GuidePedia

0
এ,জে লাভলু : নিজের
শিকরের টানে শিকর দিয়ে দেশে নতুন
এক শিল্প সৃষ্টি করেছেন
মৌলভীবাজারের
শ্রীমঙ্গল
কলেজ রোডের কারু শিল্পী জামিল মাহাবুব জামি। জামি মাটির নিচে পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়া কর্তনকৃত গাছের মোড়া তুলে এনে তৈরী করেছেন অসাধারন সব সামগ্রী। তবে পুজির অভাবে খুব কষ্ট করে দিনরাত কাজ করেও পাচ্ছেন না কাজের নায্য পারিশ্রমিক । নিজের আত্মবলয়ে তিনি ছিলেন একজন নাট্য শিল্পী । যিনি সব সময় নাটক, মঞ্চ নিয়ে ব্যাস্ত থাাকতেন। কিন্তু নাটকের পাশাপাশি তাকে তারা দিতো বাবা চিত্রকর মাহবুবুর রহমানের চিত্রকর্ম। তার বাবা মাহবুবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে প্রথম যে টাকার নকশা করা হয়েছিন সেটা তিনি ডিজাইনার। তার শেষ পর্যন্ত তার সেই শেকরের টানে তিনি ২০০৭ সাল থেকে নেমে পড়েন র্দূলভ কিছু কর্ম নিয়ে। দেশের বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও তিনি বৈবাহিক সুত্রে স্থায়ী হয়ে পড়েন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। মৌলভীবাজারে প্রচুর বনজ সম্পদের কর্তনকৃত গাছের অবশিষ্ট অংশ শেকর সংগ্রহ করে শুরু করেন তার শিল্পকর্ম। সংসারে অর্থকষ্ট নিত্য নৈমিত্য ব্যাপার লোক রাখার ক্ষমতা নেই , তাই নিজের ¯ী¿ পুত্রকে সাথে নিয়ে ঘরে বসে বসে হাতুরী বাটাল
আর বাইশ দিয়ে গাছের শিকরকে খোদাই করে তৈরী করে চলেছেন একের পর এক সোপিস। ইতি মধ্যে তিনি ১৬ ফুট লম্বা একটি শিকর দিয়ে তৈরী করেছন একটি রাউন্ড ট্রেবিল। তার দাবী গাছের জড়ের উপর দন্ডায়মান পৃথিবীর সর্ববৃহত রাউন্ড ট্রেবিল এটি। এ রেকর্ড গ্রীনিস বুকে রাখার জন্য তিনি রেজিষ্টেশনও করেছেন।
সম্পুন্ন নিজস্ব অর্থায়নে শুধু গাছের শিকর দিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় অত্যান্ত চমৎকার দুইশতাধিক সো-পিস তৈরী করেছেন। এর মধ্যে রযেছে ওয়াল সো-পিস, ডায়নিং ট্রেবিল, বিভিন্ন প্রজাতির জীব জন্তুর আকৃত সো-পিস, নর নারীর প্রতিকৃতি, টি টেবিল, সেন্টার টেবিল, কর্ণার টেবিল , রাউন্ড বৈটক টেবিল ও সোফা টেবিলসহ উল্লেখ্যযোগ্য সামগ্রী। আপন মনে শিকর দিয়ে এভাবে শিল্প কর্ম করে গেলেও এগুলো বিক্রি করে পাচ্ছেননা এর নায্য মুল্য অন্য দিকে অর্থকষ্টে সংগ্রহ করতে পারছেননা গাছের শিকর পারছেননা পরিবারে ঠিকমতো আহারের যোগান দিতে।
শ্রীমঙ্গল
উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা ইতিমধ্যে দু বার তার শিল্প কর্মের সামগ্রী গুলো পরিদর্শন করেন। তার শিল্প কর্ম দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। বড় মাপের শিল্পী ছাড়া এরকম নিখুঁত শিল্প কর্ম করা সম্ভব নয়। তিনি তাকে সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন। জামিল অর্থ কষ্টে কোন প্রশনির জন্য দোকান নিতে পারেননি। নিজের থাকার ঘরেই সামগ্রী গুলো রেখেছেন। তার এ চিত্র কর্ম যে কোন ঘরে রাখলে নিঃসন্দেহে সে ঘরের সুন্দর্য বেড়ে যাবে অনেক গুন। তার এ চিত্রকর্ম বিভিন্ন বিয়েতে বা ধনী পরিবারের বিভিন্ন অনুষ্টানে গিফট হিসাবে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ এর ছেলে মেয়ের বিয়ে তার তৈরি করা চিত্রকর্ম শ্রীমঙ্গল সাংবাদিক ইউনিয়ন সব বিভিন্ন ব্যক্তিরা দিয়েছেন। চীপ হুইপ তার এ চিত্রকর্ম দেখে প্রশংসা করেছেন । তাই দেশের সৌকিন মানুষদের কাছে তার দাবী তার এ নতুন শিল্প কর্মের সামগ্রী গুলো ক্রয় করে তাকে সহায়তা করার।
এরকম বড় মাপের একজন কারু শিল্পী যে কোন দেশের সম্পদ তাই শ্রীমঙ্গলবাসীর দাবী তার সাহায্যে সরকার তথা বৃত্তবানরা এগিয়ে এলে রক্ষা পাবে একটি পরিবার
এবং দেশে বিস্তার লাভ করবে নতুন একটি শিল্প।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top