GuidePedia

0

ঈদের পোশাক বলে কথা! কিছুতেই খুঁত রাখতে রাজি নয় ফ্যাশন হাউসগুলো। সাধ্যমতো সেরা পোশাকটি শোরুমে তুলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালোটি তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য




কারুপল্লী
হস্ত ও কুটির শিল্পের প্রতিষ্ঠান কারুপল্লী এনেছে শিশুদের ঈদের পোশাক। এসব পোশাকের মধ্যে আছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক। বিভিন্ন দেশীয় কাপড়ে তৈরি এসব পোশাকের রং ও নকশায় উপস্থাপন করা হয়েছে ঈদের নান্দনিকতা।

নিখুঁত বাংলাদেশ
নিখুঁত বাংলাদেশ টিনএজদের জন্য এনেছে নানা নকশার পোশাক। সুতি ও আরামদায়ক কাপড়ে তৈরি এসব পোশাকের নকশা করা হয়েছে সুই-সুতার নান্দনিক হাতের কাজের মাধ্যমে। ফ্রক কাটিং ফতুয়াগুলো বিভিন্ন রঙে ও ডিজাইনে পাওয়া যাবে। ফতুয়ার ডিজাইনে বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেটেড লেস, ফিতা, টারসেল, কাতান কাপড়ের প্যাচওয়ার্কের কাজ করা হয়েছে। এসব পোশাকের মধ্যে আছে মেয়েদের থ্রিপিস, ফতুয়া ও স্কার্ট।

অঞ্জন'স
শাড়ির মোটিফ, প্যাটার্ন, ডিজাইন বৈচিত্র্য থাকছে উৎসবের রংকে কেন্দ্র করে। শাড়িতে বর্ষার নীল রং ছাড়াও হালকা বা উজ্জ্বল সব রঙের কম্বিনেশন থাকছে। ব্লক, স্প্রে, টাইডাই, স্কিনপ্রিন্ট অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতান পাড় ইত্যাদি মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করে ভিন্ন রূপ দেওয়া হয়েছে। তাঁতের এক্সক্লুসিভ শাড়ির পাশাপাশি হাফসিল্ক, জামদানি, কাতান, মসলিন, রেশমি কটন, ধুপিয়ান শাড়িতে কাজ করা হয়েছে।

বাংলার মেলা
ছেলেদের পাঞ্জাবিতে জয়শ্রি সিল্ক, অ্যান্ডি, কটন, খাদি তাঁতে নিজস্ব বুননে ডবি মাল্টি স্ট্রাইপ এসব ম্যাটেরিয়ালে করা হয়েছে লং, মিডিয়াম ও শর্ট লেংথে ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি। ফ্লোরাল, জিওম্যাট্রিক, ইসলামিক নকশায় কারচুপি, মেশিন এমব্রয়ডারি, কাঁথা ভরাট, শেডওয়ার্ক, গিঁট কাজে জয়শ্রি ও অ্যান্ডি পাঞ্জাবিতে থাকছে অনেক ডিজাইন। এ ছাড়া শর্ট লেংথে ভিন্ন ভিন্ন নেকলাইনে করা হয়েছে ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি। কটন সাদা ও ন্যাচারাল অ্যান্ডিতে ট্রেডিশনাল লেংথে কাঁথা ও ভরাট শেডওয়ার্ক কাজে পাঞ্জাবি করা হয়েছে অনেকগুলো ডিজাইনে। চুড়িদার ও আলিগড় দুই ধরনের পায়জামা পাওয়া যাবে। পাঞ্জাবির সঙ্গে নকশিকাঁথার টুপির কালেকশন করা হয়েছে ঈদ ঘিরে।

মেঘ
ফ্যাশন হাউস মেঘ ঈদে এনেছে বৈচিত্র্যময় রং ও নকশার পোশাক। দেশীয় তাঁতের সুতি, সিল্ক, খাদি ও অ্যান্ডি কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে এসব পোশাক। প্রিন্ট ও হাতের কাজের নকশার এসব পোশাকের মধ্যে আছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, মেয়েদের থ্রিপিস, টপস ও শিশুদের পোশাক।

ওয়ান পয়েন্ট
তরুণদের জন্য চলতি ট্রেন্ডের শর্ট, মিডিয়াম ও লং পাঞ্জাবি এনেছে ওয়ান পয়েন্ট। পাঞ্জাবির বুকে ও হাতায় নকশা প্রাধান্য পেয়েছে। কাটিং ও প্যাটার্নে থাকছে বৈচিত্র্য। কালো, লাল, সাদাসহ উৎসব উপযোগী রং ব্যবহার হয়েছে।
কে-ক্রাফট
নিজস্ব ডিজাইনে উইভিং করা তাঁতের কাপড়ে সুতি (ডবি/জ্যাকার্ড, প্লেন, স্ট্রাইপ, চেক, টুটোন), অ্যান্ডি , সিল্ক, জয়সিল্কে তৈরি করা হয়েছে সালোয়ার-কামিজ। এবারের সালোয়ারের কাটে থাকছে ভিন্নতর পরিবর্তন। ওড়নায় ডিজাইনে নতুন চিন্তা, লে-আউট ও কম্বিনেশনের ব্যবহার থাকছে। কিছু পোশাকের ওড়না তৈরি হয়েছে রাঙামাটির ট্র্যাডিশনাল বুনন কৌশল ও মোটিফ দিয়ে। কামিজ, ওড়না ও সালোয়ারে পাইপিন ও টারসেলের ব্যবহার করা হয়েছে । ধুপিয়ান, বলাকা সিল্ক, ক্রেপসিল্ক ও মসলিনের কম্বিনেশনের ড্রেসগুলো গর্জিয়াস এমব্রয়ডারি কাজ, কারচুপি, সিকোয়েন্সের ব্যবহার করা হয়েছে।

নিত্য উপহার
নিত্য উপহারের আয়োজনে প্রাধান্য পেয়েছে তরুন ও অগ্রণী শিল্পীদের আঁকা ও ডিজাইন। ঈদের বহুমাত্রিক বর্ণিলতা উঠে এসেছে টি-শার্ট ও শাড়িতে, বিষয় হিসেবে কাইয়ুম চৌধুরীর চিরায়ত প্রকৃতির সঙ্গে লোকায়ত পিঠার ছাঁচের নকশায় চন্দ্র শেখর সাহার ডিজাইনে টাঙ্গাইলের সুতি ও হাফ সিল্ক শাড়ির পসরা অনেকগুলো রঙে। আর টি-শার্টের ডিজাইনে যেমন এসেছে বাংলাদেশের প্রত্নস্থান, প্রচীন মুদ্রা, খনার বচন তেমনি বিজ্ঞান, দর্শন চিরায়ত সাহিত্য_গালিভার ট্রাভেলস, হারিয়ে যাওয়া পাখির কান্নাসহ আরো নানা বিষয়।

গ্রামীণ মেলা
গ্রামীণ মেলায় এসেছে ঈদের রকমারি তাঁতের শাড়ি। টাঙ্গাইলের লাবলু-বাবলু এসব শাড়ির ডিজাইন করেছেন। ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের নকশা ও মোটিফ ফুটে উঠেছে শাড়িতে।

গাঁওগেরাম
সালোয়ার-কামিজের রং, ডিজাইন, কাটিংয়ে থাকছে বৈচিত্র্য। করা হয়েছে এমব্রয়ডারি, ব্লক, ইয়ক, কারচুপি, চুমকিসহ বিভিন্ন মোটিফে। সুতি, তাঁত, সিল্ক ও জামদানি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে এসব পোশাকে।

রঙ
তাঁতের এক্সক্লুসিভ শাড়ির পাশাপাশি হাফসিল্ক, জামদানি, কাতান, মসলিন, রেশমি কটন, ধুপিয়ানের শাড়িতে কাজ করা হয়েছে। রং বৈচিত্র্যে বর্ষার নীল রং ছাড়াও হালকা বা উজ্জ্বল সব রঙের কম্বিনেশন ব্যবহৃত হয়েছে। এ ছাড়া সেলফ সুতার লাইট ও ডিপ কালার ব্যবহার করা হয়েছে একই শাড়িতে। ব্লক, স্প্রে, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্ট, অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতান পাড় ইত্যাদি মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতা তৈরি করা হয়েছে।

শ্রদ্ধা
বিশেষ আয়োজনে শ্রদ্ধাভাজনদের শাড়িতে অফহোয়াইট, সাদা রং, ধূসরসহ অনেক অফটোনের রঙের পাশাপাশি উৎসব বলে লাল-সাদা, হলুদ, নীল, বেগুনি, মেজেন্টা প্রভৃতি হালকা রং ব্যবহার করা হয়েছে।

এবি ফ্যাশন
ফ্লোরাল ঘের কামিজের চলতি ধারা নিয়েই অধিকাংশ পোশাক এনেছে এবি ফ্যাশন। বেশ লম্বা ত্রিভুজ কাট, বেশি ঘের, আনারকলি কাট বা কলিদার কামিজই থাকছে লং কামিজের কাটিংয়ে। কামিজের কাজের ক্ষেত্রে বুকের কাছে বড় ইয়োক বা কোনাকুনি নকশাই প্রাধান্য পাচ্ছে রিবন পোশাকের পাশাপাশি। সঙ্গে থাকছে চুড়িদার বা ঢোলা পায়জামা।

এড্রয়েট
নতুন ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ এনেছে এড্রয়েট। বিশেষ আয়োজনে মেয়েদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কামিজের সঙ্গে ধুতি পায়জামা। সালোয়ার-কামিজেও রয়েছে ডিজাইনের ভিন্নতা। ব্লক, এমব্রয়ডারি, মেশিন এমব্রয়ডারি, স্প্রে, অ্যাপলিক, টাইডাই, হাতের কাজ করা হয়েছে সালোয়ার-কামিজে। বেগুনি, অফহোয়াইট, আকাশি, গোল্ডেন, লাল, গোলাপি, সবুজ, নীল, হলুদ, সাদা রং বেশি ব্যবহার হয়েছে।

ফড়িং
ফড়িং এনেছে শিশুদের পোশাকে বেশ কিছু নতুন ডিজাইন। শুধু উৎসব নয়, ঋতুকে মাথায় রেখে কাপড় ও রং ব্যবহার করা হয়েছে। এসব পোশাকে রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মেরুন, লাল, কালো, সাদা, নীল, গোলাপি, হলুদ, গোল্ডেন, টিয়া, কমলা, সবুজ, আকাশি প্রভৃতি।

এম ক্রাফট
পবিত্র ঈদুল ফিতরে সালোয়ার-কামিজের আয়োজনে থাকছে অ্যান্ডি কটন, কটন, সিল্ক, মসলিন, জয়সিল্ক ও ভয়েলের কাপড়ে ব্লক, মেশিন এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, কারচুপি আর লেসওয়ার্কের কাজ। প্রাধান্য পেয়েছে উৎসবের চিরায়ত রং লাল, সাদা, সবুজ ও মেরুন।

নগরদোলা
'লাবণ্য', 'প্রত্যয়', 'ত্রয়ী' ইত্যাদি নামের সালোয়ার-কামিজ এনেছে নগরদোলা। কামিজ থাকছে লং। এছাড়া আছে মা ও মেয়ের জন্য এক ডিজাইনের কামিজ। পরিবর্তন আনা হয়েছে গলা, হাতা ও ফিটিংস-এ। থাকছে ধুতি, ট্রাউজার, প্যান্ট, লেগিংস, চুড়িদার প্রভৃতি সালোয়ার। করা হয়েছে ব্যতিক্রমী কাজ।
টপম্যান
তরুণদের জন্য টপম্যান তাদের হাউসে নিয়ে এসেছে ডিজাইন শার্ট। পিওর কটনে উজ্জ্বল রং ও নতুন কাটের শার্ট নিয়ে টপম্যানের এবারের আয়োজন। পোশাক হিসেবে রয়েছে ডিজাইন শার্ট, ফরমাল শার্ট ও পাটানি কুর্তা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top