ফলে সে আপনাকে ভিতরে নেয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হবে ।<br /> ২. কক্ষনোই জোর করে ঢুকার চেষ্টা করবেন না , যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিনীর যৌনাঙ্গ আপনাকে নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয় তবে তাকে আশ্বাস দিন যে অসুবিধা নেই , সঙ্গিনীকে রাগ দেখাবেন না । যৌনাঙ্গ সবসময় এক ধরনের Response নাও দিতে পারে। যদি রাগ দেখান তাহলে পরবর্তীতে সে উত্তেজিত হবার বদলে ভয় পাবে এবং তার মস্তিস্ক Response করতে প্রচুর সময় নিবে ।<br /> ৩. প্রবেশ এর পর আস্তে আস্তে আদর করুন , সঙ্গিনীকে মন থেকে ভালোবাসার কথা বলুন , তার সারা শরীর এ হাত বুলান । মনে রাখবেন যে , যদি আপনার সঙ্গী আপনার কাছ থেকে ভালবাসা পূর্ণ শারীরিক আদর লাভ করে তাহলে এটি তার কাছে আনন্দময় মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হবে , এবং তা সুখকর স্মৃতি হিসেবে তার মস্তিস্কে জমা হবে । ফলাফল হিসেবে পরবর্তীতে যৌন মিলনের সময় তার Response অনেক ভালো হবে ।<br /> ৪. সঙ্গিনীকে ব্যথা দিবেন না । মাঝে মাঝে প্রশ্ন করুন যে তার কেমন লাগছে । যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিনীর যোনি রস কমে আসছে বা শুকিয়ে আসছে তাহলে সঙ্গম শেষ করে দিন , জোর করে দীর্ঘায়িত করবেন না ।<br /> <br /> ৫. মিলনের এক পর্যায়ে যখন আপনি অনুভব করছেন যে আপনার একটি শিরশিরে অনুভূতি হচ্ছে এবং এই অনুভূতি আর একটু বাড়লেই আপনার বীর্যপাত হয়ে যাবে , তখন কোমর সঞ্চালন বন্ধ করুন । চুপচাপ সঙ্গিনীর উপর শুয়ে থাকুন এবং তাকে গলায় বা কানে চুমু দিন। চোখ বা চুলের প্রশংসা করুন । আলতো ভাবে তাকে আদর করুন । এতে আপনার মনোযোগ অন্য দিকে সরবে এবং শিরশিরে অনুভূতি কমে গিয়ে যৌনাঙ্গ আবার স্বাভাবিক হবে । এরপর আবার মিলন শুরু করুন । প্রক্রিয়া টি ২-৩ বার এর বেশী প্রয়োগ করবেন না ।<br /> ৬. আসন পরিবর্তন করুন । এক এক দম্পতি এক এক আসনে তৃপ্তি বোধ করেন , তাই ধীরে ধীরে জেনে নিন আপনাদের কোন আসন পছন্দ । সেগুলো প্রয়োগ করুন ।<br /> ৭. মিলনের সময় যদি অল্প সময়ে নারী সঙ্গির যোনি রস শুকিয়ে আসে , বা পুরুষ সঙ্গির লিঙ্গ তেমন শক্ত না হয় , বা দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না । নিয়মিত যৌন জীবন এর মাঝে মাসে ২-৪ বার এরকম হতেই পারে । সঙ্গীকে জানান যে কোন অসুবিধা নেই । পরের বার ভালো হবে । প্রত্যেক বার যে পূর্ণ যৌন মিলন করতেই হবে এমন কথা নেই ।<br /> ৮. এক এক দম্পতি উত্তেজিত হবার এক এক নিয়ম ( যেমন , চুম্বন , ব্লো-জব ) পছন্দ করেন , জেনে নিন আপনাদের কোনটি পছন্দ । সেটি করুন । একক সিদ্ধান্ত নেবেন না । আপনার সঙ্গী যদি কোনটি পছন্দ না করেন তবে সেটি করবেন না ।<br /> ৯.আপনার ইচ্ছা করছে কিন্তু আপনার সঙ্গীর করছেনা । তাহলে নিজেকে সংযত করুন ।<br /> ১০.ঘরে নগ্ন চলাফেরা করবেন না তাহলে শরীরের প্রতি আকর্ষণ কমে যেতে পারে ।<br /> ১১. নারী সঙ্গীরা রাতে শোবার আগে পোশাক পরিবর্তন করে যৌন উত্তেজক পোশাক পড়ুন ।<br /> ১২. নারী সঙ্গীরা ভাববেন না যে পুরুষ সঙ্গিরাই সবসময় আমন্ত্রণ জানাবে । আপনিও জানান । নিজের যৌন চাহিদা প্রকাশ করুন ।<br /> </div>

কিভাবে যৌন মিলনের সময় বাড়াবেন (How to increase sex time)

0 ৫/২২/২০১৩

প্রস্তুতি পর্ব – ১. নিজেকে অযথা উত্তেজিত হতে দিবেন না , আপনি জানেন যে ব্যপার টি হতে চলেছে তাই ধৈর্য ধরুন । ২. ব্যাপারটি নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না, ধীরে শুরু করুন ৩.সঙ্গিনীর গায়ে হাত দেয়ার আগে তার সাথে রোমান্টিকতা করুন , তাকে আপনার দেয়া আদুরে নাম … আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভালোবাসা কথা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img alt="ভালোবাসা কথা " border="0" height="152" src="http://4.bp.blogspot.com/-NQ4TNPEqzR0/UZt7tKtRAEI/AAAAAAAABi4/Tn0-VWQ-FV8/s320/001_59686_299185133516064_1669701258_n.jpg" title="" width="320" /></div> <br /> ভালোবাসা মানে<br /> দুজনের পাগলামি ,<br /> পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা ।<br /> ভালোবাসা মানে<br /> জীবনের ঝুঁকি নেয়া ,<br /> বিরহ বালিতে খালি পায়ে হাঁটাহাটি ।<br /> ভালোবাসা মানে<br /> একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা ।<br /> ভালোবাসা মানে !!!<br /> ভালোবাসা মানে<br /> প্রবল বৃষ্টি,<br /> বৃষ্টির একটানা ভেতরে বাহিরে দুজনের<br /> হেঁটে চলা ।<br /> ভালোবাসা মানে<br /> ঠাণ্ডা কফির পেয়ালার সামনে অবিরল<br /> কথা বলা ।<br /> ভালোবাসা মানে<br /> শেষ হয়ে যাওয়া কথার পরে ও<br /> মুখোমুখি বসে থাকা ।<br /> </div>

ভালোবাসা কথা

0 ৫/২১/২০১৩

ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি , পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা । ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া , বিরহ বালিতে খালি পায়ে হাঁটাহাটি । ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা । ভালোবাসা মানে !!! ভালোবাসা মানে প্রবল বৃষ্টি, বৃষ্টির একটানা ভেতরে ব… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভালোবাসার জুটিবদ্ধ অনুভূতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://4.bp.blogspot.com/-QX_rJzNz26k/UZCagCPzqRI/AAAAAAAABgo/Ou8Pkk4bnkk/s1600/image_18755.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="What is the love" border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-QX_rJzNz26k/UZCagCPzqRI/AAAAAAAABgo/Ou8Pkk4bnkk/s320/image_18755.jpg" title="" width="289" /></a>আলমগীর-রুনা লায়লা<br /> <br /> তারা দু'জনই স্ব-স্ব জগতে সুপারস্টার। একজন অভিনয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন অসীম আকাশে, অপরজন সংগীতে খ্যাতি পেয়েছেন বিশ্বজোড়া। আর এই তারকা দম্পতি হচ্ছেন আলমগীর ও রুনা লায়লা। আলমগীর বললেন, 'আমার কাছে ভালোবাসার অপর নাম বিশ্বাস। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। ভালোবাসার পরিধি ব্যাপক। আমার দুই নাতনীকে আমি খুব ভালোবাসি। তাদের প্রতিও আমার ভালোবাসা কাজ করে।' রুনা লায়লা বললেন, 'ভালোবাসা মানে হলো একে অন্যের প্রতি সম্মান। একজন মানুষের প্রতি আমার সম্মান না থাকলে ভালোবাসাও জন্মায় না।' বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হতো। এ প্রসঙ্গে রুনা লায়লা জানালেন, আমি যেহেতু প্লেব্যাক করি, সেহেতু বিভিন্ন গানের রেকর্ডিংয়ে থাকত ও, সেখানেই সাক্ষাত্ হতো। তবে 'শিল্পী' চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হই আমরা। আর আলমগীরের ভাষ্যে, 'প্রথম দেখাতেই প্রেম কথাটা আমাদের ক্ষেত্রে ঘটেনি। তবে ভালোলাগা শুরু থেকেই ছিল। সেখান থেকেই ভালোবাসা।' এই তারকা দম্পতির কাছে আমরা প্রশ্ন রেখেছিলাম, আপনারা এত আদর্শ জুটি হলেন কীভাবে? তার উত্তরে রুনা লায়লা বললেন, 'আমরা দুজনেই পেশাদার জীবনটাকে আলাদা রেখেছি। সাধারণত আমরা একে অন্যের পেশাগত দিক নিয়ে নাক গলাই না। খুব প্রয়োজন হলে আলোচনা করি, পরামর্শ করি।' আলমগীর বলেন এভাবে, 'আমরা নিজ নিজ আইডেন্টিটি মেনে চলি। ঘরে এলে পারতপক্ষে আমরা পেশা নিয়ে আলোচনা করি না।'<br /> <br /> ইনামুল হক-লাকি ইনাম<br /> <br /> আমার কাছে প্রেম ও নিসর্গ সবসময় এক হয়ে দেখা দিয়েছে। মানুষের মাঝে যেমন প্রেম আছে তেমনি নিসর্গের মাঝেও প্রেম খেলা করে সারাবেলা। প্রকৃতির কাছ থেকেই মানুষ শিখতে পেরেছে জানতে পেরেছে ভালোবাসাকে। ভালোবাসা অর্থহীন। কোনো সমীকরণ দিয়ে ভালোবাসাকে বাঁধা যায় না। তবুও ভালোবাসা শত সহস্র বছর ধরে মানুষের মনে এসেছে এবং আসবে। এমনি ভাবে ভালোবাসার সম্বন্ধে বললেন ড. ইনামুল হক। ইনামের সাথে আমার সম্পর্কের মাঝে যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় ছিলো তা হলো বিশ্বাস। আমি মনে করি প্রেম বেঁচে থাকে পরস্পরের বিশ্বাসে। যে প্রেমে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয় সেখানে হয়ত প্রেম থাকে না, থাকে সামাজিকতাকে রক্ষা। বসন্তের রঙে প্রেম সবসময়ই আরও রঙিন হয়েছে। বসন্ত কখনোই বিরহ হয়ে দেখা দেয়নি প্রেমে বরং মানব মনে বসন্ত প্রেমে পুষ্টি জুগিয়েছে আদি থেকে। প্রত্যেকটি মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে বসন্তের রঙে প্রেমকে অনুভব করে বলে বিশ্বাস করেন লাকি ইনাম। আর এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কি অস্থির প্রেমের প্রকাশে? এই প্রশ্নের উত্তরে ড. ইনামুল হক বলেন, 'এখনকার ছেলে-মেয়েরা যে কিছুটা অস্থির নয় প্রেম প্রকাশে তা কিন্তু না। পুরো যুগটাইতো এ প্রজন্মের কাছে অস্থিরতা নিয়ে ধরা দিয়েছে। তার মানে কিন্তু এই নয় তাদের প্রেমের মাঝে কোন সরলতা নেই বা নান্দনিকতা নেই। আমি বরাবরই এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে আশাবাদী। তাদের নিয়ে অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি। তারাই বড় স্বপ্ন গড়তে জানে যারা প্রেমিক।' লাকি ইনাম বলেন, 'প্রজন্মভেদে প্রেমে পরিবর্তন কিছুটাতো হবেই। কিন্তু প্রেমের যে নির্মল আবেদন তা যেমন আমাদের সময় ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।'<br /> <br /> নাসির উদ্দিন ইউসুফ-শিমুল ইউসুফ<br /> <br /> জীবনের আবেগগুলো অর্থহীন পঙক্তি হয় ব্যাখ্যাতীত ভালোবাসার শিরোনামে। ফাগুনের মুগ্ধ প্রহরে যে এসে দাঁড়ায় আপন দুয়ারে সে যেন কতদিনের চেনাজানা। প্রহরে প্রহরে অহেতুক শব্দের ব্যঞ্জনা। প্রথম ভালোলাগাটা এমনই মনে হতো নাসির উদ্দিন ইউসুফের কাছে। তারুণ্যের সেই দিনগুলোতে প্রেম ছিল জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 'বিদায় মোনালিসা' নাটকে কাজ করতে গিয়েই দেখা হয় শিমুলের সাথে। বন্ধুত্ব, সখ্যতা তারপর বিয়ে। শিমুল ইউসুফ বলেন, 'আমি ও বাচ্চু একে অন্যকে বুঝতে পারি। এটাকে ভালোবাসা বলে কিনা জানা নেই। মুখে মুখে সবসময় ভালোবাসি ভালোবাসি বলার চেয়ে আমার মনে হয় ভালোবাসার মানুষটাকে বুঝতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। বসন্ত আর প্রেম দুই যেন একে অন্যের সাথে বসতি করে যাচ্ছে যুগ-যুগান্তর।' নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন 'বসন্ত কিন্তু আবার তারুণ্যের প্রতীক। আমার খুব ভালো লাগে যখন ফাল্গুনে দেখি শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে ছেলে-মেয়েরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণে-অকারণে আমারও মন উদাস হতো, যখন তরুণ ছিলাম।' বর্তমান সময়ে তারুণ্যের প্রেম এবং আপনাদের সময়ে প্রেমের মাঝখানে কোন তফাত্ খুঁজে পান কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে শিমুল ইউসুফ বলেন, 'যুগের পরিবর্তনের হাওয়া কিছুটাতো লাগবেই। তবে শত বছর আগে প্রেম যেমন ছিল এখনও তেমনি আছে। হয়তো প্রকাশগত বৈচিত্র্য এসেছে।'<br /> <br /> আলী যাকের-সারা যাকের<br /> <br /> প্রেম হচ্ছে কতগুলো সুন্দর সুন্দর ভুলের ফুলে পরিণত হওয়া। প্রেম চিরঞ্জীব, প্রেম শ্বাশ্বত। এমনি ভাবে প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করলেও সারা যাকের বলেন, 'সত্যিকার অর্থে প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করা বেশ কঠিন। কারণ সুন্দরের সংজ্ঞা যেমন করা যায় না তেমনি প্রেমকেও সংজ্ঞায়িত করা যায় না। সুন্দর ও প্রেম একে অন্যের সাথে জড়িয়ে আছে।' বসন্তের রঙের সাথে প্রেমের কোনো সম্পর্ক আছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী যাকের বলেন, 'অবশ্যই। বসন্ত তো প্রেমের ঋতু। বসন্তের রং আর প্রেমের রং একই। বর্ণে বর্ণে ভালোবাসার মানুষকে কিছু বলার সময় এই বসন্তেই। ফাল্গুনের প্রথম আলোতে হাতে হাত রেখে বসন্তের আবহে কত তরুণ তরুণীর মাঝে না প্রেম এসেছে। আমার কাছে ভালোবাসা শব্দটির ব্যাপকতা অনেক বড়। আর প্রেম বা ভালোবাসা সম্পর্কে ব্যক্তি বিশেষের দৃষ্টিগত পার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তারপরও ভালোবাসার পথে পা দেয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।' বর্তমান সময়ে প্রেমে কি বিরহ বেশি, এমন প্রশ্নের জবাবে সারা যাকের বলেন, 'প্রেমে বিরহ সব সময়ই ছিল। বিরহ আছে বলেই তো প্রেম এত আকাঙ্ক্ষিত, এত সুন্দর।' আর নতুন প্রজন্মের কাছে কি প্রেম আসছে ভিন্ন অভিব্যক্তি নিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরে আলী যাকের বলেন, 'সময়ের প্রয়োজনে সব কিছুতেই বদলে যাওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষণীয়। কিন্তু প্রেমে কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয় না। হয়তো প্রকাশগত পরিবর্তন এসেছে। এটা পৃথিবীর সব দেশেই এসেছে, শুধু আমাদের দেশে তা কিন্তু নয়। যত কিছুই বলা হোক না কেন বসন্তের রঙে প্রেম চির তরুণ, সব সময়ই রঙিন।'<br /> <br /> রহমত আলী-ওয়াহিদা মল্লিক জলি<br /> <br /> 'প্রেম আমার কাছে ব্যাখ্যাতীত। প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। তবে প্রেমকে অনুধাবন করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন সুন্দর একটি মনের। আমি তো মনে করি যে মানুষের মন যত সুন্দর সে মানুষের জীবনে তত প্রেম আসে। দেখা এবং না দেখার মাঝেও কিন্তু প্রেম বসবাস করে। শুধু যে প্রাপ্তির মাঝে প্রেমে সার্থকতা তা কিন্তু নয়। কোনো কিছু পাওয়ার আশায় তো স্বার্থবাদী হয়ে কেউ ভালোবাসে না। ভালোবাসা স্বার্থহীন।' এমনি ভাবে প্রেমের সার্থকতার কথা বললেন ওয়াহীদা মল্লিক জলি। 'আমার ও জলির মাঝে পরিচয় রাজশাহীতে হলেও পারস্পরিক সখ্যতা বাড়ে কলকাতায় পড়তে গিয়ে। প্রেম মানে পরস্পরকে বুঝতে পারা। আমি যে মানুষটিকে ভালোবাসব তাকে যদি না বুঝতে পারি তাহলে এই প্রেমের কোনো অর্থ আছে বলে মনে হয় না। আর বিরহে কিন্তু প্রেম হারিয়ে যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে বিরহের মাঝেই প্রেম বেঁচে থাকে অস্বাভাবিক রকম সুন্দর হয়ে। যে মানুষটি না পেয়েও নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যায় সে আমার কাছে অনেক বড় প্রেমিক।' এভাবেই প্রেম সম্বন্ধে ভাবনার কথা বললেন রহমত আলী। নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভালোবাসার প্রকাশকে কেমন ভাবে মূল্যায়ন করেন জানতে চাইলে ওয়াহিদা মল্লিক জলি বলেন, 'এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা সব কিছুতেই খুব বেশি হিসেবনিকেশ করে। কিন্তু প্রেম তো হিসেবের উর্ধ্বে তাই না? তবে ভালোবাসার স্নিগ্ধ স্পর্শে এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরাও আন্দোলিত হয় একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।' আর বসন্ত কি প্রেমে আসে নতুন কোনো বারতা নিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরে রহমত আলী বলেন, 'বসন্ত আর প্রেম তো একে অন্যের পরিপূরক। যেন দু'টি রঙ নতুন কোন রঙ তৈরি করে। যে রঙ আনন্দের উচ্ছাসের।'<br /> <br /> তারিক আনাম খান-নিমা রহমান<br /> <br /> আমাদের মিডিয়ার সবার পছন্দের তারকা দম্পতি তারিক আনাম খান-নিমা রহমান। দু'জনই দুর্দান্ত অভিনয় করেন, পাশাপাশি পরিচালনাতেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তারা। তরুণ বয়সে আমরা ভালোবাসা দিবসের সাথে ওইভাবে পরিচিত ছিলাম না। আমার কাছে ভালোবাসা দিবস একটি বিশেষ দিন। এর কিছু ভালো দিক আছে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতি বিদ্যমান। এই দিনে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, সবার জন্যই ভালোবাসা থাকা উচিত। সেইসাথে এই দিবসের অনুভূতি প্রতিদিন বিরাজ করুক সবার মনে। এভাবেই নিজের ভালেন্টাইন অনুভূতি প্রকাশ করলেন তারিক আনাম খান। আর নিমা রহমানের ভাষ্যে, এটা তো আসলে সেভাবে সেলিব্রেট করার কিছু নেই। এই দিনের প্রকৃত ইতিহাসটা অনেকেই জানেন। আমার কাছে সারা বছরের শুধু একদিন কেন ভালোবাসা দিবস হবে, প্রতিদিনই হওয়া উচিত এই দিবস।<br /> <br /> ওমর সানী-মৌসুমী<br /> <br /> রুপালি পর্দার একসময়ের জনপ্রিয় জুটি ওমর সানী-মৌসুমী। চলচ্চিত্রের রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বাস্তব জীবনেও প্রেমের সূচনা হয় তাদের মাঝে। এরপর প্রণয় থেকে পরিণয়। বর্তমানে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। পাশাপাশি অভিনয়ও চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন সমান তালে। ভালেন্টাইন উপলক্ষে তারা ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন নানা মজার কথা। প্রথম দেখাতেই প্রেম সম্পর্কে ওমর সানী বললেন, 'মৌসুমীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ওর বাসাতে। আমি তখন খুবই জনপ্রিয়। একদিন পরিচালক আমাকে নিয়ে যায় ওর বাসাতে। মৌসুমী উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে, খুব ভালো লাগছিল তখন তাকে। সত্যি বলত প্রথম দেখাতেই তাকে আমার ভালো লেগে যায়।' মৌসুমী বললেন এভাবে, 'আমার আগেই সানী চলচ্চিত্র অভিনয়ে আসে। ওর অনেক ছবিই আমি দেখেছি। হঠাত্ একদিন আমাদের বাসায় দেখে আমি তো অবাক! সত্যি বলতে আমি কল্পনাও করিনি ওমর সানীর মতো একজন জনপ্রিয় নায়ক আমার বাসায় আসবে। এরপর তো আমাদের দুজনকে নিয়ে ছবি বানানো হয়। আমাদের প্রথম ছবি 'দোলা'। ওই ছবি করতে গিয়েই আমাদের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরের কাহিনী তো সবারই জানা।'<br /> <br /> শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সেলিম<br /> <br /> টিভি মিডিয়ায় তাদের অভিনয় পছন্দ করেন না, এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর এই তারকা দম্পতি হলেন শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সেলিম। তারা একটি সুখী পরিবার। ভালোবাসার প্রস্তাবটা কিন্তু সেলিমই প্রথম রোজীকে করেছিলেন। ভালেন্টাইনের অনুভূতি সম্পর্কে সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন ভালোবাসার কথা বলা হলেও এইদিন একটু যেন অন্যরকমভাবে রোজী ভালোবাসার কথা বলা হয়। এ ছাড়াও এই বিশেষ দিনে বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উইশ করি এবং পরিবারের সবাই আনন্দ করি। আর রোজী বললেন, বর্তমানে আমরা এই কালচারে অভ্যস্ত। এইদিন সবাইকে উইশ করি এবং বাচ্চাদের সাথেও শেয়ার করি। তবে আমার কাছে প্রতিদিনই ভালোবাসার দিন। সবার মনে রাখা উচিত, ভালোবাসা বলে যা শব্দ আছে, তা প্রতিদিনই ব্যবহার করা উচিত।<br /> <br /> তৌকীর আহমেদ-বিপাশা হায়াত<br /> <br /> 'বিদেশি সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে নির্দিষ্ট এক দিনের জন্য প্রেমকে কখনোই উদযাপন বা আনুষ্ঠানিকতায় নিয়ে আসা উচিত নয়। এটা সময়ের চাহিদা হলেও আমি অনেকাংশেই তার পক্ষপাতি নই। আমাদের প্রকৃতির মাঝে যে ঋতু বৈচিত্র্য আছে তার মাঝে কিন্তু প্রেম খেলা করে সারা বছর। পুরো বসন্তকালটাই প্রেমের। ফাগুন শুধু যে বনে বনেই আসে তা কিন্তু না মানুষের মনেও আসে। ফাগুনের রঙ মানব মনের ক্যানভাসকে রঙিন করে। এ রঙকে কখনোই ছুঁয়ে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।' এভাবেই প্রেম আর ফাগুন সম্বন্ধে বললেন তৌকীর আহমেদ। 'প্রেমকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, প্রেম সুন্দর। এই সুন্দরের সামনে সবাই এসে দাঁড়ায়, জীবনের কোন না কোন সময়ে। কেউ আনন্দে আত্মহারা হয় আবার কেউবা বিরহে নীল হয়। তারপরও প্রেম আসে প্রতিটি মানুষের জানালায়।' এমনি করে প্রেম সম্বন্ধে নিজের অভিব্যক্তির কথা বললেন বিপাশা হায়াত। আমার ও তৌকিরের মাঝে যে বিষয়টি কাজ করেছে তা হলো পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস। তা না হলে কোনো সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায় না। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বিপাশা বলেন, 'প্রেমে ভুল হতে পারে, থাকতে পারে বিভ্রান্তি তাতে সাময়িক অস্থিরতা তৈরি হলেও তা পরবর্তিতে প্রেমকে আরও গাঢ় করে।' তৌকির বলেন, 'বর্তমানে প্রেমের অভিব্যক্তিগত পরিবর্তন থাকলেও প্রেম সব সময়ই নতুন সমীকরণে হয়েছে। নতুন নতুন শিল্প সৃষ্টির জন্য দরকার প্রেম। যে প্রেম প্রকৃতির সর্বত্র বিরাজ করে।'<br /> <br /> শিমুল- নাদিয়া<br /> <br /> জীবনের অন্য সব কিছুর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারলেও, কেন ভালোবেসেছি বলতে পারব না। প্রেম কী, ভালোবাসাকে কীভাবে মূল্যায়ন করি এধরনের প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক নয়। প্রেম, ভালোবাসা নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন যেমন করা যায় না তেমনি কোন উত্তরও দেওয়া যায় না। এটা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবেনা। এভাবেই প্রেম সম্বন্ধে বললেন শিমুল। তিনি আরও বলেন, প্রেমের পরিপূর্ণতা যদি বিয়ে হয় তাহলে তার জন্য প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস। নাদিয়া বলেন, বসন্ত এমন একটি ঋতু, যে ঋতুতে প্রেম খেলা করে প্রকৃতিতে। আমাদের দেশের অনেক বড় বড় কবি বসন্তকে প্রেমের ঋতু বলেছেন। আমার কাছে প্রেম অনেক সুন্দর কিছু। যে সুন্দরের কখনোই কোনো ব্যাখ্যা হয় না। তবে এটা সত্যি, চিঠি লিখে প্রিয় মানুষকে মনের কথা বলতে পারার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। আমরা পরস্পরকে ভালোবেসেছি। আনন্দদায়ক মূহুর্ত গুলোর কোন কারণ অনুসন্ধান করতে চাই না। প্রেম এমনি, কারনে-অকারনে সব সময় প্রিয় মানুষটির কাছে থাকতে ইচ্ছা করে। ফাগুন আর প্রেম সম্বন্ধে শিমুল বলেন, কাব্যে, উপন্যাসে, নাটকে ফাগুনকে কতভাবেই না সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রেমের সাথে ফাগুনের সম্পর্কতো আছেই। এ সম্পর্ক প্রকৃতি আর মানুষকে আরও নিবিড় করে।<br /> <br /> মোনালিসা<br /> <br /> কারো প্রতি আবেগময় অনুভূতিকেই মনে করি ভালোবাসা। তবে ভালোবাসা বলতে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ের সম্পর্ককে বুঝায় তা নয়। যে কাউকেই ভালোবাসা যায়। আর আমার কাছে ভালোবাসা অনেক পবিত্র একটি অনুভূতি। ঠিক তেমনি পবিত্র প্রেমও। তাই প্রেম ভালোবাসাকে আমি দেখি শ্রদ্ধার চোখে। এ দুটি জিনিস নিয়ে কখনোই নিছক খেলায় মেতে ওঠা উচিত নয়। আর স্বার্থসিদ্ধির জন্যও প্রেম করা উচিত নয়। প্রেম হচ্ছে পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্ক যেখানে থাকবে না কোনো চাওয়া-পাওয়া, থাকবে না কোনো স্বার্থ, থাকবে শুধুই ভালোবাসা। সবাই এটাকে ধারণ করতে পারে না।<br /> <br /> সজল<br /> <br /> আমি একটু ব্যাকডেটেড মানুষ। আধুনিক যুগের প্রেম ঠিক আমার মতের সাথে মেলে না। আমি মনে করি ভালোবাসাকে শুধু বিশেষ দুটি মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক না। আর আমি মনে করি ভালোবাসা গড়ে ওঠে ভালোলাগা থেকে আর ভালোবাসা দাঁড়িয়ে থাকে বিশ্বাসের উপর ভর করে। ভালোবাসার মানুষের উপর বিশ্বাস যদি প্রবল থাকে তাহলেই ভালোবাসা টিকে থাকে।<br /> <br /> দীপা খন্দকার<br /> <br /> ভালোবাসা বা প্রেম কী—এর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া আসলেই খুব কষ্টকর। ভালোবাসা-প্রেম এগুলো আসলে অনুভব করার বিষয়। কাউকে অনেক বেশি ভালোলাগলে সেই থেকেই ভালোবাসার সূত্রপাত হয়। আর আমার কাছে আগে ভালোবাসা তারপর প্রেম। কারণ ভালোবেসেই প্রেমে পড়তে হয়। আর ভালোবাসা তৈরি হবে ভালোলাগা থেকে। তাইতো ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই ভালো লাগবে। ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসতে হবে নিঃস্বার্থভাবে। আর ভালোবাসার মানুষের মনকে বুঝতে হবে। তবেই ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।<br /> <br /> জ্যোতিকা জ্যোতি<br /> <br /> ব্যক্তিগত জীবনে আমি ভালোবাসার সাগরে ভেসেছি। আমার মতে, ভালোবাসা হলো পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস। মানুষের জীবন স্বভাবতই সংগ্রামমুখর। জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার জন্য দরকার একজন জীবন সাথির। নারী-পুরুষের চিরন্তন সম্পর্কের স্বরূপটা আমার কাছে এমনই। ভালোবাসা সূক্ষ্ম অনুভূতির ব্যাপার। সবার ভালোবাসা সবার জন্য থাকা উচিত। প্রতিদিনই নিজেকে উত্সর্গ করার নাম ভালোবাসা।<br /> <br /> নাফিজা<br /> <br /> ভালোবাসার সংজ্ঞাটা আমার কাছে একটু অন্য রকম। সবাই প্রেম ভালোবাসা বলতে একটি মেয়ের সাথে একটি ছেলের সম্পর্ককে বোঝে। কিন্তু ভালোবাসা অনেক ব্যাপক একটি বিষয়। সবাইকে ভালোবাসা যায় সবকিছুকেই ভালোবাসা যায়। ভালোবাসা যায় বন্ধুকে, বাবাকে-মাকে, সবাইকে। এই অনুভূতিকে কখনই গণ্ডিবদ্ধ করা উচিত নয়। আর ভালোবাসার অনভূতি বলতে আমি বুঝি, যখন কাউকে নিয়ে ভাবতে খুব ভালোলাগে সেই অনুভূতিকে।<br /> <div> <br /></div> </div>

ভালোবাসার জুটিবদ্ধ অনুভূতি

0 ৫/১৩/২০১৩

আলমগীর-রুনা লায়লা তারা দু'জনই স্ব-স্ব জগতে সুপারস্টার। একজন অভিনয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন অসীম আকাশে, অপরজন সংগীতে খ্যাতি পেয়েছেন বিশ্বজোড়া। আর এই তারকা দম্পতি হচ্ছেন আলমগীর ও রুনা লায়লা। আলমগীর বললেন, 'আমার কাছে ভালোবাসার অপর নাম বিশ্বাস। ভালোবাসা… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভালোবাসি ভালোবাসি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://4.bp.blogspot.com/-K_mwON4bcGI/UZCMQgHLwOI/AAAAAAAABgY/RYB31_9oJU4/s1600/image_18758.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="bhalobashi bhalobashi" border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-K_mwON4bcGI/UZCMQgHLwOI/AAAAAAAABgY/RYB31_9oJU4/s320/image_18758.jpg" title="" width="242" /></a>রবি ঠাকুর তো তার গানের কথায় আর সুরে ভালোবাসার আলোড়ন তুলেই ক্ষান্ত দিয়েছেন। এদিকে প্রেমের আকুতি নিয়ে কত তরুণ-তরুণীর হূদয়ে যে ভালোবাসার জলোচ্ছ্ব্বাস চলছে তার খবর কে রাখে। তবে ভালোবাসার এই উচ্ছ্ব্বাসটাকে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে না পারলে কিন্তু চোখের প্লাবনে ভাসবার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেটি না করে যদি হূদয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দিতে চান তবে কীভাবে ভালোবাসার কথা বলবেন সেটি জানার পাশাপাশি জানতে হবে কখন তা বলতে হবে। তা বেশ তো, প্রিয় বিনোদনের পরামর্শগুলোতে না হয় এ যাত্রা আরও একবার চোখ রাখুন। জানাচ্ছেন<br /> <br /> সাবেরা সুলতানা<br /> <br /> ভালোবাসি বলুন যখন...<br /> <br /> ছেলেমানুষী প্রেমের স্থায়িত্ব কখনও খুব বেশিদিনের হয় না। কাজেই যদি ভেবে থাকেন যে এবার ভালোবাসার স্বপ্নের সাথেই গড়বেন আপনার ঘর-বসতি তবে একটু ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। শুধু মুখে 'আই লাভ ইউ' বললেন আর প্রেম হয়ে গেল; জীবনটা সব সময় এত সিনেম্যাটিক নাও হতে পারে। তাই নিজেকে আগে পুরোপুরি প্রস্তুত করে তুলুন নতুন সম্পর্কে জড়াবার জন্য। আর এই হোমওয়ার্কটি যখন পুরোপুরি শেষ হবে তখন আত্মবিশ্বাসের সাথে তাকে জানিয়ে দিন ভালোবাসার কথা।<br /> <br /> নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা যদি ভালো হয় তাহলে সময়ই আপনাকে বলে দেবে কখন তাকে বলা যায় ভালোবাসার চূড়ান্ত কথাটি।<br /> <br /> মন যেহেতু বাধা পড়েছে তার মনে, তাই আজ কিংবা কাল ভালোবাসার কথা তো বলতেই হবে তাকে। তবে চূড়ান্ত কথাটি বলবার আগে তাকে একটু যাচাই-বাছাই করে নিন। বুঝবার চেষ্টা করুন জীবন নিয়ে আপনার প্রিয় মানুষটির দৃষ্টিভঙ্গি কী। একটি সম্পর্কে জড়ানোর মতো গভীরতা তার মাঝে আছে কি না সেটাও যাচাই করুন বন্ধুর মতো তার পাশে থেকে। আর সুযোগ পেলেই তাকে ইঙ্গিত দিন আপনার ভালোবাসার। বুঝবার চেষ্টা করুন এসব বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়াটিও।<br /> <br /> ভালোবাসি বলার জন্য সময়ের বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই যেদিন মনের কথাটি প্রিয় মানুষের সামনে পাড়বেন সেদিন তার মন-মেজাজ কেমন তা আগে থেকেই আঁচ করার চেষ্টা করুন। ছেলেটি বা মেয়েটি হয়তো একটু আগেই প্রচণ্ড বাজে একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই আপনি হালুম-হুলুম করে তাকে জানালেন ভালোবাসার কথা। এতে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার চাইতে তৈরি সম্পর্ক ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনাই কিন্তু বেশি।<br /> <br /> ভালোবাসি বলবেন না যখন...<br /> <br /> আজকাল অনেকেই মুঠোফোনে প্রেম করছেন। তবে নিজেদের বোঝাপড়াটা যখন বেশ ভালোর দিকে গড়াবার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তখন তাকে ভালোবাসার কথাটি জানাতে সরাসরি আমন্ত্রণ জানান কোনো একটি রেস্টুরেন্টে। কেননা ফোন কিংবা ইন্টারনেটে প্রেম নিবেদনের চাইতে এসব কথা সামনাসামনি বলাই ভালো।<br /> <br /> বন্ধুদের আড্ডায় কখনোই কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দেবেন না। এতে আপনার প্রিয় মানুষটি যেমন বিব্রতবোধ করতে পারে, তেমনি তার নেতিবাচক উত্তরে অস্বস্তিতে পড়ে যেতে পারেন আপনিও।<br /> <br /> জীবন নিয়ে মজা করতে পারাটা ভালো। তবে প্রস্তাব দেবার সময়টাতেও যদি আপনি ক্রমাগত মজা করে যেতে থাকেন তাহলে আপনার সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর কিন্তু মনে হতেই পারে যে আপনি সম্পর্কটির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস নন।<br /> <br /> প্রস্তাব দেবার সময় নিজের 'ম্যানার' এবং 'এটিকেটে'র দিকেও খেয়াল রাখবেন। কেউ যদি খাওয়া বা অন্য কোনো কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকে তবে সেই মুহূর্তে তাকে ভালোবাসার কথা না জানানোটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। এমনকি যখন আপনি প্রস্তাব দেবার জন্য প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কোথাও খেতে যাবেন তখনও এ বিষয়টি মাথায় রাখুন। প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তায় খাওয়াদাওয়াটা সেরে নিন। তারপর ধীরে সুস্থে তাকে জানান ভালোবাসার কথা।<br /> <br /> মন থেকে না ভেবে কিংবা চিন্তা না করে ভালোবাসার কথাটি বলবেন না। এমন অনেকেই আছেন যারা প্রেমে ব্যর্থ হবার পর ভাবতে থাকেন যে হয়তো এভাবে না করে ওভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করলে প্রেমটা হয়ে যেত। কাজেই আপনি এ দলটায় নিজেকে ফেলবেন না।<br /> <br /> ভালোবাসার উত্সবকে বরণ করে নেবার প্রস্তুতি চলছে চারদিকে। আর আনিকা নিজেকে প্রস্তুত করছে ফাগুনের আগুন সাজে সাজাবে বলে। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন পরেই ছেলেটা আসবে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বলে। কিন্তু এই কয়েকটা দিনকেই কেন যেন কয়েক যুগ মনে হচ্ছে তার। ভালোবাসার মানুষটিকে ঘিরে যে অগুনতি স্বপ্নের জাল বুনে সে কাটিয়ে দিয়েছে দীর্ঘ একটা বছর, বছর ফুরোবার মাত্র দুদিন আগে সেই মানুষটির অপেক্ষাকেই যেন মনে হচ্ছে দীর্ঘ একসময়। সত্যি ভালোবাসা খুব অদ্ভুত। বড় অজানা এর গতি পথ।<br /> </div>

ভালোবাসি ভালোবাসি

0 ৫/১৩/২০১৩

রবি ঠাকুর তো তার গানের কথায় আর সুরে ভালোবাসার আলোড়ন তুলেই ক্ষান্ত দিয়েছেন। এদিকে প্রেমের আকুতি নিয়ে কত তরুণ-তরুণীর হূদয়ে যে ভালোবাসার জলোচ্ছ্ব্বাস চলছে তার খবর কে রাখে। তবে ভালোবাসার এই উচ্ছ্ব্বাসটাকে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে না পারলে কি… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

রকমারি ভালোবাসা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://4.bp.blogspot.com/-6hd56I5I5Qg/UYspL_eBIPI/AAAAAAAABOo/KGjf42ndseM/s1600/156197_236930673079633_1722891547_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="রকমারি ভালোবাসা" border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-6hd56I5I5Qg/UYspL_eBIPI/AAAAAAAABOo/KGjf42ndseM/s320/156197_236930673079633_1722891547_n.jpg" title="" width="240" /></a>প্রেম-ভালোবাসা তার নিজস্ব গতিপথ অনুযায়ী চলে। কখন কার উপর ভর করে বসে কোনো ঠিক নেই। তবে সত্যি বলতে ভালোবাসার এই আসক্তি আমাদের সবার প্রিয়। আর প্রাচীন ইতিকথা অনুযায়ী মানুষের হূদয়ে প্রেমের জন্ম নেয়, স্বর্গীয় দেবদূতের তীরের আঘাতে। নিরুত্তাপ মুখশ্রী আর সোনালি চুলের অধিকারী এই দেবদূত তার ধনুক থেকে তীর বর্ষণ করে দুটি হূদয়ের দেয়াল ভেঙে তাদের পরস্পরের কাছে নিয়ে আসে। তীর-ধনুক ডানা সম্বলিত এই সুদর্শন দেবদূত ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। রোমান পুরানে তাকে প্রেমের দেবতা 'কিউপিড' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।<br /> <br /> ভালোবাসা দিবসের সূচনা ঘটে রোমান সাম্রাজ্যের বর্ণময় দিনগুলোতে। প্রাচীন রোমে, ১৪ ফেব্রুয়ারি জুনো দেবীর সম্মানে ছুটি পালন করা হতো। এই জুনো ছিল সমস্ত রোমান দেব-দেবীদের রানি। রোমানরা তার পূজো করত নারী আর বিয়ের দেবী হিসেবে। তারপরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হতো লুপারকালিয়া নামক দেবতার নামে বিরাট এক ভোজ সভার। এই দেবতা সবার কাছে স্বামীত্ব, উর্বরতা, শস্য সামগ্রীর রক্ষাকর্তা, শক্তিশালী শিকারি হিসেবে পূজনীয় ছিল। কালক্রমে এই দুই উত্সবের সমন্বয়ে এবং কিছু কিছু রীতির পরিবর্তনের মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের উদ্ভব হয় বলে বোদ্ধাদের ধারণা।<br /> <br /> তখনকার দিনে তরুণ-তরুণীদের আলাদা করে রাখার জন্য খুব কড়াকড়ি নিয়ম অনুসরণ করা হতো। যে উপলক্ষে তারা কাছাকাছি আসতে পারত সেটা হচ্ছে লুপারকালিয়ার সম্মানে আয়োজিত উত্সবের টোকেন পর্বে। মেয়েরা স্লিপে তাদের নাম লিখে একটি পাত্রের মধ্যে রেখে দিত। তরুণরা সেই পাত্র থেকে লটারির মতো করে স্লিপ তুলে নিত। যে মেয়ের নাম তার হাতে উঠত ওই মেয়ের সাথেই সে উত্সবের পুরো সময় কাটাতে পারত। অনেক সময় তাদের একত্রে থাকা পুরো বছরজুড়ে চলতে থাকত। এর কোনো একসময়ে তাদের মধ্যে প্রেম জন্ম নিলে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতো।<br /> <br /> সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়ামের আমলে রোমান সাম্রাজ্য অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। নিষ্ঠুর প্রকৃতির এই সম্রাটের অধীনে কেউ যুদ্ধে যেতে চাইত না। তিনি এর কারণ হিসেবে ধরে নেন পরিবার আর স্ত্রীর প্রতি যুবকদের ভালোবাসাকে। এ কারণে তিনি রোমে সব ধরনের বিয়ে এবং বাগদান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়ামের আমলে রোমের একজন যাজক। ভালোবাসার প্রতি তীব্র অনুরাগী যাজক ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের অগোচরে রোমান সৈন্য বাহিনীর সদস্যদের বিয়ে পড়াতে লাগলেন। এই পবিত্র কাজ সম্পাদনের অপরাধে তিনি গ্রেফতার হন। তাকে রোমান বিচারালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে গদার আঘাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় এবং তার মাথা কেটে রাখার হুকুম জারি করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জেলে থাকাকালীন সময়ে ভ্যালেন্টাইন জেলারের মেয়ের অন্ধত্ব দূর করেন। মেয়েটি তার প্রতি গভীর প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু তার শোচনীয় পরিণাম হওয়া থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। মৃত্যুর আগে ভ্যালেন্টাইন তাকে শেষ একটি বার্তা প্রেরণে সক্ষম হন। তাতে লেখা ছিল 'ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন'। আর এখান থেকেই ভালোবাসা দিবসের যাত্রা শুরু হয়।<br /> <br /> প্রাচীন রোমানে লুপারকালিয়া আর জুনোর সম্মানে আয়োজিত উত্সবে দেব-ভক্তির পাশাপাশি কামক্রীড়ার প্রচলনও খুব বেশি ছিল। লটারির মাধ্যমে নারী-পুরুষ জুটিবদ্ধ হয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। সমাজকে এই ভ্রষ্টতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারিকে 'ভালোবাসা দিবস' হিসেবে পালন করার আহ্বান জানানো হয়। যদিও লুপারকালিয়া উত্সবের লটারি প্রথার পুরোপুরি বিলোপ সাধন করা তখনও করা যায়নি। তবে যাজক ভ্যালেন্টাইনের প্রতি সম্মান প্রদশনার্থে তখন লটারি করা হতো শুধুমাত্র গিফট বিনিময়ের জন্য ভ্যালেন্টাইন নির্বাচনের জন্য। অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই প্রথা একটানা চলতে থাকে। তারপরেই এতে খটকা লাগে। দু-পক্ষের গিফট বিনিময় প্রথা উঠে যায়। গিফট দেওয়াটা শুধুমাত্র পুরুষের উপর গিয়ে বর্তে। কিন্তু পুরুষরাও দিনে দিনে এই লটারি উত্তোলনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। কেননা তারাও অপরিচিত নারীদের সাথে গিফট বিনিময়ে অনীহা দেখানো শুরু করে। এরপর লটারির মাধ্যমে ভ্যালেন্টাইন বেছে নেওয়া এবং তার সাথে গিফট দেওয়া-নেওয়ার প্রথা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়। মানুষ এখন নিজের পছন্দমতো কাউকে ভ্যালেন্টাইন হিসেবে বেছে নিতে পারে। প্রিয়জনকে বেছে নেওয়ার এই স্বাধীনতা ভালোবাসা দিবসে নতুন বৈচিত্র্য এবং মানব-মানবীর সম্পর্কে গভীরতা এনে দিয়েছে।<br /> <br /> ঐতিহ্যবাহী ভালোবাসা দিবস<br /> <br /> শত শত বছর আগে ইংল্যান্ডে শিশুরা ভালোবাসা দিবসে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সাজ-পোশাক পড়ে ঘরে ঘরে গিয়ে ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানিয়ে আসত।<br /> <br /> ওয়েলসে কাঠের তৈরি 'ভালোবাসা চামচ' তৈরি করে সেগুলো ১৪ ফেব্রুয়ারি গিফট হিসেবে আদান প্রদানের প্রচলন ছিল। হার্টশেপ চাবি, চাবি ঢোকানোর গর্তসহ নকশা করা চামচের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এ ধরনের ডেকোরেশনের মানে ছিল 'আমার হূদয়ের তালা খুলে দাও'।<br /> <br /> মধ্যযুগে তরুণ-তরুণীরা একটা পাত্র থেকে নাম লেখা চিরকুট বেছে নিত, কে তার ভালোবাসারপাত্র হবে তা নির্ধারণের জন্য। যে নামটিই উঠে আসুক না কেন, তারা সেই নামটি জামার আস্তিনে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লাগিয়ে রাখত। প্রিয়জনের নাম জামার হাতায় বেঁধে রাখার মাধ্যমে পুরো সমাজকে তার মনের কথা মুখে না বলেই বুঝিয়ে দিতে পারত।<br /> <br /> ইউরোপের কিছু দেশে ভালোবাসা দিবসে বাহারি পোশাক উপহার হিসেবে প্রচলিত ছিল। তরুণরা তাদের পছন্দের তরুণীকে উপহার হিসেবে পোশাক পাঠাত। যদি তরুণী উপহারটি নিজের কাছে রেখে দিত, সেটার মানে ধরা হতো সে উপহারদাতাকে বিয়ে করতে রাজি আছে।<br /> <br /> কিছু কিছু লোক বিশ্বাস করত কোনো তরুণী যদি ভালোবাসা দিবসে আকাশে কোনো রিবন উড়ে যেতে দেখে তাহলে তার বিয়ে কোনো নাবিকের সাথে হবে। সে যদি কোনো চড়ুই পাখি দেখে তাহলে গরিব ঘরে বিয়ে হলেও জীবন খুব সুখী হবে।<br /> <br /> এ ছাড়াও আরেকটি ব্যাপার ছিল এ রকম গাছ থেকে আপেল পারার সময় পছন্দের পাঁচ-ছয়টি ছেলে বা মেয়ের নাম মনে মনে উচ্চারণ করতে থাকুন। এদের এমনভাবে বেছে নিন যাদের মধ্য থেকে একজনকে আপনি বিয়ে করতে চান। আপেল যখন গাছ থেকে ছুটে আসবে তখন যার নাম আপনার মুখে থাকবে, সেই হবে আপনার স্বামী বা স্ত্রী।<br /> <br /> ভালোবাসা দিবসে কেউ আপেল কাটলে এর মধ্যে যতটা বিচি থাকবে, তার ততটা বাচ্চা হবে। এটা অতি পুরোনো বিশ্বাস।<br /> <br /> কিউপিড :ভালোবাসার প্রতীক<br /> <br /> সুদর্শন কিন্তু এখনও বালক। মেয়েদের স্বপ্নে উঁকি দেওয়া কঠিন পুরুষ হয়তো সে কিন্তু ভালোবাসার প্রতীক বলে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই তার সাথে প্রণয়াবদ্ধ। যুগ যুগ ধরে এই দেব-শিশু ভালোবাসার মায়ায় বিদ্ধ করে চলছে। দুটি মানব মনকে একসুতোয় আবদ্ধ করতে তার প্রেম-ধনু থেকে তীর নিক্ষেপ করে যাচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগলেও সত্যি এই ডানা সংযুক্ত দেব-শিশুটির জন্যই রোমিও-জুলিয়েট, লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদের অমর প্রেম কাহিনীর সৃষ্টি। ভালোবাসার কথা আছে বলেই এসব কাহিনী মনের গভীরে দাগ কেটে যায়। আর 'কিউপিড' এই ভালোবাসার স্বর্গীয় রূপ ধারণ করে আছে।<br /> <br /> কিউপিডের ভালোবাসার দেবতা হিসেবে স্থান লাভের ইতিহাস সমস্ত প্রেমীদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা। দেবতা হলেও কিউপিডের জন্ম নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি আছে। কারও কারও মতে কিউপিডের জন্ম মারকারি আর ডায়নার ঔরসে। কেউ বা ধারণা করেন কিউপিড মারকারি আর ভেনাসের সন্তান। তবে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বিশ্বাস হচ্চেছ মার্স এবং ভেনাসের ঘরে কিউপিডের জন্ম হয়। ভালোবাসার প্রতীক বলে স্বীকৃত শিশুর জন্য এর চেয়ে যথার্থ পিতা-মাতা মনে হয় আর হয় না। কিউপিডের ভালোবাসার দেবতা হিসেবে গণ্য হওয়ার ইতিহাস সমস্ত প্রেমীদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। যা ভেনাসের তরফ থেকে এই নশ্বর পৃথিবীতে রূপের অহংকারে মত্ত নারী, সবাইকে শায়েস্তা করার জন্য কিউপিডের আগমন। কিন্তু সেই রূপ গরবিনীকে দেখা মাত্র কিউপিড প্রেম ধনু দিয়ে নিজ শরীরে তীর বর্ষণ করেন। সত্যিকারের গভীর ভালোবাসায় মায়ের চক্ষুশূল এই রূপসীকে আপন করে নেন। কিন্তু দেবতা আর নশ্বর মানবীর এই বন্ধন মা ভেনাস ভালোভাবে নিতে পারেননি। ছেলের ভালোবাসায় চিড় ধরানোর জন্য তিনি নানা কূট কৌশলের আশ্রয় নেন। সাথে যোগ দেয় কিউপিডের প্রণয়িনীর বোনও। কিন্তু তাদের কোনো চাল কাজে আসেনি। কিউপিডের মনের মানুষ থেকে তাকে আলাদা করা সম্ভব হয়নি।<br /> <br /> এখান থেকেই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে কিউপিডের যাত্রা শুরু। যে নিজ ভালোবাসার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বদ্ধপরিকর। সে জন্য যদি নিজের পরিবার কিংবা সমস্ত পৃথিবীর বিপক্ষে দাঁড়াতে হয় তাতেও তার কোনো ভয় নেই। তবে কিউপিডর সম্পর্কে এ কথাও প্রচলিত তার সব তীরের আঘাতে কিন্তু মানুষ মন বিলিয়ে দেয় না। কিছু তীরের বৈশিষ্ট্য এমন যে, সেগুলো ভালোবাসার জনের প্রতি মানুষকে বিমুখ করে তোলে। তবে অন্যদের মতে তার দুধরনের তীরগুলোর মধ্যে সোনালি তীরের আঘাতে মনে সত্যিকারের প্রেম জন্ম নেয় আর ধূসর তীরের সংস্পর্শে আসলে ইন্দ্রিয় ভোগ বিলাসী মনোভাবের সূচনা হয়। তবে কিউপিডের তীরের আঘাতে যে ফলই হোক না কেন ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তার প্রতিকৃতি মানুষের মনে চিরস্থায়ীভাবে আসীন হয়ে আছে।<br /> <br /> ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে সব বয়সের মানুষের উত্সাহ উদ্দীপনা সহজেই নজর কাড়ে। এইদিনে প্রিয়জনকে 'ভালোবাসি' বলার মধ্যে ভিন্ন আমেজ থাকে। সঙ্গীহীন একাকী বলে ভালোবাসা দিবসকে এখন অপ্রয়োজনীয় আহ্লাদ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু মনের মানুষ একজন পেয়ে গেলে এই দিনটির আবেদন বুঝা যাবে। বছরের এই দিনটির প্রতীক্ষায় তখন দিন কাটতে চাইবে না। সম্পর্কে আবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ভালোবাসা দিবস যদি প্রিয়জনের সাথে মিলে উদযাপন করা না যায়, তবে মনে কষ্ট আসাটা খুবই স্বাভাবিক। তাই ভালোবাসা দিবস পরিপূর্ণভাবে উপভোগের জন্য সব রকম প্রস্তুতি আগে থেকে নিয়ে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ভালোবাসা দিবসকে রোমান্টিকতায় ভরে তুলতে কিছু বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।<br /> <br /> চেষ্টা করুন জীবনকে ঘিরে আপনার সঙ্গীর আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন সম্বন্ধে জানার, তার সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু বোঝার চেষ্টা করুন। এসবের ফাঁকে তার দৃষ্টিতে ভালোবাসা দিবস কেমন হওয়া উচিত সেটা জেনে নিন। এখন তার সম্পর্কে জড়ো করা সব তথ্যের ভিত্তিতে দিনটিকে তার পছন্দ অনুযায়ী পারফেক্ট করে সাজিয়ে নিন। সুন্দর দেখে কার্ড কিনুন অথবা নিজেই কার্ড তৈরি করে নিন। ভালোবাসা, প্রশস্তি আর উপলব্ধির আঁচড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে কার্ডটি পূরণ করুন। এবার একটি গোলাপসহ প্রিয়জনের কাছে উপস্থাপন করুন।<br /> <br /> শুধুমাত্র নারীরাই সব উপহার গ্রহণ করবে তা কিন্তু নয়, পুরুষরাও ভালোবাসা দিবসে তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে বিশেষ কিছু আশা করে। সুতরাং আপনার প্রেমিকপ্রবরের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট কিনে দুজনে মিলে দিনটিকে উপভোগ্য করে তুলুন। ভালোবাসা দিবসে আপনার সঙ্গীই যেন হয় সমস্ত আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। দেখবেন কেমনভাবে রোমান্টিকতার পালে হাওয়া লাগিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা শুধু দুজন দুজনার, ভালোবাসার এই মন্ত্র কখনও বিফলে যায়নি। দুজনের মধ্যে কোনো কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকলে সেটা দূর করার জন্য এই দিনটিকে বেছে নিন। মনের দুয়ার খুলে সবকিছু শেয়ার করুন। পুরুষদের জন্য করণীয় হচ্ছে সঙ্গীর মনের কামনাগুলো জানতে চেষ্টা করা। আর নারীরা যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে সঙ্গীকে কথা বলতে দেওয়া। নিজেই প্রশ্ন করে, নিজেই উত্তর খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা বাদ দিয়ে তাকে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করতে দিন। পরস্পরকে যতবেশি জানতে পারবেন, বোঝাপড়াটাও ততভালো হবে। সম্পর্কের ভিত্তি আরও দৃঢ় হবে। হয়তো আপনার সঙ্গী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, অথচ আপনি মাউস আর মনিটর আলাদা করে চিনেন না। অথবা আপনার প্রেয়সীর শখ বাগান আর আপনার কাছে গোলাপ অন্য দশটা ফুলের মতোই সাধারণ। নিজের কাজের পাশাপাশি সঙ্গীর পছন্দের বিষয়ে আগ্রহ দেখান। তার প্রিয় বিষয় সম্পর্কে সাধারণ কোনো প্রশ্ন করতে দ্বিধা করবেন না। দেখুন আপনার আগ্রহীভাব তার চোখে মুখে কীভাবে আনন্দের ছটা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই ভালোবাসা দিবসকে মধুর করে তুলতে এতদিন অগ্রাহ্য করা বৈষয়িক দিকগুলোতেও নজর দিন।<br /> <br /> 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।' প্রিয়জনকে বিশ্বাস করে তার হাতে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পণ করে দিন। ভালোবাসা দিবসে পরস্পরের প্রতি যদি কোনো অবিশ্বাস, মনে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে সব ছুঁড়ে ফেলে দিন।<br /> <br /> ভালোবাসা দিবসকে রোমান্টিকতায় ভরিয়ে তুলতে প্রিয়জনের উদ্দেশ্য কোনো চিঠি বা কবিতা লিখুন। নিজেই তাকে পড়ে শোনান। তার চোখে মুখে ভালোবাসার দীপ্তি আপনার মনে প্রশান্তি বয়ে আনবে<br /> </div>

রকমারি ভালোবাসা

0 ৫/০৯/২০১৩

প্রেম-ভালোবাসা তার নিজস্ব গতিপথ অনুযায়ী চলে। কখন কার উপর ভর করে বসে কোনো ঠিক নেই। তবে সত্যি বলতে ভালোবাসার এই আসক্তি আমাদের সবার প্রিয়। আর প্রাচীন ইতিকথা অনুযায়ী মানুষের হূদয়ে প্রেমের জন্ম নেয়, স্বর্গীয় দেবদূতের তীরের আঘাতে। নিরুত্তাপ মুখশ্রী … আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভালোবেসে গোলাপ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://2.bp.blogspot.com/-35z6_8ro1i0/UYsmsU372kI/AAAAAAAABN0/t2RYWStCCIM/s1600/562874_466449990093763_764037886_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="ভালোবেসে গোলাপ" border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-35z6_8ro1i0/UYsmsU372kI/AAAAAAAABN0/t2RYWStCCIM/s320/562874_466449990093763_764037886_n.jpg" title="" width="320" /></a>ভালোবাসার সাথে গোলাপ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা যে কাউকে ভালোবাসার শুভেচ্ছা পাঠাতে গোলাপ অনন্য। তবে এই গোলাপের আছে অনেক অর্থ।<br /> <br /> লাল গোলাপ :নির্দেশ করে উত্তেজনা আর শারীরিক আবেগ ভরা ভালোবাসা<br /> <br /> সাদা গোলাপ :নিরীহ আর খাঁটি ভালোবাসার প্রতীক<br /> <br /> গোলাপি গোলাপি :বন্ধুত্বের প্রতীক, ভালোবাসা শুরু হওয়ার সংকেত<br /> <br /> হলুদ গোলাপ :শ্রদ্ধা আর দায়িত্বশীলতার প্রতীক<br /> <br /> এ-তো গেল গোলাপের রঙের ব্যবচ্ছেদ। তবে গোলাপ গুনে গুনেও কিন্তু অনেক কিছু প্রকাশ করা যায়। যা আমরা অনেকেই জানি না।<br /> <br /> ১টি গোলাপ = প্রথম দেখায় প্রেম<br /> <br /> ২টি গোলাপ = সাধারণ ভাব বিনিময়<br /> <br /> ৩টি গোলাপ = আমি তোমাকে ভালোবাসি<br /> <br /> ৭টি গোলাপ = তোমার প্রেমে পাগল<br /> <br /> ৯টি গোলাপ = আমরা সারা জীবন একসাথে থাকব<br /> <br /> ১০টি গোলাপ = তুমি শুধুই আমার<br /> <br /> ১১টি গোলাপ = পৃথিবীতে তোমাকেই আমি সবচেয়ে বিশ্বাস করি<br /> <br /> ১২টি গোলাপ = প্রতিশ্রুতি দিলাম সব সময় কাছে থাকব<br /> <br /> ১৩টি গোলাপ = সারা জীবন বন্ধুর মতো কাছে থাকব<br /> <br /> ১৫টি গোলাপ = আমি দুঃখিত<br /> <br /> ২০টি গোলাপ = আমি সারা জীবন বিশ্বাসী হয়ে থাকব<br /> <br /> ২১টি গোলাপ = আমি তোমার কাছে দায়বদ্ধ<br /> <br /> ৩৬টি গোলাপ = আমাদের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো আমি সারা জীবন মনে রাখব<br /> <br /> ৪০টি গোলাপ = আমার পুরো হূদয় দিয়ে আমি তোমাকে ভালোবাসি<br /> <br /> ১০৮টি গোলাপ = আমাকে বিয়ে করবে?<br /> </div>

ভালোবেসে গোলাপ

0 ৫/০৯/২০১৩

ভালোবাসার সাথে গোলাপ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা যে কাউকে ভালোবাসার শুভেচ্ছা পাঠাতে গোলাপ অনন্য। তবে এই গোলাপের আছে অনেক অর্থ। লাল গোলাপ :নির্দেশ করে উত্তেজনা আর শারীরিক আবেগ ভরা ভালোবাসা সাদা গোলাপ :নিরীহ আর খাঁটি ভালোবাসার প্রতীক গোল… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

মেনোপজের সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ যা একজন নারীর যৌনতাকে আক্রান্ত করে

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://3.bp.blogspot.com/-xz6m41kLs7U/UYdCHRYyYlI/AAAAAAAAA88/mxRLcwgdKd8/s1600/578383_414303255299731_184146642_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="320" src="http://3.bp.blogspot.com/-xz6m41kLs7U/UYdCHRYyYlI/AAAAAAAAA88/mxRLcwgdKd8/s320/578383_414303255299731_184146642_n.jpg" width="212" /></a><b>মেনোপজের সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ যা একজন নারীর যৌনতাকে আক্রান্ত করে</b><br /> ক্লান্তিবোধ , আকস্মিক উষ্ণ উচ্ছ্বাস , ঘুম ঘুম ভাব<br /> মাথা ঘুরানি , যোনি শুকিয়ে যাওয়া<br /> ভারসাম্য রক্ষা করায় কষ্ট , যৌন ইচ্ছার পরিবর্তন<br /> অনেক বেশি ঘাম দেয়া<br /> সপর্শে অনেক কম আনন্দ অনুভূত হওয়া<br /> দ্বিতীয় যৌনাঙ্গের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঃ স্তনের পূর্ণতা কমে আসা, যোনি কপাট, নিতম্ব, কমর এবং বয়স্ক যোনি লোম কমে আসা।<br /> যোনির টিস্যুগুলো পাতলা হয়ে আসা<br /> ত্বকে চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়া<br /> কাপড় পরিচ্ছদে অথবা সপর্শে সপর্শকাতরতা<br /> পায়ের এবং হাতের অনুভব কমে আসা<br /> এসব অবস্থায় জড়িত হয়ে পড়ে রজঃস্রাবপূর্ব লক্ষণসমূহ।<br /> এছাড়াও এস্ট্রোজেনের কমতির কারণে খুব বেশি শিরঃপীড়া হতে পারে।<br /> অল্প সময়ের জন্য স্মৃতিভ্রষ্ট হতে পারে<br /> মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে<br /> চাপ এবং দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে।<br /> যেহেতু প্রতিটি নারীই আলাদা আলাদাভাবে মেনোপজের অভিজ্ঞতা লাভ করে, তাদের একজনের লক্ষণসমূহ অন্যজনের চেয়ে পার্থক্যপূর্ণ হয়ে থাকে। এই লক্ষণসমূহের কারণ হচ্ছে শরীরে এস্ট্রোজেন তৈরি কমে আসা এবং এর প্রতিক্রিয়া হতে পারে হাল্কা থেকে কঠিন। তারা বেশি বেড়ে যায় শেষ রজঃস্রাবের দু বছর পূর্ব থেকে এবং দু বছর পর পর্যন্ত। চল্লিশ-এর দশকের প্রথমভাগে এসে একজন নারী তার প্রথম রজঃস্রাবজনিত পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং তার ঘুমের আদলের কিছুটা পরিবর্তনও দেখতে পান। এছাড়াও রাতে তার বেশি ঘাম এবং শরীরে জ্বালাপোড়া অনুভব করতে পারেন। এ সময়ে হরমোনের ঢেউ-এর কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অতি তাড়াতাড়ি। একজন মহিলা এই রাত্রিকালীন ঘাম দেয়ার সময়ে এবং শরীর জ্বালাপোড়ার সময়ে অনেক কম যৌন ইচ্ছা অনুভব করতে পারেন।<br /> যদিও মেনোপজ হতে পারে একটা সময়ের ব্যাপার। তবে এর দ্বারা কী আশা করা যায়, তা হচ্ছে এই যে এর বেশিরভাগ লক্ষণই স্থায়ী নয় এবং তা হচ্ছে একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া। এটা জানা থাকলে কোনো ভয়ের কারণ থাকে না। এখানে কিছু স্থায়ী শারীরিক পরিবর্তন আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে একটু বেশি মাত্রায় মুখের পশম গজানো দেখা দিতে পারে এবং কণ্ঠস্বর গভীর হতে পারে। ভগাঙ্কুর অনেকটা বেড়ে যায় এবং যোনিরও পরিবর্তন হয়। যোনি দেয়ালসমূহ পাতলা ও শুকনো হয়ে যায়। স্বাভাবিক পিচ্ছিলতা না থাকায় যৌনসঙ্গম কষ্টদায়ক হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে ভেজিটেবল অয়েল অথবা তার পরিবর্তে অন্য লুব্রিক্যান্ট যেমন ‘অ্যাসট্রোগ্লাইড আর অথবা রিপ্লেনস আর’ ব্যবহার করলে সমস্যা দূর হতে পারে।<br /> অনেক নারী এ সময়ে যোনি অঞ্চলের পেশির সুস্থতা হারিয়ে ফেলেন। তারা হাঁচি দেওয়ার সময়, কাশি দেওয়ার সময় অথবা লাফ দেওয়ার সময় সামান্য প্রস্রাব ত্যাগ করতে পারেন। এটাকে বলা হয় incontinence. এটা বিশেষ করে ওইসব নারীর জন্য সাধারণত হয়ে থাকে যারা অনেক বেশি সন্তান জন্ম দিয়েছেন সাধারণ উপায়ে (অর্থাৎ অপারেশন বা সিজারিয়ান ছাড়া)।নিম্নে প্রদত্ত কেজেল ব্যায়ামটি এই ধরনের প্রস্রাব ক্ষরণ ব করে, যোনির দেয়ালকে শক্ত করে ও যৌনপুলক ও শীর্ষ আনন্দকে বাড়াতে পারে।<br /> </div>

মেনোপজের সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ যা একজন নারীর যৌনতাকে আক্রান্ত করে

0 ৫/০৬/২০১৩

মেনোপজের সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ যা একজন নারীর যৌনতাকে আক্রান্ত করে ক্লান্তিবোধ , আকস্মিক উষ্ণ উচ্ছ্বাস , ঘুম ঘুম ভাব মাথা ঘুরানি , যোনি শুকিয়ে যাওয়া ভারসাম্য রক্ষা করায় কষ্ট , যৌন ইচ্ছার পরিবর্তন অনেক বেশি ঘাম দেয়া সপর্শে অনেক কম আনন্দ অনুভূত হওয়া … আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

নব্য যৌবনপ্রাপ্তিকালে যৌন বৈচিত্রতা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://2.bp.blogspot.com/-1i1eXCzvxYQ/UYc-uSDXL4I/AAAAAAAAA8s/65n-gdM8Pgk/s1600/60161_416680708395319_994460887_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="214" src="http://2.bp.blogspot.com/-1i1eXCzvxYQ/UYc-uSDXL4I/AAAAAAAAA8s/65n-gdM8Pgk/s320/60161_416680708395319_994460887_n.jpg" width="320" /></a>নারী ও পুরুষ যাদের রয়েছে লিঙ্গের পরিচয় এবং যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা, যা সামাজিক আদর্শ থেকে ব্যতিক্রমী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্কের, যদিও তাদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই বরং রয়েছে সামাজিক বাধানিষেধ। তাদের বেলায় সম্পর্কের সম্পাদন, সমস্যা এবং সিদ্ধান্তসমূহ যা এসব লোক গ্রহণ করেন- তাদের সম্পর্কের মধ্যে, তা হচ্ছে ওইসব স্ট্রেইট নারী ও পুরুষের মতো যারা সমাজের মধ্যে আদর্শগতভাবে মিশে গিয়েছে।<br /> গাই এবং স্ট্রেইট দম্পতিরা যৌনতার একই পৌনঃপুনিকতার অভিজ্ঞতা লাভ করে। তারা কথা বলে কে যৌনতার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে তারা সন্তান ধারণ করবে কি না। তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমভাবে সন্তুষ্ট। অনেক গাই লোক তাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা গোপন রাখে। সাধারণভাবে তারা বলে থাকে তাদের নিজস্ব খাস কামরার মধ্যে। তারা তাদের ভালোবাসার লোক হারানোর ভয়ে যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে গোপন রাখে, তাদের বাসস্থান ও চাকরি হারানোর ভয়েও তারা প্রকাশ করে না। বেশি সংখ্যার গাই লোক এবং যারা বেশি মূল্যের বলে তাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে মূল্যায়ন করে। তারা খোলা জায়গায় তাদের জীবনযাপন করে এবং অন্যের সাথে বাইরে চলাফেরা করে।<br /> অনেক লোক আছে যারা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক লোকের সাথে বাইরের জীবন কাটাতে ভালোবাসে- তাদের সহকর্মীদের সাথে, কিন্তু পরিবারের সাথে নয়। অন্যরা সব মানুষের সাথে বাইরে জীবন কাটাতে পছন্দ করে। বাইরে চলে আসাটা হচ্ছে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা এমন একটি সিদ্ধান্ত যা গাই লোকদের বারবার করতে হয়। প্রত্যেকবারেই তাদের জীবনে নতুন মানুষের আবির্ভাব ঘটে। আমাদের সমাজে হোমোফোবিয়া ও অ্যান্টিগাইদের পক্ষপাতের প্রতিক্রিয়ার ফলে গাই লোকেরা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায় গড়ে তুলেছে, যেখানে তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করে। বর্তমানে গাইদের সংস্কৃতি একটি বাড়ন্তরূপ নিয়েছে। অনেকগুলো নগরে যেমন নিউইয়র্ক ও সানফ্রানসিসকোতে গাই হওয়াটা এখন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে যাচ্ছে।<br /> গাই সম্প্রদায়ের জন্য এখন রয়েছে পানশালা, রেস্তোরাঁ, ড্যান্স ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার এবং ম্যাগাজিন। ১৯৬০ দশকের শেষের দিকের গাই মুক্তির পর থেকে লেসবিয়ান, গাই এবং বাইসেক্সুয়াল নারীরা এবং পুরুষরা একই অধিকার অর্জনের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন, যেসব অধিকার স্ট্রেইট লোকদের জন্য দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনের ও নাগরিক অধিকার যা বিবাহিত স্ট্রেইট লোকদের দেয়া হয়েছে।<br /> </div>

নব্য যৌবনপ্রাপ্তিকালে যৌন বৈচিত্রতা

0 ৫/০৬/২০১৩

নারী ও পুরুষ যাদের রয়েছে লিঙ্গের পরিচয় এবং যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা, যা সামাজিক আদর্শ থেকে ব্যতিক্রমী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্কের, যদিও তাদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই বরং রয়েছে সামাজিক বাধানিষেধ। তাদের বেলায় সম্পর্কের সম্পাদন, সমস্যা এব… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ভালোবাসার সম্পর্ক নষ্ট করে

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://1.bp.blogspot.com/-4msLLaNz4_E/UYc5vt91KtI/AAAAAAAAA8c/s-rwsxmfXw4/s1600/426688_239749909480960_783081925_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="179" src="http://1.bp.blogspot.com/-4msLLaNz4_E/UYc5vt91KtI/AAAAAAAAA8c/s-rwsxmfXw4/s320/426688_239749909480960_783081925_n.jpg" width="320" /></a>নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণের ফলে মহিলাদের ভালোবাসা ও যৌনতার অনুভুতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অনেকটাই খারাপ হয়ে পড়ে বলে ব্রিটেনের সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে।<br /> <br /> তাই বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ বন্ধের জন্য মহিলাদের পরামার্শ দিয়েছেন গবেষকরা।<br /> <br /> গবেষক ড. ক্রেইগ রবার্টস বলেন, “আমাদের গবেষণায় বড়ি গ্রহণের বেশ কিছু নেতিবাচক দিক ওঠে এসেছে যা কোনো মহিলার দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।”<br /> তিনি বলেন, “নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণকারী মহিলাদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে তাদের সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয় না। অনেক ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি সময় স্থায়ী হলেও বড়ি গ্রহণের পর মহিলাদের যৌন পরিতৃপ্তি লাভ অনেকটা কমে যায়, যা তার পুরুষ সঙ্গীর প্রতি বিরক্তির উদ্রেক করে।”<br /> এর জন্য এসব বড়ি থেকে দূরে থাকাটাই মহিলাদের জন্য অধিক উপকারী বলে মন্তব্য করেন তিনি।<br /> </div>

জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ভালোবাসার সম্পর্ক নষ্ট করে

0 ৫/০৬/২০১৩

নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণের ফলে মহিলাদের ভালোবাসা ও যৌনতার অনুভুতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অনেকটাই খারাপ হয়ে পড়ে বলে ব্রিটেনের সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে। তাই বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

সুপার হট গার্ল .........2

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="240" src="http://2.bp.blogspot.com/-R8QMUPttx64/UYJZEsOj1JI/AAAAAAAAAzw/8uSC6ERcluo/s320/deshe+nice+girl+(92).jpg" width="320" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-cXqi8PK2e4U/UYJZRivITgI/AAAAAAAAA0E/3E_EfcUY83s/s320/deshe+nice+girl+(93).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-Zb7GLO71PFI/UYJZEYu2X4I/AAAAAAAAAzs/Lt_eMyyLJcw/s320/deshe+nice+girl+(94).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="240" src="http://2.bp.blogspot.com/-OCnr5oA_dRk/UYJZNRQUryI/AAAAAAAAAz8/GbqfwK-HKKA/s320/deshe+nice+girl+(95).jpg" width="320" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-sZxmG76YGo8/UYJZSDJ4JFI/AAAAAAAAA0M/sdD49G0Zdso/s320/deshe+nice+girl+(96).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://3.bp.blogspot.com/-tHZH1hAfnPM/UYJaL0nPuzI/AAAAAAAAA0k/jmdmOUZLJcw/s320/deshe+nice+girl+(97).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="289" src="http://2.bp.blogspot.com/-XWjtYLFR8RM/UYJZXT_tIRI/AAAAAAAAA0U/joFAU5HiQ5w/s320/deshe+nice+girl+(98).jpg" width="320" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-G-l0foxBOF0/UYJaF9e3zGI/AAAAAAAAA0c/9_TRPnYKzDY/s320/deshe+nice+girl+(99).jpg" width="240" /></div> <br /></div>

সুপার হট গার্ল .........2

0 ৫/০২/২০১৩

… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভালোবাসার চিঠি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://3.bp.blogspot.com/-pAPX2-36V20/UYJW_NkHgOI/AAAAAAAAAzc/LVRQQbvJJkk/s1600/images+(20).jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="280" src="http://3.bp.blogspot.com/-pAPX2-36V20/UYJW_NkHgOI/AAAAAAAAAzc/LVRQQbvJJkk/s320/images+(20).jpg" width="320" /></a>কাগজে লেখা কিছু শব্দ আপনার ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলে নতুন করে। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মার্ক টোয়েন তার হবু স্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছিলেন, 'প্রিয় লিভি, তুমি সুন্দর ... তোমার বিশাল হূদয়ে আমাকে ছোট্ট একটি ঘর দাও... যদি আমি তা পেতে ব্যর্থ হই তবে সারা জীবন ঘরছাড়া যাযাবর হয়ে থেকে যাব।' চিঠির এই ভাষাই পরে তাকে কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার মানুষকে পেতে সফল করেছে। হূদয় হতে নিঃসরিত কিছু কথা পৃথিবীর সব উপহারের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উপহার। আর হূদয়ের কথা ব্যক্ত করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো 'চিঠি'।<br /> উপভোগ করা যায়। তাই ভালোবাসার দিনটিতে প্রিয়জনের কাছে অন্যান্য উপহারের সাথে একটি চিঠিও সংযুক্ত করুন যা তার প্রতি আপনার ভালোবাসাকে আবারও প্রকাশ করবে। আপনার প্রিয়জনকে ভালোবাসার কথা জানাতে যে চিঠি আপনি লিখছেন তা লেখার সময় কিছু কিছু দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রথমে আপনি যা লিখতে চান তা লিখে নিন। অতঃপর তা আরেকবার নির্ভুল করে লিখে ফেলুন। চিঠিটি রোল করে রিবন বেঁধে কিংবা খামে ভরে আপনার বা আপনার প্রিয়জনের পছন্দের একগুচ্ছ ফুলের সাথে পৌঁছে দিন। কিংবা চিঠিটি কোনো মজার চকোলেটের বক্সের সাথেও পাঠাতে পারেন। চিঠির উপযুক্ত পরিবেশন একে প্রাপকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। চিঠি লিখে ভালোবাসা প্রকাশ করা নতুন উদ্ভাবিত কোনো পন্থা নয়। বহু আগে থেকেই এর প্রচলন হয়ে আসছে। ইতিহাসের সর্বত্র উল্লিখিত রয়েছে 'লাভ লেটার'-এর গুরুত্বের কথা। চিঠি দুজন মানুষের মধ্যকার দূরত্বকে কমিয়ে আনতে পারে তা তারা একজন অপরজনের চেয়ে যত দূরেই থাকুক না কেন। চিঠির মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকা তাদের মনের তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে। বিখ্যাত কবি খলিল জিবরান এবং আমেরিকার স্কুল শিক্ষিকা ম্যারি তাদের ২৭ বছরের বন্ধুত্বে বহু চিঠি আদানপ্রদান করেছেন। আপনার লেখা চিঠি প্রকাশ করবে মনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, আপনার হতাশা, নিরাপত্তাহীনতা। এমনকি চিঠির মাঝে কৌতুকও করতে পারেন প্রিয়জনের সাথে। কারণ চিঠিতে মজার কিছু থাকলে তা আপনার প্রিয়জনের ক্লান্তিকে মুছে দেবে। কেবলমাত্র ভালোবাসার প্রাথমিক পর্যায়ে চিঠি লিখতে হয় এ ধরনের ধারণা করা ভুল। ভালোবাসার যেকোনো পর্যায়েই চিঠি লিখতে পারেন। এমনকি স্বামী-স্ত্রীও একে অপরকে চিঠি লিখতে পারেন। যেমনটি লিখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ তার স্ত্রী গুলতেকিনকে আমেরিকায় প্রবাসকালে। আর সেই চিঠির প্রভাব ছিল এমনই যা গুলতেকিন আহমেদকে যেতে বাধ্য করেছে প্রবাসে স্বামীর কাছে। ভালোবাসার এমনই জোর ছিল কণ্ঠশিল্পী আবিদা সুলতানা ও রফিকুল আলমের ভালোবাসার চিঠিতে। তারই দৃষ্টান্তস্বরূপ সেই সময়ে লেখা তচিঠির প্রতিনিলিপ তুলে ধরা হলো।<br /> <br /> কেমন আছ? আচ্ছা<br /> <br /> তুমি সেই যে আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলে, তখন প্রায় সন্ধ্যা সাতটা, ভাবতে পারো মা, আব্বার কাছে আমার কী অবস্থা? বুড়িগঙ্গায় নৌকাতে যে আমাদের পুলিশ ধরল, সে কথাটা কীভাবে মাকে বলি বলতো? গানের রিহার্সেল করে আর কত মিথ্যা কথা বলা যায়? তারপরও তুমি ভুল করে তোমার মাফলারটা ফেলে আমার মাফলারটা নিয়ে রাজশাহী চলে গেলে, ওটা আমি কোথায় লুকাবো? রিহার্সেলে খুরশিদ ভাই (খুরশিদ আলম) ছিলেন তার সাথে চেঞ্জ হয়েছে, এ কথা বলে কাটালাম কিন্তু প্রতি মুহূর্তে টেনশন হচ্ছে এই বুঝি কোনো কারণে খুরশিদ ভাই বাড়িতে চলে আসেন তা হলে তো ছয় তারিখের যে কোনো রিহার্সেলই ছিল না এটা জেনে যাবে। যা হোক তোমার কী অবস্থা? খালাম্মার শরীর এখন কেমন? উনি কি আমার কথা কিছু শুনেছেন? হেনা কেমন আছে? ভালো লাগছে না জানো। এই যে সময় তুমি পাঁচ-ছয় দিনের জন্য দেশে যাও, আমার ভাল্লাগেনা। এই কয়দিন আমার জীবনে কোনো আনন্দ থাকে না। ভাবছিলাম মেজো বুবুর বাসায় গিয়ে তোমাকে একটা ফোনও করব কিন্তু চাচি আম্মা পছন্দ করেন না ওখান থেকে ফোন করি। কারণ উনি বুঝে ফেলেছেন এ ফোনটা গোপন। খুবই স্বাভাবিক উনি পছন্দ করেন না ফোন করা। এই জানো? বুবু না সব বুঝে ফেলেছে। আমাকে একেবারে সোজাসুজি জিজ্ঞাসা করল, 'শিখা, তোমার সঙ্গে কথা আছে।' আমি বললাম, বলো। আমিও বুঝতে পারছিলাম ও কি বলবে। বলল, 'তুমি কি রফিককে বিয়ে করবে?' আমিও ওর দিকে তাকিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবে বললাম, হ্যাঁ, আমি সে রকমই ভাবছি। ও একটা উপদেশমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনা শেষ করল। বলল, 'তো ঘুরাঘুরি না করে মাকে বলো, ঘুরাঘুরি করলে বদনাম হয়।' আমি বললাম, আচ্ছা, সাথে সাথে আমার মনে হলো তুমি কবে আসবে আর আমরা শ্যানে রেস্টুরেন্টে খেতে যাব, তোমার সঙ্গে যে আমার চব্বিশ ঘণ্টাই ঘুরতে ইচ্ছা করে।<br /> <br /> ভাল্লাগে না।<br /> <br /> খুব তাড়াতাড়ি আস।<br /> <br /> আমি।<br /> <br /> (রফিকুল আলমকে লেখা আবিদা সুলতানার চিঠি)<br /> <br /> শিখা,<br /> <br /> তুমি কেমন আছো? ফেরী ঘাটে আসলে দেরি হলো, বাড়িতে ঢুকতেই লেগে গেল আরও প্রায় আট ঘণ্টা, মানে ধরো সাড়ে এগারোটা বাজল, যখন পৌঁছলাম। গতকাল থেকেই টেলিফোনে ট্রাই করছি। লাইন পাওয়া যায় না। তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের বাড়ির পাশে ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্ট একটা অফিস থেকেও চেষ্টা করলাম। কারণ সরকারি অফিস থেকে অনেক সময় লাইন পাওয়া যায় তাড়াতাড়ি। হলো না। তাই লিখতে বসলাম।<br /> <br /> কক্সবাজারের ছবিগুলো এখনও পাইনি। আমার খুব ইচ্ছা করছিল রাজশাহীর সকলকে (যারা আমার ঘনিষ্ঠ) তাদেরকে দেখাতে।<br /> <br /> আসলে দূরে না এলে বোঝা যায় না তোমার অনুপস্থিতি কত কষ্টদায়ক। প্রচণ্ড ইচ্ছে করছে তোমার সাথে কথা বলতে। উপায় নেই, ঢাকার ঠিকানায় চিঠি দিলাম। তাহলেও তাড়াতাড়ি চিঠি পাঠাতে পারবে। নিপুদের ঠিকানাতেও দিতে পারি। শেষ করলাম।<br /> <br /> তোমার প্রাণের প্রিয়।<br /> </div>

ভালোবাসার চিঠি

0 ৫/০২/২০১৩

কাগজে লেখা কিছু শব্দ আপনার ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলে নতুন করে। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মার্ক টোয়েন তার হবু স্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছিলেন, 'প্রিয় লিভি, তুমি সুন্দর ... তোমার বিশাল হূদয়ে আমাকে ছোট্ট একটি ঘর দাও... যদি আমি তা পেতে ব্যর্থ হই তবে সারা জীবন ঘরছাড়… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

তারকাদের কাছে ভালোবাসা মানে কী?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://2.bp.blogspot.com/-2i67pkAMpJM/UYH9gywcCdI/AAAAAAAAAyk/VKHdf3gK1W8/s1600/734639_296798447109439_1781059652_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="265" src="http://2.bp.blogspot.com/-2i67pkAMpJM/UYH9gywcCdI/AAAAAAAAAyk/VKHdf3gK1W8/s320/734639_296798447109439_1781059652_n.jpg" width="320" /></a>একেক মানুষের কাছে প্রেমের অনুভূতি একেক রকম। কারো অনুভূতির সাথেই কারোর তুলনা চলে না। সবাই নিজের মতো করে উপলব্ধি করে মধুর এই অনুভূতিকে। সাধারণ মানুষের মতোই মিডিয়ার তারকারাও প্রেমে পড়েন। আর তাদেরও প্রেমের অনুভূতি ভিন্ন ভিন্ন। শুধু অনুভূতি নয়, ভিন্ন তাদের প্রেমের স্টাইলও। নাটক, সিনেমার মতো অনেক সময় তাদের প্রেমও থাকে নাটকীয়তায় ভরা। অভিনয় করতে গিয়ে তারা অনেক সময় প্রেমে পড়েন সহ-শিল্পীর। অনেক সময় তাদের প্রেম হয় প্রফেশনাল। আবার প্রেমের ক্ষেত্রে তাদের লুকোচুরিও কম দেখা যায় না। তারকাদের জীবনে প্রেম নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন এ নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের কমতি নেই। সেই কৌতূহল মেটাতেই এই আয়োজন—<br /> <br /> <b>জাহিদ হাসান</b><br /> <br /> ভালোবাসা নিয়ে আমার চিন্তা সরল রৈখিক। মানুষের মৌলিক হূদয়বৃত্তিই ভালোবাসা। ভালোবাসার কোনো শ্রেণী নেই, থাকা উচিতও নয়। বাবা-মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসা, বোনের জন্য ভাইয়ের, স্বামীর জন্য স্ত্রীর, বন্ধুর জন্য বন্ধুর ভালোবাসা থাকতে পারে। প্রকৃতি ও ব্যক্তিবিশেষকে ভালোলাগাও ভালোবাসা। তবে নির্দিষ্ট একটি দিনে নয়। ভালোবাসা উচিত ৩৬৫ দিনই। আমরা ভালোবাসবো ৩৬৫ দিনই সেটা আমাদের মতো করে।<br /> <br /> <b>রিয়াজ</b><br /> <br /> আমার কাছে ভালোবাসা মানে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিস ভালোবাসা। হতে পারে এটা দেশ, প্রকৃতি, ছেলে কিংবা মেয়ে বা অন্য আবেগের সম্পর্ক জড়িত মানুষের প্রতি। যেখানে শুধুই রয়েছে ভালো লাগার স্থান, ঘৃণা নয় এতটুকুও। সময়ের আধুনিকতায় আমরা সভ্যতার আড়ালে যান্ত্রিক হয়ে গেছি। বিশ্ব ভালোবাসার এই একটি দিনও যদি ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেয় সেটাও বিশাল কিছু প্রাপ্তি বটে!<br /> <br /> <b>আইয়ুব বাচ্চু</b><br /> <br /> মেঘ, রোদ, বৃষ্টি, ঝাল, মিষ্টি হলোই ভালোবাসা। এটা তো কখনও মেঘ বা রোদ কিংবা মিষ্টি পরক্ষণেই বদলে গিয়ে তা বৃষ্টি কিংবা ঝাল। ভ্যালেন্টাইনদের উদ্দেশ্য বলব—ভালোলাগার প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসতে হবে। একদম রোমের যাজক লাভগুরু সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মতো করে।<br /> <div> <br /></div> </div>

তারকাদের কাছে ভালোবাসা মানে কী?

0 ৫/০২/২০১৩

একেক মানুষের কাছে প্রেমের অনুভূতি একেক রকম। কারো অনুভূতির সাথেই কারোর তুলনা চলে না। সবাই নিজের মতো করে উপলব্ধি করে মধুর এই অনুভূতিকে। সাধারণ মানুষের মতোই মিডিয়ার তারকারাও প্রেমে পড়েন। আর তাদেরও প্রেমের অনুভূতি ভিন্ন ভিন্ন। শুধু অনুভূতি নয়, ভিন্ন … আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

দিলাম অভিশাপ - ভালোবাসার

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://3.bp.blogspot.com/-5_bltQM_EwE/UYHt7_4d1HI/AAAAAAAAAyU/wlIMzqUwRDI/s1600/552168_218718831584068_1463133378_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="320" src="http://3.bp.blogspot.com/-5_bltQM_EwE/UYHt7_4d1HI/AAAAAAAAAyU/wlIMzqUwRDI/s320/552168_218718831584068_1463133378_n.jpg" width="320" /></a><br /> <b>ভালোবাসাই পূণ্য আমার ভালোবাসাই পাপ</b><br /> <b>আর তো কোন পাপ করিনি,নেই তো কোন 'তাপ</b><br /> <br /> প্রভু, আবার পাপ করেছি, সেই বনেদী রোগ!<br /> আলোর পাশে না রাখলে তুই ঐ যে কালো<br /> আলো যে তার পবিত্রতা ঠিক হারালো!<br /> ডাইকোটমি!!! প্রেমের নামে চলছে শরীর ভোগ!<br /> <br /> ভালোবাসার পরেই নাকি ঘৃণা হবে<br /> আসতে হবে, ঘৃণা তোমায় আসতে হবে!<br /> <br /> এমনি না হোক, অপমানে।<br /> তেমনি না হোক , প্রত্যাখানে!<br /> <br /> প্রভু, আমার বড্ড ভীষণ পাচ্ছে হাসি-<br /> আমি নাকি মিথ্যা করে ভালবাসি!!!!<br /> <br /> অত্যাচারী, চিরকালই ভীরু, কি নয়?<br /> ওদেরকে তাই ভীষন আমার করুণা হয়!<br /> <br /> আলো পেয়েও চশমা পরা অন্ধজনে<br /> প্রেমিকাকেও বেশ্যা করে ফেলবে পথে<br /> ভালবেসে ভুল বুঝবে, রিক্ত মনে<br /> চড়বে দেখো আমার স্বদেশ উলটো রথে!<br /> <br /> খুবলে খেলে কি পেত আর? দেহই তো সই!<br /> আর কিছুকে ধারন করার ক্ষমতা কই?<br /> <br /> মাকে ওরা দেখেনি তো, বোনকেও না!<br /> প্রেম তো ওদের দেয়নি ধরা, তাই খোঁজে না !<br /> <br /> সারা জীবন শরীর খুঁজে শরীরই পায়!<br /> শরীর যখন অধরা, আর কি করে খায়?<br /> <br /> খিদা পেটে , মরছে ঘুরে, ভাদর কামুক!<br /> চিনলি না তো ভালোবাসা, অন্ধ বিমুখ!<br /> <br /> আত্মায় যে কালি রে তোর, কলমা পড়ে<br /> পারিস না রে ধুয়ে দিতে , সাগরজলে<br /> আমি ছিলাম মহাসাগর, তোর নজরে<br /> বুঝলি না , তাই পুড়বি, ঘৃণার ঐ অনলে!<br /> <br /> চেয়েছিলি মুক্তি , নয়? হবে না মন,<br /> দিলাম তোকে আজ অভিশাপ ভালোবাসার<br /> খোদার আরশ বিষ্ঠায় তুই ভরলি যখন!<br /> কোনদিনই ভুলবি না তুই স্ম ৃতি আমার!!!<br /> <br /> মধুর আমার স্মৃ তি টুকু আরও মধুর<br /> সবচে' মধুর বিষের সুধা কন্ঠে দেবে-<br /> গিলবে তোকে; পুড়বে তোকে ; কান্না বিধুর<br /> রাত্রি গুলো বলবে হেসে, " আমায় নেবে?"<br /> <br /> একদিন তোর ঘৃণাও যাবে! ক্ষোভটুকুও।<br /> তখন কেমন রাখবি ধরে রক্ষা ব্যুহ?<br /> যাবে মুছেই ফ্যান্টাসিরাও, লোভটুকুও,<br /> তখন আমায় খুঁজবে শুধু তোমার রূহ ও!!!<br /> </div>

দিলাম অভিশাপ - ভালোবাসার

0 ৫/০২/২০১৩

ভালোবাসাই পূণ্য আমার ভালোবাসাই পাপ আর তো কোন পাপ করিনি,নেই তো কোন 'তাপ প্রভু, আবার পাপ করেছি, সেই বনেদী রোগ! আলোর পাশে না রাখলে তুই ঐ যে কালো আলো যে তার পবিত্রতা ঠিক হারালো! ডাইকোটমি!!! প্রেমের নামে চলছে শরীর ভোগ! ভালোবাসার পরেই নাকি ঘৃণা হবে আসতে হ… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

সুপার হট গার্ল

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="212" src="http://4.bp.blogspot.com/-18L3RiXKJUU/UYD_sn1L8yI/AAAAAAAAAxc/Qhc2wA8TvkI/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(324).jpg" width="320" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="225" src="http://2.bp.blogspot.com/-hvx3IaZ7bZ8/UYD_TOlRYLI/AAAAAAAAAxM/LWDWKFya7yM/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(325).jpg" width="320" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-tS5LfzpiSYE/UYD_hj6-f_I/AAAAAAAAAxU/TbFPtP6MsCk/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(326).jpg" width="191" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://3.bp.blogspot.com/-rRFBjyT_4VI/UYD_2I6HzPI/AAAAAAAAAxk/RRVQCKpb7Xk/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(327).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-5ErWsfghc2s/UYD_2vh9_2I/AAAAAAAAAxs/z4I8A6Ps73Y/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(328).jpg" width="214" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://1.bp.blogspot.com/-TnrwdhgwYCs/UYEAA4c-4-I/AAAAAAAAAyE/PC8N1U7ExK4/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(329).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-Up_k65Wmt3w/UYD_4MU_7MI/AAAAAAAAAx0/TgZivkJyFb8/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(330).jpg" width="240" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="239" src="http://1.bp.blogspot.com/-4U0c6W9mtto/UYEAABQOUoI/AAAAAAAAAx8/SxZa073NKP8/s320/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot++(331).jpg" width="320" /></div> <br /></div>

সুপার হট গার্ল

0 ৫/০১/২০১৩

… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

মা ' কেন স্পেশাল !

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <b>মা ' কেন স্পেশাল !</b><br /> বাসার ছোট ছেলেটি ক্লাশ শেষে রিকশা না পেয়ে তুমুল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যখন আমি বাসায় ফিরে -<br /> <a href="http://4.bp.blogspot.com/-pgFErUkvi94/UYDp4jV-NJI/AAAAAAAAAw8/KUytBkXEFfE/s1600/544104_435969676481470_1695608532_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-pgFErUkvi94/UYDp4jV-NJI/AAAAAAAAAw8/KUytBkXEFfE/s320/544104_435969676481470_1695608532_n.jpg" width="235" /></a><br /> <br /> ভাইয়া জিজ্ঞেস করে " ছাতা নিস নাই ক্যান? "<br /> আপু পরামর্শ দেয় " বৃষ্টি থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই পারতি "<br /> বাবা হুংকার ছাড়ে "ঠান্ডা লাগলে টের পাবি "<br /> কিন্তু মা, ভেজা চুল মুছতে মুছতে বলে"স্টুপিড বৃষ্টিটার কান্ড দেখ ... ছেলেটা বাসায় ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষাও করতে পারলো না !!!</div>

মা ' কেন স্পেশাল !

0 ৫/০১/২০১৩

মা ' কেন স্পেশাল ! বাসার ছোট ছেলেটি ক্লাশ শেষে রিকশা না পেয়ে তুমুল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যখন আমি বাসায় ফিরে - ভাইয়া জিজ্ঞেস করে " ছাতা নিস নাই ক্যান? " আপু পরামর্শ দেয় " বৃষ্টি থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই পারতি " বাবা হুংকার ছাড়ে "ঠান্ডা লাগলে টে… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভিন্ন মায়ের মুখ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <b>আজাদের মা </b><br /> <a href="http://3.bp.blogspot.com/-CPuYx2BUwLo/UYDlX2gUCOI/AAAAAAAAAwc/AaB9L1TfdH4/s1600/156772_501714159849647_1217125187_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="247" src="http://3.bp.blogspot.com/-CPuYx2BUwLo/UYDlX2gUCOI/AAAAAAAAAwc/AaB9L1TfdH4/s320/156772_501714159849647_1217125187_n.jpg" width="320" /></a>১৯৮৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মা। তার ঠিক ১৪ বছর আগে ৭১ এর আগস্টে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পরে আজাদ। এই পুরা ১৪ বছর <br /> আজাদের মা ভাত না খেয়ে কাটিয়েছেন। কারণ শেষ দেখার সময় আজাদ তার কাছে ভাত চেয়ে পায়নি। ১৪ বছর কোন বিছানায় ঘুমাননি, তার ছেলে মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি বলে।<br /> <br /> <b>ইয়াসিন এর মা</b><br /> সারাহ ইগে তার সাত বছর বয়সী পুত্র ইয়াসিনকে হাফেজ বানাতে চেয়েছিলেন। টার্গেট ছিল প্রতি তিনমাসে ৩৫ পাতা করে মুখস্থ করানো। ইয়াসিন এক বছরে মাত্র এক অধ্যায় শেষ করতে সক্ষম হয়। হতাশ হয়ে মাঝে মাঝে লাঠি দিয়ে মারতেন তার মা। বেশী ক্ষেপে গেলে জুতা, ছোট একটা হাতুড়ি দিয়ে মারতেন। মাঝে মাঝে ঘুষিও চলত। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ইয়াসিন এর মৃত্যু হয় আগুনে পুড়ে। শুরুতে দুর্ঘটনা ভাবা হলেও পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে তার মৃত্যুর জন্য তার মা দায়ী। তার মা এককথা স্বীকার করলেও বলেছেন আসলে এজন্য শয়তান দায়ী। তার ভাষ্যমতে শয়তান তাকে প্ররোচনা দিয়েছে সন্তানকে মারার জন্য। সেটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর কখনো নিজ সন্তানকে হত্যার পরামর্শ দেয়না। শেষবার ইব্রাহিমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইসমাইলকে হত্যার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুম্বা এসে গলা পেতে দিয়ে জানটা বাঁচিয়েছিল।<br /> <br /> <b>অতুলের মা</b><br /> সাতব ছরের অতুলকে বাঘে তুলে নিয়ে যায়। মা ক্ষেতে কাজ করছিল। কাস্তে হাতে বাঘের পেছনে ধাওয়া করেন তিনি। তাও আবার যেনতেন বাঘ না, চিতাবাঘ। উসাইন বোল্টও চিতাকে ধাওয়া করে ধরতে পারবে কিনা জানিনা। কিন্তু অতুলের মা পেরেছিল। এক পর্যায়ে ভয়ে অতুলকে মুখ থেকে ফেলে পালায় চিতা।<br /> <br /> <b>আনুশা এর মা</b><br /> কাশ্মীরের বাসিন্দা পনের বছর বয়সী আনুশা। এক মোটরসাইকেল আরোহী ছেলের দিকে পরপর দুইবার তাকানোর কারণে তার বাবা তাকে প্রচণ্ড মারধর করে। তারপর তার মা তার গায়ে এসিড ঢেলে দেয়। দুইদিন এভাবেই ফেলে রাখা হয় আনুশা কে। তারপর যখন হাসপাতালে নেয়া হয় তার শরীরের বেশীরভাগ পুড়ে গেছে। ফলাফল মৃত্যু। তার মা এসিড নিক্ষেপ করাটা ঠিক হয়নি, আর কখনো এমন করবোনা বলে ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সাথে এও বলেছেন, ওর নিয়তি ছিল এভাবে মরা। It was her destiny to die this way.<br /> <br /> <b>আমার মা</b><br /> আমার বড় ভাইয়ের জন্ম ৭১ এর ২৭শে মার্চ। মোটামুটি ভয়ঙ্কর অবস্থা। মা ভাইকে নিয়ে সাইরেন বাজলেই ঘর ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মাটির গর্তে গিয়ে লুকাতো। নানী বারবার সাহায্য করতে চাইলেও মা নাকি ভরসা পেত না। দুইহাতে ভাইকে আঁকড়ে ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটু পরিমাণ কাদাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকতো। তারপর দুই মাসের ভাইকে কোলে নিয়ে সড়কপথ, জলপথ, হাঁটাপথ সব মিলিয়ে ঝিলিয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নেয়া। বড় ভাইয়ের উপর ক্ষেপে গেলে আম্মা বারবার এক রাতের গল্প শুনাত। শীতের এক রাত। গ্রামে যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে বিছানা বালিশ এর ঠিকঠিকানা নেই। মাঝরাতে মা হটাত খেয়াল করলো ভাই বিছানার একপাশ ভিজিয়ে ফেলেছে। তাকে সরিয়ে অন্য পাশে শোয়ানো হল। একটু পরে সেই পাশও ভিজিয়ে ফেললো ভাই। ভাইকে নিজের বুকে শুইয়ে রেখে বাকি রাত শেষ করলো মা। ছোটবেলায় যতবার এই গল্প শুনেছি এর মর্মার্থ মাথায় ঢোকেনি। বরং বড় ভাই বারবার বিছানা ভেজাচ্ছে এটা শুনে হা হা হি হি করে কুল পেতাম না আমরা।<br /> <br /> <b>সাফিলিয়ার মা</b><br /> ২০০৩ সালে সতের বছর বয়সী সাফিলিয়া তার বাসা থেকে হারিয়ে যায়। ছয় মাস পর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় কেন্ট নদীতে। সাত বছর পর তদন্তে সত্য বের হয়ে আসে। ইউকে তে বড় হওয়া সাফিলিয়া পশ্চিমা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে চাইত। পশ্চিমা চালচলন, পোশাকআশাক আর বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েতে রাজী না হবার কারণে সাফিলিয়ার উপর নির্যাতন চলত। অবশেষে কমিউনিটিতে নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য সাফিলিয়ায়াকে তার বাবার সহায়তায় মুখে প্লাস্টিক ব্যাগ চেপে ধরে হত্যা করে তার মা। তারপর লাশ ফেলে দিয়ে আসে নদীতে। সাক্ষী দেয়ার সময় সাফিলিয়ার ছোট বোন বলে, প্লাস্টিক ব্যাগে মুখ চেপে ধরার পর তার মা উর্দুতে তার বাবাকে নির্দেশ দিয়েছিল "এখানেই একে শেষ কর" বলে।<br /> <br /> <b>কাকের মা</b><br /> আমাদের বাসার পিছনের আমগাছে কাক একবার বাসা বেঁধে মহা ঝামেলা শুরু করলো। আম পাড়তে গেলে কা কা কি কি করে চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলত। তবে ওই ওয়ার্নিং পর্যন্তই। আমরা খুব বেশী কাছে না গেলে তেমন একটা ঝামেলা করতো না। আমরা আম টাম পেড়ে নিয়ে যাবার সময় কক্ক কক্ক করে একটা বিরক্তিসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। ভাবখানা যে এইবারের মতো মাফ করে দিলাম। বরং সুবিধাই ছিল এটা একটা। কেউ আম চুরি করতে আসলে আমাদের কাকেরা অ্যালার্ম সিস্টেম হিসেবে কাজ করতো। কা কা শব্দ শুনলেই আমরা আমগাছে দৌড়ে যেতাম চোর ধরার জন্য। কিন্তু একদিন বাচ্চা দেয়ার পর কাকের মায়ের চেহারা পাল্টে গেল। ধারে কাছে ১০ ফুটের মধ্যেই গেলেই সে কি তার রুদ্রমূর্তি। আমি একদিন একটা রাম ঠোকর খেয়ে পালিয়ে আসলাম। বাচ্চা বড় না হওয়া পর্যন্ত সে একাই আমাদের আম গাছের ধারে কাছে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছিলো।<br /> <a href="http://1.bp.blogspot.com/-i_MLMfp6s_s/UYDmbsq7SxI/AAAAAAAAAwo/T6M0fsDOuLw/s1600/486194_560980660589663_1935731663_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="213" src="http://1.bp.blogspot.com/-i_MLMfp6s_s/UYDmbsq7SxI/AAAAAAAAAwo/T6M0fsDOuLw/s320/486194_560980660589663_1935731663_n.jpg" width="320" /></a><br /> <b>পরিশিষ্ট</b><br /> একজন ভালো মানুষ হবার জন্য একটা মানুষের অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়। কারো শিক্ষা, কারো ধর্ম, কারো অন্য ভালো মানুষের সঙ্গ। তবে একজন ভালো মা হবার জন্য বোধকরি মানুষ হয়ে জন্মানোও প্রয়োজন নেই। কাক হয়ে জন্মালেও চলবে। তবে একজন খারাপ মা হবার জন্য কি প্রয়োজন সেটা ভাবি।<br /> <br /> <div> <br /></div> </div>

ভিন্ন মায়ের মুখ

0 ৫/০১/২০১৩

আজাদের মা  ১৯৮৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মা। তার ঠিক ১৪ বছর আগে ৭১ এর আগস্টে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পরে আজাদ। এই পুরা ১৪ বছর আজাদের মা ভাত না খেয়ে কাটিয়েছেন। কারণ শেষ দেখার সময় আজাদ তার কাছে ভাত চেয়ে … আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ফাটাফাটি প্রেম টিপস

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <b>প্রেম টিপস :</b><br /> <a href="http://2.bp.blogspot.com/-qwi_MARPjz4/UYAMlvzFwsI/AAAAAAAAAwM/9oqxjlfhMjE/s1600/jkl%252527lj%252527lj%252527.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" src="http://2.bp.blogspot.com/-qwi_MARPjz4/UYAMlvzFwsI/AAAAAAAAAwM/9oqxjlfhMjE/s1600/jkl%252527lj%252527lj%252527.jpg" /></a>» মেয়েরা ছেলেদের প্রান খোলা হাঁসি খুব পছন্দ করে..<br /> » মেয়েরা অবহেলা সহ্য করতে পারেনা..<br /> » আপনার জ্যাকেট তার গায়ে জড়িয়ে দিন..<br /> » তার সামনে থেকে তার হাতটি ধরে রাস্তা পারা পার করুন..<br /> » আপনার রহস্যপূর্ণ গোপন ব্যাপার গুলো তার সাথে শেয়ার করলে সে খুব খুশি..<br /> <br /> » তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখা..<br /> » তার সাথে সাথে হাঁসা..<br /> » ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বললে মহা খুশি..<br /> » কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া মেয়েদের অনেক পছন্দের..সে যখন যেখানে যেতে চায় তাঁকে নিয়ে যান..শপিং এ নিয়ে গেলে তো কোন কথাই নাই..<br /> » দুটি হাত দিয়ে আলতো ভাবে কমর স্পর্শ করা মেয়েরা পছন্দ করে কিন্তু কখনো বলেনা..<br /> <br /> » মেয়েরা তার বাবা কে বেশি ভালোবাসে..<br /> » মেয়েরা আশাবাদী কম স্বপ্ন বুনে বেশি..<br /> » ন্যাকামি এবং প্রেমের অভিনয় ঘৃণা করে..<br /> » তাঁকে কথা বলার মাঝে কখনো থামাবেননা কারন সে যখন কথা বলতে থাকে তার সমস্ত স্নেহ ভালোবাসা কথার মাঝে আপনার জন্য ঝড়তে থাকে তাঁকে থামানো মাত্রই সে নিজেকে ছোট ভাবতে থাকে এবং কষ্ট পায়..<br /> » চকলেট আইসক্রিম ফুল মেয়েরা খুবি পছন্দ করে..কিনে দিলে তাদের রাগ কমে..<br /> <br /> » বেশি পরিপাটি ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করেনা..তাদের সামান্য আউলা-ঝাউলা পছন্দ..<br /> » পেশী নয় উজ্জ্বল ত্বক মেয়েদের পছন্দ..তাইবলে কিন্তু খুব ফর্সা ছেলেনা,বেশি ফর্সা ছেলেদের মেয়েরা পাত্তা দেয়না..<br /> » যে সব ছেলেরা দেখতে কিছুটা,একেবারেই সামান্য মেয়েলি এবং কিছুটা,একেবারেই সামান্য চাপা ভাঙ্গা সে সব ছেলেদের দিকে মেয়েরা ঘুরে ফিরে তাকায় এবং পছন্দ করে..<br /> » মেয়েরা সুন্দরী মেয়ে দেখলে জেলাস হয় এবং হাহ্ হুহ্ করে অন্য দিক তাকিয়ে ঠোঁট বাকানি দেয়..<br /> » ইদানিং দেখতেছি সুন্দর ছেলে একা পেলে দুই হাত কানে দিয়ে জিব্বা বের করে ইচ্ছা মতো ভেঙ্গায় দেয়..(ছেলেরা বি অ্যালারট..আতকা ভেজ্ঞায় তো তাই প্রথমে ভয় পেয়ে যেতে হয়,গাড়ি রিকশা ক্রস করে ফেলার পর বোঝা যায়-""না দুষ্টামি করছে ভয়ের কিছু নাই"")<br /> <br /> » যখন বলবে সে আপনাকে বেশি ভালোবাসে,তখনি ঝগড়া শুরু করে দিন এবং বলুন তারচেয়ে অনেক বেশি আপনি তাঁকে ভালোবাসেন কারন মেয়েরা এটাই চায়..<br /> » তাকে সুন্দর বলুন তার সাঁজ লক্ষ করুন নতুন কিছু পরলে সেটা নিয়ে প্রসংসা করুন..এ ব্যাপার গুলো মেয়েরা ভালোবাসে..<br /> » আপনার মনের গভীর থেকে যে নামটা আসে তাঁকে সে নামটাতে মাঝে মাঝে ডাকুন..<br /> » সে বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে একটা কিস করে ফেলুন..<br /> » শীতে যখন সে কাঁপছে তার খুব কাছে গিয়ে দাঁড়ান যেন সে আপনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখতে পারে..<br /> <br /> » সে বের হচ্ছে দরজা খোলার জন্য হাত বাড়াবে কিন্তু তার আগেই দরজাটা আপনি খুলে দিন,তার সাথে সাথে হেঁটে তার গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিন সমস্যা না থাকলে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিন..Like a Gentleman.. 8|<br /> » যখনি আপনার মনে হবে সে কোন প্রবলেমে..তাঁকে জিগেস করুন,সে তখন হয়তো বলবেনা কিন্তু আপনার এইম থাকবে আপনাকে জানতেই হবে..<br /> » তার সাথে মিথ্যা বলবেননা..<br /> » তাঁর গালে কিস করুন..(এতে সে বুঝতে পারবে আপনি তাঁকে কিস করতে চাচ্ছেন..টু হার লিপস)..<br /> » তাকে বলুন সে ই আপনার সব কিছু..<br /> <br /> » প্রতিদিন সকালে তাঁকে মেসেজ অথবা কল দিন গুডমর্নিং জানান এবং আপনি যে মিস করসেন সেটা বলুন..<br /> » যখন একসাথে হাটবেন তার একটি হাত আপনার দখলে রাখুন..<br /> » যখন একসাথে মুভি দেখছেন এমন ভাবে বসুন যেন সে তার মাথা আপনার কাধের উপর রাখতে পারে..<br /> » যদি তাঁকে কেউ বিরক্ত করে আপনার যদি গুলি করার পারমিশন থাকলে বিরক্তকারীকে গুলি করে দিবেন..<br /> » তার সমস্যা গুলোতে তার পাশে সবসময় আছেন থাকবেন যেন সে একটা আশ্রয় পায়..এমন নির্ভয় দিন..<br /> <br /> » সে কাঁদলে তার অশ্রুফোঁটা যেন নিচে না পড়ে নিজের হাতে মুছে দিন..<br /> » রাতের বেলা তাঁকে টেক্সট অথবা কল করে উইশ করুন সুইট ড্রিমস..<br /> » মজা করেও কখনো বলবেননা আপনি তাঁকে ছেঁড়ে চলে যাবেন এবং তার সামনে পাগলামি ধরনেরও কিছু করবেননা..<br /> » তাকে সবসময় মনে করিয়ে দিন আপনি তাঁকে কতোটা ভালোবাসেন..<br /> » তাকে ঠকাবেন না..<br /> <br /> » মেয়েরা একবার যাকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলবে তার জন্য দুনিয়া ছেঁড়ে দিবে..<br /> » মেয়েরা রাগ দেখাবে ঝগড়া করবে কথা বলবে অনেক বেশি কিন্তু আপনাকে মানাতে সে ই আগে আসবে ঢং আহ্লাদ করে আপনাকে ভুলাবে,ভালোবাসবে..তখন তাঁকে যেন ফিরিয়ে দেয়া না হয়..নইলে জীবনে অনেক বড় ভুল করে ফেলবেন..<br /> » ঈদ অথবা পুজা এবং বিয়ে শাদির মতো উপলক্ষে কমপক্ষে আট থেকে দশ দিন মার্কেটে না গেলে মেয়েদের শপিং কমপ্লিট হয়না..সো ছেলেরা এ কিছু দিন তাদের মার্কেট এ নিয়ে গিয়ে একটু কষ্ট করবেন প্লিজ..<br /> » ছেলেরা মেয়েদের হাতের ভ্যানিটি ব্যাগ ধরা মাত্রই রেগে যাবে..(ছেলেরা সাবধান তাদের ভ্যানিটি ব্যাগ ধরা তো দুরের কথা ছুবেনই না):<br /> » আপনার পরিচিত যে সব মেয়েদের সে সহ্য করতে পারেনা ডাইনি ডাইনি বলে ডাকে,জেলাস আর কি.. সেসব মেয়েদের সামনে তার হাত ধরুন ডেসা-ডেশী করে বসুন পারলে গালে কিস করুন..দেখেন কি খুশিটাই না হয়..</div>

ফাটাফাটি প্রেম টিপস

0 ৫/০১/২০১৩

প্রেম টিপস : » মেয়েরা ছেলেদের প্রান খোলা হাঁসি খুব পছন্দ করে.. » মেয়েরা অবহেলা সহ্য করতে পারেনা.. » আপনার জ্যাকেট তার গায়ে জড়িয়ে দিন.. » তার সামনে থেকে তার হাতটি ধরে রাস্তা পারা পার করুন.. » আপনার রহস্যপূর্ণ গোপন ব্যাপার গুলো তার সাথে শেয়ার কর… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

দেশি হট লেডি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://1.bp.blogspot.com/-Qxfc7W3Mkqw/UYAI8EJ3b3I/AAAAAAAAAvQ/mix2LtqpcbI/s320/44331_375701339194228_8803985_n.jpg" width="269" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-tquVxNvhLTw/UYAI7aOryaI/AAAAAAAAAvE/KO3TVDHrCNI/s320/45536_371033579661004_812501281_n.jpg" width="213" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-X0DzZJd51HU/UYAI7cZ8BkI/AAAAAAAAAvA/7eoLOtt_6PI/s320/46838_369736813124014_73681695_n.jpg" width="257" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://3.bp.blogspot.com/-ksbNLPloRwA/UYAI9cRei5I/AAAAAAAAAvY/ueoAwXTM00g/s320/64325_540301702659778_501591991_n.jpg" width="245" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-pQhvZG4HEi4/UYAI-JIiRMI/AAAAAAAAAvg/qBiebB8AtYs/s320/6602_540378715985410_888471642_n.jpg" width="200" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="240" src="http://3.bp.blogspot.com/-vCLAKn7112Y/UYAI_g8zzcI/AAAAAAAAAvs/6DuyvUfVxa8/s320/7257_540390342650914_1579085965_n.jpg" width="320" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" height="320" src="http://4.bp.blogspot.com/-AUFOrfUFRFo/UYAJCoMAPhI/AAAAAAAAAv8/H7tYvYumxLk/s320/8976_539982256025056_1874606542_n.jpg" width="220" /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <img border="0" src="http://1.bp.blogspot.com/-DIMubW5JHc4/UYAJAz1ax2I/AAAAAAAAAv0/m5puKSEJRrE/s1600/9581_540391762650772_1326004688_n.jpg" /></div> <br /></div>

দেশি হট লেডি

0 ৫/০১/২০১৩

… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »

ভালোবাসা এবং যৌনতা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <a href="http://3.bp.blogspot.com/-jd1xcI5TIC0/UYAHRZj6UBI/AAAAAAAAAu0/7UYnPQ4q3Uw/s1600/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot+(221).jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="400" src="http://3.bp.blogspot.com/-jd1xcI5TIC0/UYAHRZj6UBI/AAAAAAAAAu0/7UYnPQ4q3Uw/s400/desi+hot+girls,bhalobasharjogot.blogspot+(221).jpg" width="355" /></a>দাম্পত্য জীবনে প্রেম-দরকার তৃপ্তিময় যৌনতা<br /> <br /> প্রেম এমন এক শব্দ এটা বলতে যতটা সহজ মনে হয় কাজের বেলা কিন্তু ঠিক ততটা কঠিন। সাধারণত কম বয়সে নারী-পুরুষ দুজনের মাঝেই আসে প্রেম। প্রেম কখনো শরীরভিত্তিক, কখনো আবার মন-মানসিক ও শারীরিক অবদান দুটোই সমান্তরালভাবে থাকে। আমাদের দেশে প্রেম প্রথম আসে মানসিক দিক থেকে, তারপর সেটা পরিপূর্ণতা পায় শারীরিক অবস্থায়। কিন্তু পাশ্চাত্যের প্রেমে শারীরিক প্রাধান্য থাকে মুখ্য। সেখানে শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই শুরু হয় প্রেম-প্রীতি। অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েরা তাদের শারীরিক চাহিদা পরিপূর্ণ করতে সচেষ্ট হয়।<br /> এটা তাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট। তাদের কথায়, শারীরিক আবেদন যদি ঠিক থাকে তবে মানসিক আবেদন সেখানে পূর্ণতা লাভ করবে। তাই পাশ্চাত্য প্রেমে বিয়ে অত্যন্ত গৌণ। পাশ্চাত্যে প্রায় ৯৫% প্রেমে বিয়ে হয় না। কিন্তু তারপরও তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন যাপন করে থাকে। একই ছাদের নিচে তারা বসবাস করে। এই লিভ টুগেদারের ফলে অবৈধ সন্তান হচ্ছে। সন্তানের পরিচয় হচ্ছে সেই বয়ফ্রেন্ডের পরিচয়ে। তবে আমাদের দেশে এমন অবস্থা নেই। আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তা সমর্থন করে না।<br /> <br /> প্রেম যে রকমেরই হোক না কেন তাতে কমবেশি শারীরিক প্রাধান্য থাকেই। কারণ শরীরকে বাদ দিয়ে তো আর মানুষ নয়। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রেম না থাকলে সুখময় সেক্স থাকবে না। আবার সেক্স না থাকলে স্বর্গীয় প্রেম থাকবে না। তাই যে কোনো সংসার জীবনে প্রেমটাকে বজায় রাখতে হলে প্রয়োজন চমৎকার যৌনতা। যৌনতা নারী-পুরুষকে দূর থেকে কাছের করে ফেলে। যে দম্পতিদের মাঝে চমৎকার যৌনমিলন নেই তাদের মাঝে বনিবনাও খুব একটা লক্ষ করা যায় না। তাই প্রতিটি নারী-পুরুষকেই তাদের প্রেম-প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য যৌনতা বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রপ্ত করতে হবে। জানতে হবে যৌনতার গোপন রহস্য, মধুর রহস্য। কয়েকটি যৌন সমস্যা দাম্পত্য জীবনের প্রেমকে পানসে করে দিতে পারে, আর সেগুলো হলো-<br /> অকালে বীর্যস্খলন<br /> যন্ত্রণাদায়ক যৌনতা<br /> যৌনমিলনে ইচ্ছার অভাব<br /> মিলন-ভীতি<br /> অসুস্থতা ইত্যাদি।<br /> অকাল বীর্যপাত যৌনজীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। প্রায় দেখা যায় স্বামীর অকাল বীর্যপাতের ফলে স্ত্রী স্বামীর প্রতি প্রেম-প্রীতি হারিয়ে ফেলেন, সেখানে তৈরি হয় বিরক্তিবোধ ও অস্বস্তি। স্বামী যদি তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে সুখী করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তিনি বা তার স্ত্রী কেউ যৌনসুখে সুখী হতে পারবে না। এতে করে দুজনার মধ্যে বিস্তার লাভ করবে হতাশা। আর হতাশা দুজনার মনে সৃষ্টি করবে জ্বালা-যন্ত্রণা, বিষণ্নতা।<br /> অনেক পুরুষকেই দেখা যায় যৌন উত্তেজনায় পাগল হয়ে ওঠে। মনে হয় যেন কী থেকে কী করে ফেলবেন কিন্তু করতে তো কিছুই পারেন না। পরে অনুশোচনায় ও লজ্জায় ভেঙে পড়েন। দেখা যায় স্ত্রীর যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায়। এতে করে যৌনসুখ শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই এক্ষেত্রে স্বামীকে হতে হবে সজাগ, সতর্ক ও অভিজ্ঞ।<br /> স্বামীকে মিলনের সময় ব্যস্ত হওয়া চলবে না, হতে হবে শান্ত, ধৈর্যশীল, ধীরে ধীরে Step by Step  যৌনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। এ সময় প্রচণ্ড উত্তেজিত না হয়ে বরং প্রিয়তমা স্ত্রীকে উত্তেজিত করতে হবে, স্ত্রীর উত্তেজনা জাগানোর কাজে নিজেকে নিয়োগ করতে হবে। স্ত্রীকে আদর, সোহাগ দিয়ে ভরিয়ে দিতে হবে, চুমো দিয়ে তাকে জাগাতে হবে। যখন মিলনের সময় আসবে তখন ধীরে ধীরে গোপনাঙ্গ স্ত্রীর গোপনাঙ্গে প্রবেশ ঘটাতে হবে, মিলন শুরু করতে হবে ধীরগতিতে। যখনই বীর্যপাত হবে বলে মনে হবে তখনই কিছু সময়ের জন্য লিঙ্গ চালানো বন্ধ করতে হবে। এ অবস্থায় স্ত্রীকে চুমো দেয়া যেতে পারে, স্ত্রীকে সোহাগ করা যেতে পারে। এভাবে কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর আবার লিঙ্গ চালনা শুরু করতে হবে। আবার শেষ মুহূর্তের আগে থেমে যেতে হবে, আবার শুরু করতে হবে-আর এটাকেই বলে ‘স্টপ স্টার্ট টেকনিক’। এ টে<br /> প্র্যাকটিস করতে থাকলে তা একসময় সুফল বয়ে নিয়ে আসবে এবং ইচ্ছামতো তখন যৌনসঙ্গমের সময়কাল কমবেশি করা যাবে। এতে করে স্বামীও হবে যৌনসুখে সুখী, স্ত্রীও পাবে সেক্সের মন মাতানো স্বাদ। আর এভাবে দুজনার মাঝে প্রেম তৈরি হবে, বজায় থাকবে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে।<br /> যৌনতায় অকাল বীর্যপাত ঠেকাতে স্বামী আরও কিছু পদ্ধতি চর্চা করতে পারেন, যেমন-চূড়ান্ত মুহূর্তে উপনীত হওয়ার সময় স্ত্রীকে বলবেন যে সে যেন তার আঙুল দিয়ে আপনার পুরুষাঙ্গকে চেপে ধরে। এতে করেও সফলতা আসে। তবে তা একদিনেই হবে না। এ পদ্ধতি ভালোভাবে জানার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করলে আরও ভালো হবে।<br /> যাদের সহজেই বীর্যপাত হয়ে যায় তারা মিলনের সময় বিভিন্ন আসনে মিলন করতে পারেন। আসন পরিবর্তনও যৌনতার উৎকর্ষতা সৃষ্টি করে থাকে। তবে যাই হোক অন্তত একবার অভিজ্ঞ ডাক্তারের সুপরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডাক্তারের পরামর্শ দাম্পত্য জীবনের প্রেমকে মজবুত হতে সহায়তা করতে পারে।<br /> যৌনমিলনে নারীর অসহ্য ব্যথা<br /> যৌনমিলনে যেমন মন মাতানো সুখ আছে তেমনি কারও বেলায় তা আবার কষ্টের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে। যেমন নারীদের কথাই ধরা যাক। কিছু কিছু নারী আছে যারা যৌনমিলনকালে ব্যথায় কুঁকড়ে ওঠেন। তখন দেহমিলন তাদের কাছে হয়ে ওঠে যাতনার। যৌনমিলনের সময় পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোর পর কিছু কিছু নারী তাদের যৌনাঙ্গে মিলনকালীন মাঝারি থেকে প্রচণ্ড মাত্রার ব্যথা অনুভব করে থাকে। সেক্স করতে সক্ষম এমন বয়সের যে কোনো নারীর বেলায় এ ঘটনাটি বা সমস্যাটি বারবার চক্রের মতো হতে পারে। নারীর এ সমস্যাটি শারীরিক বা মানসিক কারণে বা উভয় কারণে হতে পারে। সঙ্গমকালীন নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথার ঝুঁকি যাদের বেশি তারা হলেন-<br /> সামপ্রতিক শারীরিক সমস্যাগ্রস্ত<br /> মানসিক অসুস্থ<br /> মনোশারীরিক চাপ<br /> মদ্যপান<br /> দীর্ঘমেয়াদি অবসন্নতা বা ক্লান্তি ইত্যাদি। এ সমস্যায় দেহের যে অংশ জড়িত তা হলো-<br /> যোনির মাংসপেশি<br /> সতীচ্ছদ বা হাইমেন<br /> জরায়ু বা ইউটেরাস<br /> মস্তিষ্ক<br /> মিলনকালীন যৌনাঙ্গে<br /> ব্যথার মানসিক কারণ<br /> যৌনপুলকের ঘাটতি<br /> যৌনসুখ ও শিহরণের অভাব<br /> যৌনতা বা সেক্স সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব<br /> যৌনাঙ্গে আঘাত পাওয়ার প্রতি ভয় বা ফোবিয়া<br /> গর্ভাবস্থায় যৌনমিলন<br /> গর্ভবতী হওয়ার ভয়<br /> শৈশবে যৌন অত্যাচারমূলক অভিজ্ঞতা বা সেক্সুয়াল অ্যাবিউস<br /> সাইকোলজিক্যাল বা মেন্টালি আঘাত<br /> সেক্স সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা<br /> যোনি পিচ্ছিল না হওয়া বা যোনির শুষ্কতা অর্থাৎ মানসিকভাবে যৌনক্রিয়ায় পর্যাপ্ত উত্তেজনার অভাব বা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে না পারা<br /> সঙ্গী বা সাথীর মাঝে কোনো ব্যাপারে বনিবনা বা ভুল বোঝাবুঝি অথবা প্রেম-ভালোবাসার অভাবেও এ সমস্যার উদ্ভব হতে পারে<br /> মিলনকালীন যৌনাঙ্গে ব্যথার দৈহিক কারণ<br /> জরায়ুতে টিউমার যেমন-ফাইব্রয়েড<br /> নারীর ইউরেথ্রাতে সংক্রমণ<br /> যোনির শুষ্কতা<br /> যোনিতে ক্ষত/ইনফেকশন যেমন-হারপিস<br /> যোনির সারভিক্স, ডিম্বনালি বা ফেলোপিয়ান টিউব অথবা গর্ভাশয়ে ইনফেকশন<br /> শ্রোণিচক্রের বা পেলভিসের প্রদাহজনিত ব্যাধি<br /> অপারেশন-পরবর্তী কোনো জটিলতায় যোনি দেয়ালে চাপ অনুভূতির কারণে<br /> এন্ডোমেট্রিওসিস<br /> সন্তান প্রসব-পরবর্তী যোনির অপারেশনের জটিলতা<br /> হঠাৎ করে সতীচ্ছদ ছিন্ন হওয়া<br /> নারীর যোনির পর্দা বা সতীচ্ছদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মোটা হওয়া<br /> মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তির পরে যোনি দেয়াল শুষ্ক ও পাতলা হয়ে যাওয়া<br /> জন্মনিরোধক ফোম, কনডম বা ডায়াফ্রাম অথবা জেলির কারণে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া<br /> মিলনকালীন নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথার লক্ষণ ও উপসর্গ<br /> পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করাতে গেলে যোনিতে ব্যথা সৃষ্টি হয়<br /> সঙ্গমকালীন যোনি অঞ্চলে দারুণ ব্যথা পাওয়া<br /> যৌনতার বা সেক্সের বিভিন্ন ভঙ্গিতেও যোনি এরিয়ার ব্যথা-বেদনা হতে থাকা<br /> যৌনমিলন বা সেক্স করার সময় সামান্য নড়াচড়াতেই ব্যথা তীব্র হয়ে যাওয়া<br /> মিলনের সময় নারী যোনিতে Discomfort অনুভব করতে থাকে<br /> যৌনমিলন নারীর কাছে ঘৃণা বা অতৃপ্তি অথবা যাতনার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।<br /> নারী বিরক্ত হয়ে ওঠে<br /> যৌনমিলনে ভীতসন্ত্রস্ত থাকে, ফলে তার মাঝে তৈরি হয় Sen phobia<br /> নারী স্বামীর সান্নিধ্য থেকে পালিয়ে বেড়ায় বা দূরে দূরে থাকে<br /> জটিলতা<br /> এ সমস্যায় নারীর আত্মসম্মানবোধ হ্রাস পায়<br /> যৌন অনুভূতিবোধ বিকৃত হয়ে যায়<br /> ব্যক্তিত্বজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়<br /> মানসিক সমস্যা দেখা দেয় (কোনো কোনো ক্ষেত্রে)<br /> এ রোগে করণীয়<br /> অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে রোগীর পুরো মেডিকেল ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ইনভেস্টিগেশন করাতে হবে। উপসর্গগুলোর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ করা দরকার। প্যাপ স্মিয়ারসহ যোনির যে কোনো অ্যাবনরমাল ক্ষরণের কালচার টেস্ট করাতে হবে। আসল রোগ, আঘাত বা ইনজুরি অথবা যোনির গঠনগত ত্রুটি থাকলে সেগুলোর উপযুক্ত ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে। মানসিক কারণ দায়ী থাকলে Sen Education ও মনোবিশেষজ্ঞের কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপির দরকার হবে। সেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা ধারণা অর্জন করতে হবে এবং যৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পরিহার করে ইতিবাচক ধারণা ও মনোভাব রোগীকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।<br /> নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথার চিকিৎসা<br /> যোনির শুষ্কতা বেশি হলে পিচ্ছিলকারক K Y লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে<br /> ইনফেকশন থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে<br /> উষ্ণ গরম পানিতে প্রতিদিন ৩-৪ বার যোনি ধুতে হবে<br /> যৌনাঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে<br /> দুশ্চিন্তা বা টেনশনকে যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার অভ্যাস গড়তে হবে। প্রয়োজনে সেক্সোলজিস্ট বা সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।<br /> যৌনবিকৃতি ও আচরণ<br /> যৌনতার কোন আচরণটি স্বাভাবিক আর কোন আচরণটি অস্বাভাবিক তা নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মতান্তর। যৌনতার আচরণ একেক দেশে একেক রকম। এক দেশে যা স্বাভাবিক অন্য দেশে তা অস্বাভাবিক। আবার এক দেশে যা অস্বাভাবিক অন্য দেশে তা স্বাভাবিক। যে যৌনতা স্বাভাবিকতার শেষ সীমানা অতিক্রম করে তা বিকৃত যৌনতা। বিকৃত যৌনতার কারণ-<br /> স্বাভাবিক যৌনসঙ্গীর অভাব<br /> প্রয়োজনীয় যৌনশিক্ষার অভাব<br /> বিকৃত ও অস্বাভাবিক পারিবারিক পরিবেশ<br /> স্বাভাবিক ও যৌন আচরণের দীর্ঘমেয়াদি অভাব, বঞ্চনা<br /> বিকৃত ও স্বাভাবিক যৌন আচরণের পার্থক্যকরণে অসামর্থ্যতা<br /> বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভীতিকর অভিজ্ঞতা<br /> শৈশবকালীন যৌন আচরণের প্রত্যাবৃত্তি<br /> শৈশবের অনাকাঙ্ক্ষিত ও তিক্ত যৌন অভিজ্ঞতা।<br /> এবার যৌন বিকৃতিমূলক<br /> কিছু যৌন আচরণ উল্লেখ করা হলো<br /> পিপিংটম<br /> ট্রান্সসেক্সুয়ালিটি<br /> ট্রান্সভেসটিজম<br /> শ্লীলতাহানি<br /> এক্সবিশনিজম<br /> হোমোসেক্সুয়ালিটি/সমকামিতা<br /> ফেটিসিজম<br /> পায়ুমেহন<br /> বহুগামিতা<br /> নিম্ফোম্যানিয়া<br /> হস্তমৈথুন/মাস্টারবেশন<br /> জেরেন্টোফিলিয়া ইত্যাদি<br /> পিপিংটম<br /> যে মানুষ অন্যের গোপন ব্যাপার বা যৌনক্রিয়া দেখার জন্য জানালা বা দরজার ফুটো দিয়ে উঁকি মেরে যৌনতা বা যৌনক্রিয়া বা নগ্ন শরীর দেখে বেড়ায় সেটা বোঝাতে পিপিংটম শব্দ ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ আবার জানালা বা ছাদে দাঁড়িয়ে দুরবিন দিয়ে অন্যের গোপন কাজগুলো অবলোকন করে মজা পায় তাও পিপিংটমের পর্যায়ে পড়ে। এ ধরনের বিকৃত যৌনচারীরা অন্যের যৌনাঙ্গ বা অন্যের যৌনমিলন/যৌনক্রিয়া দেখার জন্য ঘরের যে কোনো ফুটোয় চোখ রেখে আড়াল থেকে এ ধরনের দৃশ্য অবলোকন করে সেক্স উত্তেজনা অনুভব করে। কেউ কেউ এ সময় এ দৃশ্য দেখার পাশাপাশি হস্তমৈথুনও করে থাকে। এ ধরনের মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তি এ ধরনের অপকর্মে মজা পায়, তৃপ্তি পায়, উত্তেজিত হয়।<br /> ট্রান্সসেক্সুয়ালিটি<br /> এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যক্তির বিপরীত লিঙ্গে রূপান্তরিত হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্মে। কোনো কোনো লোককে দেখা যায় যে এ ধরনের বাসনায় সে বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির মতো যৌন আচরণ করে বেড়ায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রয়োজনে আধুনিকতম হরমোন থেরাপি বা সার্জারি করেও বিপরীত লিঙ্গে রূপান্তরিত হয়ে যায়।<br /> ট্রান্সভেসটিজম<br /> বিপরীত লিঙ্গের পোশাক-পরিচ্ছদ বা অলংকার পরিধান করতে পছন্দ করে আবার বিপরীত লিঙ্গের মতো আচরণ ও পেশায় তাদের মতো হতে চেষ্টা করে। আধুনিক যুগের অনেক ফ্যাশনও এই ট্রান্সভেসটিজমের আওতায় পড়ে যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের বেলায়।<br /> এক্সিবিশনিজম<br /> এক্সিবিশনিজমের অর্থ দাঁড়ায় প্রদর্শন করা। এক্সিবিশনিজম বলতে বোঝায় যখন কোনো পুরুষ বা নারী অনেক লোকের সামনে তার যৌনাঙ্গ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত বা প্রদর্শন করে যৌন আনন্দ লাভ করে বা অন্যের যৌনাকর্ষণের চেষ্টা করে। এ ধরনের যৌন বিকৃতি অনেক সময় অনেক অঘটন ঘটাতে পারে। তাই এক্ষেত্রে পরিবারকে সজাগ হতে হবে।<br /> হোমোসেক্সুয়ালিটি/লেসবিয়ানিজম<br /> এটি হলো আরেক ধরনের যৌন বিকৃতি। এ ধরনের সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির সংখ্যা পৃথিবীতে অনেক! এ ধরনের যৌন বিকৃতিতে দুজন পুরুষ বা দুজন ছেলে অথবা দুজন মহিলা বা মেয়ের মধ্যে ঘটে থাকে যৌন ক্রিয়ামূলক আচরণ। এ ধরনের আচরণে দুজন ব্যক্তিরই সমান সম্মতি থাকে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজনের নাও থাকতে পারে। যারা এ ধরনের বিকৃত যৌন আচরণে অভ্যস্ত বা আসক্ত হয়ে যায় তাদের আর বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ভালো লাগে না বা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সেক্স জাগে না এবং বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে বিয়ে করতেও রাজি হয় না। এ ধরনের সমকামী নারী বা পুরুষ তাদের অন্য ধরনের সেক্স ওয়ার্ল্ড তৈরি করে নেয় এবং সেটাতে তারা প্রায় সময়ই বিচরণ করে বেড়ায়।<br /> পায়ুমেহন<br /> এতে দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে পায়ুপথে যৌনমিলন হয়। বালকদের এ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ উদ্দেশ্যে বালকদের পাচারও করা হয়ে থাকে। এ ধরনের যৌনাচার সাধারণত কারাবন্দি, মিলিটারি ব্যারাক, হোস্টেলে হয়ে থাকে। হিজড়াদের সাথেও এ ধরনেরপায়ু পথে যৌন কাজ করা হয়ে থাকে। যারা অনেক দিন যাবৎ নিজের পরিবার বা স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে তাদের মাঝেও কোনো কোনো সময় এ ধরনের যৌন বিকৃতি হতে দেখা যায়। এ ধরনের যৌন আচরণ মোটেও ঠিক নয়। তাই এ ধরনের আচরণে অভ্যস্ত হওয়া উচিত নয়।<br /> যৌন বিকৃতি বা অস্বাভাবিকতা যে রকমভাবেই দেখা যাক না কেন তা একটি সুস্থ সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে পরিবার থেকে শুরু করে সবারই সজাগ হওয়া প্রয়োজন এবং প্রয়োজনে একজন মনোবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।<br /> নেট থেকে<br /> </div>

ভালোবাসা এবং যৌনতা

0 ৫/০১/২০১৩

দাম্পত্য জীবনে প্রেম-দরকার তৃপ্তিময় যৌনতা প্রেম এমন এক শব্দ এটা বলতে যতটা সহজ মনে হয় কাজের বেলা কিন্তু ঠিক ততটা কঠিন। সাধারণত কম বয়সে নারী-পুরুষ দুজনের মাঝেই আসে প্রেম। প্রেম কখনো শরীরভিত্তিক, কখনো আবার মন-মানসিক ও শারীরিক অবদান দুটোই সমান্তরালভা… আরও পড়ুন »

আরও পড়ুন »