GuidePedia

0
এক মা ৮ দিনের সন্তানকে ডাস্টবিনে, মেয়েকে বিক্রি ৩০ হাজার টাকায়
একমা আটদিনের সন্তানকে ডাস্টবিনে ফেলে দিলেন৷আর এক বাবা দু’বছরের মেয়েকে বেচে দিলেন৷মাত্র ৩০হাজার টাকায়৷স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে৷নাড়ির টান এতসস্তা? প্রথম ঘটনা কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে৷দ্বিতীয় টি দক্ষিণ শহরতলির মহেশতলায়৷যে মেয়ে বিক্রি হল, তার ক্রেতা রয়েছে কাঁথিতে৷মোবাইল টাওয়ার ধরে সেটাই পুলিশের অনুমান৷ আরও অনুমান, দু’বছরেরওইমেয়েকে ফের বিক্রির চক্রান্ত হচ্ছিল৷দু’বছরের মেয়ে কতবার বিক্রি হবে!
আটদিনের ছেলেইবা মায়ের ওম ছেড়ে কতক্ষণ থাকতে পারেডাস্টবিনে! তার অবস্থা সঙ্কটজনক৷ছেলেটি ছিল রুগ্ণ৷বাঁচার আশা ছিল না৷ তাই নাকি শিশুটিকে গাইনি বিভাগের ডাস্টবিনে ফেলেদিয়েছেন মা আঞ্জুমা বিবি৷পুলিশের কাছে সে-রকমই তিনি জানিয়েছেন৷হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধার করে নিওনেটালইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রেখেছেন৷গত ৫ জুলাই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আঞ্জুমা বিবির সন্তান প্রসব হয়৷ ওজন মাত্র ৯০০ গ্রাম৷ শিশুটিকে পাঁচতলার নার্সারিতে রাখা হয়৷ গত দু’দিনে অবস্থার একটু উন্নতি হয়৷ বুকের দুধ খাওয়ার জন্য শিশুটিকে মার কাছে দেওয়া হচ্ছিল৷ শনিবারও দুধ খাওয়ার জন্য মায়ের হাতে বাচ্চাটিকে তুলে দেন এক নার্স৷ বেলা ১টা নাগাদ নার্স এসে দেখেন, আঞ্জুমা নেই৷ নেই শিশুটিও৷ ওয়ার্ডমাস্টারকে খবর দেওয়া হয়৷ নার্স সিঁড়ি দিয়ে নীচে দোতলায় গাইনি বিভাগে নামার সময় দেখেন, আঞ্জুমা উপরে উঠছেন৷ সঙ্গে বাচ্চা নেই৷ তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘বাচ্চা কোথায়?’ আঞ্জুমা পাল্টা বলেন, ‘বাচ্চা তো আপনার হাতে দিয়ে দিয়েছি৷’ শুনে অবাক হয়ে যান নার্স৷
ইতিমধ্যে বেনিয়াপুকুর থানাতেও খবর দেওয়া হয়৷ ততক্ষণে হাসপাতালে শিশু চুরি হয়েছে বলে হইচই শুরু হয়৷ আঞ্জুমার স্বামীকেও খবর পাঠানো হয়৷ তিনি এসে পড়েন৷ আসে মহিলা পুলিশও৷ এর পর গাইনি ওয়ার্ডে পুলিশ, নার্স মিলে আঞ্জুমাকে জেরা শুরু করে৷ স্বামীর উপস্থিতিতেই তাঁকে বলা হয়, ‘বাচ্চা কোথায় রেখেছেন, বলুন৷ না হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখা হবে৷ তাতে ধরা পড়লে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’ জেরার মুখে আঞ্জুমা জানান, তিনি বাচ্চা নিয়ে একবার গাইনি রুমের বাথরুমে গিয়েছিলেন৷
তার পর তাঁর আর কিছু মনে নেই৷ তাঁর কথা শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়৷ তখন ওই বাথরুমেরই ডাস্টবিন নাড়াচড়া করা হয়৷ দেখা যায়, আবর্জনার নীচে কাপড়ে মোড়া বাচ্চাটি পড়ে আছে৷ তার হাতে যে ট্যাগটি লাগানো ছিল, সেটি পাওয়া যায় বাথরুমেরই কার্নিশে৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) সত্যজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন৷
মহেশতলার চিত্রিগঞ্জের বাসিন্দা সুজয় দাস পেশায় রাজমিস্ত্রি৷ ঘরে অভাব৷ ঠিকমতো খাবার জোটে না৷ তাই দু’বছরের মেয়ে মেঘাকে শুক্রবার ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তিনি৷ ক্রেতা নুঙ্গির গাড়ি ব্যবসায়ী বাপি অধিকারী৷ মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুপুরে বেরিয়ে যান সুজয়৷ রাতে যখন বাড়ি ফেরেন, সঙ্গে তখন মেয়ে নেই৷ সুজয়ের স্ত্রী ঝিলিক জিজ্ঞেস করেন, ‘মেয়ে কোথায়?’ সুজয় প্রথমে স্বীকার করেননি৷ ঝিলিক চিত্‍কার শুরু করলে তিনি জানান, মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন৷ চিত্‍কার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন৷ দু’জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷

সুত্র/ hello-today

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top