GuidePedia

0
রোযার মাধ্যমে ২১ প্রকার রোগের চিকিৎসা
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বীকৃতির বহু বহু আগে রোযা চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ইসলাম যে মহা বিজ্ঞানী মুহাম্মদ (স.) এর নিকটে এসেছে, এটাই তার প্রমাণ। এ পর্যন্ত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশ্লে­ষণে দেখা গেছে, রোযার মাধ্যমে ২১ প্রকার রোগের চিকিৎসা লাভ করা যায়। সীরাতে হালবীয়াতে বর্ণিত, মিসর সম্রাট মুকাউকাস মুসলমানদের চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসক পাঠান। নবী (সা.) এই বলে চিকিৎসককে ফেরত পাঠান, (কেউ কেউ বলেন, এটা কোন সাহাবী বা তাবেঈর বক্তব্য) ‘আমরা এমন এক জাতি, যারা ক্ষুধা না লাগলে খাই না, আর খেলেও ক্ষুধা বাকী থাকতে খাওয়া ত্যাগ করি। তাই আমাদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই।’ এ বর্ণনা থেকে দেখা যায়, বাঁচার জন্য যেমন খাবার দরকার, আবার বেশী খাদ্য রোগের ভান্ডার।রোযা রাখলে এবং খাদ্য গ্রহণ না করলে শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ চলে। সুতরাং চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোযার উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো-

১. গ্লাইকোজেন, শরীরের ভেতরে পুঞ্জীভূত স্নেহ এবং ধমনীতে মওজুদ চর্বিকে কাজে লাগায়।
২. শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩. জৈব বিষ (ঞড়ীরহ) ধ্বংস হয়।
৪. রোযার ফলে হম ও পরিপাক যন্ত্রগুলো বিশ্রাম লাভ করে পতিত জমির মতো নতুন শক্তি অর্জন করে।
৫. চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬. বাত রোগের চিকিৎসা হয়।
৭. রক্তে কোলেষ্টেরল কমায়।
৮. রক্ত স্বল্পতা ও রক্ত শূন্যতা দূর হয়।
৯. কঠোর স্নায়ু ব্যথার উপশম হয়।
১০. রোযা সকল ওহভবপঃরড়হ এবং টিউমারের জন্য প্রতিরোধক।
১১. হায়াত বাড়ে ও বার্ধক্য দেরীতে আসে।

১২. ওজন ও মেদ-ভুঁড়ি কমে এবং এযইমার্স ( রোগ থেকে বাঁচা যায়ঃ এক সপ্তাহ রোযা রাখলে ২/১ কেজি ওজন কমে। রোযার মাধ্যমে শরীরের মেদ-ভুঁড়ি কমানোর বিষয়টি শুধু ইসলামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউরোপেও স্বীকৃত সত্য। যেখানে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য রোগীকে উপবাস রাখা হয়। বিশ্বব্যাপী এটা জানা কথা যে, বছরে শরীরে ৫০ হাজার কিলো ক্যালরী জমা হয় যা স্নেহ বা চর্বি আকারে বিদ্যমান থাকে।

১৩. ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে ঃ রোযা ডায়াবেটিস রোগের জন্য বিরাট রহমত। কম খাদ্য গ্রহণ এবং দীর্ঘ সময় খাদ্য গ্রহণ না করায় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে আসে। ফলে, রোগ নিয়ন্ত্রিত থাকে। ওষুধ সেবনকারী রোগীদের অনেকেই ওষুধ সেবনের দরকার হয় না। গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে রোযা রেখে হাঁটলে ডায়াবেটিস আরো নিয়ন্ত্রিত থাকে। আমাদের দেহে যতটা গ্লুকোজ তৈরি হয় তার সবটাই প্রতিদিন খরচ হয় না। কলিজা হতে কিছু গ্লুকোজ রক্তে প্রবাহিত হয়ে দেহের চালিকা শক্তিকে কর্মক্ষম রাখে। চর্বি জমে মেদ বাড়লে মানুষ মোটা হয়ে যায়। এ কারণে এযেইমার্স রোগ হয়। এযেইমার্স রোগে মানুষ জ্ঞান-বুদ্ধি ও স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে। কোরআন আমাদেরকে এযেইমার্স রোগের পরিচয় জানিয়ে দিয়ে বলেছে- “তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ পৌঁছে যায় জরাগ্রস্ত অকর্মন্য বয়সে, ফলে যা কিছু তারা জানতো সে জানা বিষয় সম্পর্ক তাদের আর জ্ঞান থাকে না।” (সূরা নহল-৭০)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top