GuidePedia

0
গ্রাম আর শহরের কোথাও নারীদের একটা জায়গায় তপাৎ নেই। আর সেটি হচ্ছে বাঙ্গালী মেয়েদের শাড়ি পরা। আর শাড়ির সঙ্গে অনায়াসেই ব্লাউজের প্রসঙ্গটি চলে আসে। শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ মানাবে বিষয়টি নির্ভর করে পাড়ের ডিজাইন এবং কোন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরা হবে তার ওপর। তাই জেনে নিই কিরকম ব্লাউজ পরিধান করা উচিত।

বিভিন্ন ধরনের ব্লাউজের ভিন্নতা কি রকমঃ
গ্রাম আর শহরের কোথাও নারীদের একটা জায়গায় তপাৎ নেই। আর সেটি হচ্ছে বাঙ্গালী মেয়েদের শাড়ি পরা। আর শাড়ির সঙ্গে অনায়াসেই ব্লাউজের প্রসঙ্গটি চলে আসে। শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ মানাবে বিষয়টি নির্ভর করে পাড়ের ডিজাইন এবং কোন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরা হবে তার ওপর। তাই জেনে নিই কিরকম ব্লাউজ পরিধান করা উচিত।

প্রথমে জেনে নিই কিরকম হবে ব্লাউজের ভিন্নতা। শাড়ির ডিজাইন যাই হোক না কেন ব্লাউজের রঙটা হবে কন্ট্রাস্ট। যেহেতু শাড়িটি সুতির, ব্লাউজটা হবে একটু বাহারি ধাচের। কম বয়সীরা ব্লাউজের গলাটা একটু বড় রাখতে পারেন। আবার স্লিভলেসও পরতে পারেন।তবে শীতের বিষয়টি মাথায় রেখে পরলে ভালো হয়। ঘটিহাতা অথবা খাটো হাতাও পরা যেতে পারে। একটু বৈচিত্র্য আনতে ব্লাউজে ছোট ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেন। হাই কলার দেওয়া পাঞ্জাবির মতো বা বোতাম দেওয়া ব্লাউজও এ ধরনের শাড়িতে বেশ মানানসই। দাওয়াতে বা রাতের অনুষ্ঠানে একটু জমকালো ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন । এ জন্য গলাবন্ধ ব্লাউজের গলাজুড়ে পাথর, চুমকি বা পুঁতির কাজ করাতে পারেন। মোটকথা ব্লাউজ হবে উৎসব ও পরিবেশের উপযোগী।

শাড়িটা যেহেতু এক রঙের, তাই ব্লাউজটা যেন বেশ বাহারি হয়।


 এই যেমন, হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ মানানসই। কমলা রঙের ব্লাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে। স্লিভলেস ব্লাউজ পরলে শাড়িটা এক প্যাঁচে না পরাই ভালো। অল্টারনেক বা পেছনে কয়েক রঙের ফিতা দেওয়া স্লিভলেস ব্লাউজও পরা যেতে পারে। থ্রি কোয়ার্টার হাতায় অথবা গলায় কুচি দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে শাড়ি এক প্যাঁচেতেই বেশ ভালো মানাবে। এছাড়া গড়ন বুঝে স্লিভলেস ব্লাউজও বানাতে পারেন। সব হাতে স্লিভলেস ব্লাউজ মানায় না। লম্বা, মেদবর্জিত, লোমহীন, পরিষ্কার নরম কনুইয়ের সুডৌল হাতের অধিকারী যে কেউ পরতে পারেন স্লিভলেস। স্লিভলেস ব্লাউজের জন্য হাতের গড়ন বড় বিষয়। অতিরিক্ত মোটা বা চিকন হাতে স্লিভলেস ভালো মানায় না। তবে শখ তো ধরাবাঁধা নিয়ম মানে না। যাঁরা একটু মোটা, তাঁরাও স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে কাঁধের অংশ একটু চওড়া, আর পেছনে ওঠানো গলা ভালো মানাবে। এ ছাড়া যে পোশাকে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন; সে পোশাক যতই সুন্দর হোক না কেন, তা আপনাকে মোটেও মানাবে না। সময়ের পরিবর্তনে তৈরি হচ্ছে নানা ঢঙের স্লিভলেস ব্লাউজ। কখনো কাঁধ চওড়া, কখনো আবার ফিতার মতো সরু। পিঠ খোলা কি গলা বন্ধ, চায়নিজ কলার কি ব্যান্ড গলা, পেছনে ফিতা বা জুড়িতে ফিতার সঙ্গে গলার কাটিং বৈচিত্র্য তো রয়েছেই।

জনপ্রিয় কিছু ব্লাউজের মধ্যে রয়েছেঃ

হল্টারনেক : হাতাছাড়া এ ধরনের ব্লাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কাঁধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। যাদের দৈহিক গড়ন সুন্দর, তারা গলা, কাঁধ ও পিঠের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে এ ব্লাউজ পরতে পারেন।

টিউব চোলি : এই ব্লাউজে কোনো শোল্ডার বা স্লিভ থাকে না। মাপজোখ হতে হবে নিখুঁত। এর প্রধান অংশ ব্লাউজের। সেটা পেছনে বা সামনেও হতে পারে। গলার মাপ খানিকটা বড় হবে।





কলার স্টাইল : এ ব্লাউজে হাতা থাকে না, তবে কাঁধের অংশ খানিকটা চওড়া হয় আর কলার থাকে। সবাইকেই এ ব্লাউজে ভালো মানাবে।

সিঙ্গল শোল্ডার : যাদের কাঁধ বড়, এ ব্লাউজ তার জন্য উপযোগী। এতে একটিমাত্র শোল্ডার বা ফিতা থাকে, আর কাঁধ কিছুতা খোলা রাখা থাকে। শারীরিক গঠন বেশ ভালো হলে এ ধরনের ব্লাউজ বেশ আকর্ষণীয় লাগে।

করসেট : এ ব্লাউজের কাঁধে সরু স্ট্রাইপ থাকে এবং নিচের অংশ ফিটিং থাকে। যাদের দেহের গড়ন চ্যাপ্টা, তারা করসেট পরতে পারেন। করসেট বানাতে হয় ঠিক মাপে। সঠিক মাপেই এ ব্লাউজের সৌন্দর্য।

বিকিনি : অনেকটা বিকিনির মতো এ ব্লাউজ। গলার ফিতায় বা কাটে পাথর ও মুক্তা বসিয়ে ডিজাইন করা হয়। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর দুই জোড়া ফিতা। এক জোড়া গলায় এবং অন্য জোড়া থাকে কোমরে।

অনেক সময় দেখা যায়, হঠাৎ করেই জরুরি কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াত এসে পরে। সেক্ষেত্রে তৈরি করা কিছু ব্লাউজ; মার্কেটের দোকান বা বুটিক দোকানগুলো থেকে কিনে, পরিচিত কোনো দর্জির দোকানে গিয়ে অলটার করে পরতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যার রেশ আসবেনা। আর অন্যান্য বেলাও যেমন অনুষ্ঠান বা দাওয়াত হলে উপরোক্ত পদ্ধতি বিচার-বিশ্লেষণ করে পরা যেতে পারে। তবে ব্লাউজ বানানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

যেমনঃ

*স্থূলকায় হলে হাতাকাটা বা ছোট হাতার ব্লাউজ পরা ঠিক নয়।

*বেশি ক্ষীণকায় হলেও হাতাকাটা ব্লাউজ ভালো দেখাবে না।

*পিঠে দাগ থাকলে বন্ধগলার ব্লাউজ পরাই ভালো।

*শাড়ি ও ব্লাউজ দুটোই জমকালো হলে চলবে না।

*ব্লাউজের ডিজাইন কেমন হবে তা শাড়ির কথা মাথায় রেখে নির্ধারণ করুন।

*ব্লাউজের কাজ বেশি হলে শাড়ির কাজ কম হবে, একইভাবে বিপরীত নিয়ম মেনে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

*শারীরিক গঠনের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ তৈরি করুন।

*শাড়ি ও ব্লাউজে যে ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হবে, গয়নাতেও একই মিল রাখার চেষ্টা করুন।

*ব্যাগের মধ্যেও কাজটি যেন শাড়ি ও ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই হয়।

*কাজ করা দামি ব্লাউজগুলো আলমারীতে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top